নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০১ পিএম, ০৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
আওয়ামী ঘরানার বেশকিছু পরিত্যক্ত সাবেক ও নিস্ক্রিয় নেতাকর্মীরা তৃতীয় শক্তিতে যোগ দিতে পারেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব টিম এরকম শতাধিক ব্যক্তির একটি নামের তালিকা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছেন। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামে বেশকিছু সাবেক আওয়ামী লীগ নেতার যোগদানের সম্ভাবনার কথা বলেছে।
জাতির পিতার মন্ত্রিসভায় প্রতিমন্ত্রী ছিলেন ব্যারিস্টার আমীর উল ইসলাম। ২০০৮ এও তিনি আওয়ামী লীগে ছিলেন। বর্তমানে নিস্ক্রিয়। তিনি এবং তাঁর মেয়ে ব্যারিস্টার তানিয়া আমীর নতুন জোটে যোগ দিতে পারেন বলে আভাস পাওয়া গেছে। ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে কিছুদিন দায়িত্ব পালন করা বর্তমান এমপি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের ব্যাপারেও সন্দেহ করা হচ্ছে। ৯৬ এর সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ এর সঙ্গেও গণফোরাম নেতা মোস্তফা মহসীন মন্টুর যোগাযোগের খবর পাওয়া গেছে। তিনি পাবনার একটি আসনে ২০০৮ এ মনোনয়ন চেয়ে পাননি। ২০১৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হন।
ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ইতিমধ্যেই গণফোরামের ঐক্যপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। পটুয়াখালীর একটি আসনে আওয়ামী লীগের টিকিট পেয়ে চমকে দিয়েছিলেন গোলাম মাওলা রনি। ২০১৪তে তাকে আর মনোনয়ন দেয়া হয়নি। এখন টকশো আর লেখালেখির জন্য পরিচিত। আওয়ামী লীগের কাছে খবর আছে, রনিও নতুন দলের কাংখিত নাম। মানিকগঞ্জের একটি আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত সাবেক ফুটবলার টুটুল ঐক্য প্রক্রিয়ায় যেতে পারেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুল মান্নানের নামও রয়েছে দলছুটদের তালিকায়। ওয়ান ইলেভেনে সংস্কারপন্থী হবার আগ পর্যন্ত শেখ হাসিনার আস্থা ভাজন ছিলেন মুকুল বোস। এখন তিনি আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য। দলছুট হিসেবে তাঁর নামও রাজনৈতিক আড্ডায় আলোচিত হচ্ছে।
এছাড়াও, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন পাবেন না, এরকম অন্তত শতাধিক নেতা-কর্মীর সঙ্গে গণফোরাম ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া যোগাযোগ রাখছে বলে খবর পাওয়া গেছে। এরা নিজেদের নির্বাচনি এলাকায় আবার সরব হয়েছেন। এদের অনেকেই এলাকায় বলেছে, আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবো।
গতকাল আওয়ামী লীগের কার্য নির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ রকম পরিস্থিতি ঠেকাতে কেন্দ্রীয় নেতাদের আকস্মিক সফরের নির্দেশ দিয়েছেন দলের সভাপতি শেখ হাসিনা।
একই সাথে নির্বাচনের আগে কোন কমিটি পরিবর্তন না করার নির্দেশ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ‘ড: কামাল হোসেন এবং মোস্তফা মোহসীন মন্টু দীর্ঘদিন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে ছিলেন। কাজেই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সাথে তাদের যোগাযোগ থাকতেই পারে। যোগাযোগ আর নতুন দলে যোগদান এক বিষয় নয়।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।