নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০২ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্য এবং বিএনপি ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করলে ২ বছর দেশ পরিচালনা করতে চায় যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য। বাকি তিনবছর বিএনপি দেশ চালাবে। একসঙ্গে আন্দোলন, একসঙ্গে নির্বাচন এই চিন্তা থেকে জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্ট একটি খসড়া রূপরেখা চূড়ান্ত করেছে। এই খসড়া রূপরেখার ভিত্তিতে বিএনপির সঙ্গে আলোচনা করতে চায় যুক্তফ্রন্ট। তবে আলোচনার দিনক্ষণ এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন, ‘কারা অভ্যন্তরে বেগম জিয়ার বিচার এবং ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়, এই দুটি ইস্যু নিয়ে বিএনপি ব্যস্ত। তবে এর মধ্যেই বিএনপি যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা শুরু করতে চায়।
যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য বিএনপির সঙ্গে আলোচনার যে রূপরেখা তৈরী করেছে, তাতে নির্বাচন এবং নির্বাচন পরবর্তী মোট ৭ টি বিষয় উপস্থাপন করা হয়েছে। এগুলো হলো :
১. অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য ঐক্যবদ্ধ দাবী এবং ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।
২. বর্তমান নির্বাচন কমিশনের সংস্কার
৩. নির্বাচনকালীন সরকারকে দল নিরপেক্ষ করা
৪. নির্বাচনে সেনা মোতায়েন।
৫. ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচন করা। (আলোচনার ভিত্তিতে সম্মানজনকভাবে আসন ভাগাভাগি)
৬. সরকার গঠনে মালেয়শিয়ার নীতি অনুসরণ। ২ বছর যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্যপ্রক্রিয়া দেশ চালাবে। বিএনপি সমর্থন দেবে। আর তিন বছর বিএনপি দেশ চালাবে। যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্যপ্রক্রিয়া সমর্থণ দেবে।
৭. রাষ্ট্রপতি এবং প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্য।
যুক্তফ্রন্টের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, জামাত এবং বেগম জিয়ার মুক্তির ইস্যু দু’টি ঐক্যের রূপরেখায় রাখা হচ্ছে না। যুক্তফ্রন্টের একজন নেতা বলেছেন, ‘আমাদের ঐক্য ২০ দলের সঙ্গে হচ্ছে না, হচ্ছে বিএনপির সঙ্গে। বিএনপিও আমাদের জানিয়েছে যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্যে বিএনপি একাই থাকবে। কাজেই জামাত ইস্যু এখানে অবান্তর।‘ বিএনপির একাধিক নেতা বলেছেন, ২০ দল রেখেই তারা ঐক্য প্রক্রিয়ায় যেতে চায়। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘জামাতের যেহেতু নিবন্ধন নেই, তাই তাঁরা ধানের শীষ প্রতীক নিয়েই নির্বাচন করবে। ২০ দলের সব শরীকরাই ধানের শীষ নিয়ে নির্বাচন করবে। তাই নির্বাচনে ’জামাত’ কোন ইস্যু হবে না।’
বেগম জিয়ার মুক্তি প্রসংগে যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা বিএনপিকে বলেছেন,‘বর্তমান সরকার নির্বাচনের আগে বেগম জিয়াকে মুক্তি দিবে না। তাই মালয়েশিয়ার আনোয়ার ইব্রাহিমের মতই বেগম জিয়াকে মুক্তির চুক্তি করতে চায় যুক্তফ্রন্ট এবং বিএনপি। যাতে থাকবে, নির্বাচনের পর ৭ দিনের মধ্যে বেগম জিয়াকে মুক্ত করে আনা হবে। তবে, তারেক জিয়ার দেশে ফেরা এবং তার দন্ড নিয়ে যুক্তফ্রন্ট এবং ঐক্য প্রক্রিয়া কোনরকম আলোচনা বা চুক্তিতে যেতে চায় না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।