নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৪০ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদেরকে শেষ সময়ে এসে অযাচিত বক্তব্য রেখে বিতর্কে না জড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, মাইক পেলেই বকবক করবেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে গণভবনে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ নির্দেশ প্রদান করেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বর্তমান সরকারের এই শেষ সময়ে নানা রকমের চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। কাজেই এই সময়ে এমন কোনো মন্তব্য করা যাবে না, যেটা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়।’
এ সময় প্রধামমন্ত্রী অর্থমন্ত্রীর নাম উল্লেখ না করেই বলেন, ‘দলের অনেক সিনিয়র মন্ত্রী এমন সব কথা বলেন, যার কারণে আমাদেরকে অনেক বিব্রতকর অবস্থায় মধ্যে পড়তে হয়। এটা আর করা যাবে না। মাইক পেলেই কথা বলতে হবে, মিডিয়াতে থাকতেই হবে এমন কোনো বিষয়ের প্রয়োজন নেই।’
সামনের দিনগুলোতে সবাইকে আরও সতর্কতার সঙ্গে কাজ করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দলের সাধারণ সম্পাদক, দুইজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং দলের সিনিয়র নেতা ছাড়া কাউকে তাদের নিজস্ব বিষয়ের বাইরে কথা না বলার জন্যেও নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ ও নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের দেওয়া বক্তব্য হঠাৎ আলোড়ন তুলেছিল রাজনৈতিক অঙ্গনে। ক্ষমতাসীন দলের মধ্যেই এ বিষয়ে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।