নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:৩৪ এএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
এরশাদ বললেন, ‘আর ২০১৪’র মতো নাটক করবো না। নির্বাচনে যাবো। আমৃত্যু আওয়ামী লীগের সঙ্গেই থাকবো।’ গতকাল রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে এরকম মন্তব্য করেন এরশাদ। বৈঠক সূত্রে এখবর জানা গেছে।
আসন্ন একাদশ জাতীয় নির্বাচনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৃহত্তর জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার বিষয়ে সম্মত হয়েছে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ২০ দলীয় জোট। বৃহত্তর স্বার্থে ছাড় দিয়ে হলেও এ মাসের মধ্যেই ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বাধীন গণফোরাম ও সাবেক রাষ্ট্রপতি এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্য প্রক্রিয়া চূড়ান্ত করার প্রস্তুতি নিচ্ছে দলটি। গতকাল রোববার ২০ দলীয় জোটের বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এমন সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
একই দিনে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সংসদ ভবনস্থ প্রধানমন্ত্রীর দফতরে গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬টার দিকে অনুষ্ঠিত এই বৈঠকে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিষ্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, মহাসচিব এ বি এম রুহুল আমিন হাওলাদার, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিয়াউদ্দিন বাবলু ও কাজী ফিরোজ রশীদ।
এই বৈঠকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন, নির্বাচনী জোট প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির মধ্যে নির্বাচনী জোট করার আগে জাতীয় ঐক্য কতদূর পর্যন্ত যায় তা পর্যবেক্ষন করা হবে। যদি বিএনপি জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে একত্রে নির্বাচন করে তাহলে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিও একসাথে নির্বাচনে যাবে। এছাড়া আগামী ৬ অক্টোবর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। ওই সমাবেশের বিষয়েও প্রধানমন্ত্রীকে ব্রিফ করেন এরশাদ।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের বৈঠকে নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েও আলোচনা হয়। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ নির্বাচনকালীন সরকারে জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে কয়েকজনের নাম সুপারিশ করেন। তবে প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন