নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০০ পিএম, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জিয়া এতিমখানা মামলায় কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন তাঁর চার আইনজীবী। গতকাল শুক্রবার ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকারের নেতৃত্বে আব্দুর রেজ্জাক খান, এজে মোহাম্মদ আলী এবং জয়নাল আবেদীন খালেদা জিয়ার দেখা করতে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে যান।
আইনজীবীদের এই দলে ছিলেন না বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রবীণ আইনজীবী অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন এবং ব্যারিস্টার মীর হেলাল। বিএনপি চেয়ারপারসনের অন্যতম আইনজীবী খন্দকার মাহবুব আর বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মীর হেলাল লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে খালেদা জিয়ার মুক্তির ব্যাপারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, খালেদা জিয়ার মামলাগুলোর সমাধান কোন পথে হবে তা নিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেনের সঙ্গে দলের অন্য আইনজীবীদের বিরোধ চলছে। খন্দকার মাহবুব মনে করেন, খালেদার মামলাগুলো যেহেতু রাজনৈতিক মামলা তাই আইনি পদক্ষেপের মাধ্যমে এদের সমাধান করা সম্ভব নয়। তাঁর মতে, রাজনৈতিক সমঝোতার মাধ্যমে মামলাগুলোর মীমাংসা করা উচিত। বিএনপির আইনজীবীদের সর্বশেষ মিটিংয়েও খন্দকার মাহবুব বলেছেন, একটি মামলায় খালেদা জিয়াকে মুক্ত করলে সরকার আরেকটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার করবেন। এভাবে কোনোদিনই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা সম্ভব হবে না। কিন্তু দলের অন্য আইনজীবীরা আইনি পথেই খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে আগ্রহী। এছাড়া খন্দকার মাহবুব কারাগারে স্থাপিত আদালতে বিএনপি চেয়ারপারসনের না যাওয়ার সিদ্ধান্তেরও বিরোধিতা করেন। প্রবীন এই আইনজীবির মতে, খালেদা জিয়া আদালতে না গেলে মামলাগুলোর একতরফা রায় দেবে আদালত।
এই বিষয়গুলো নিয়ে খন্দকার মাহবুব হোসেনের সঙ্গে দলের অন্য আইনজীবীদের বিরোধ আছে। এই বিরোধের জেরেই কি গতকাল কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাননি খন্দকার মাহবুব?
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।