নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে ঢাকা অচলের কর্মসূচি গ্রহণ করবে বিরোধী দলগুলো। ‘যেখানেই বাধা সেখানেই অবস্থান’ এই কর্মসূচির মাধ্যমে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবী আদায়ের পরিকল্পনা নিয়েছে বিরোধী দলগুলো। যুক্তফ্রন্ট এবং গণফোরামের নেতৃত্বে এই কর্মসূচিতে বিএনপিও মাঠে থাকবে বলে জানা গেছে। এই কর্মসূচির প্রস্তুতি গ্রহণের জন্যই বিএনপি ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মামলার রায়ের আগে বড় ধরনের কর্মসূচিতে যাবে না। ঢাকা অচলের মাধ্যমে সরকারকে দাবি মানতে বাধ্য করতে চায় বিরোধী দলগুলো। একাধিক গোয়েন্দা সূত্র এই খবর নিশ্চিত করেছে। হঠাৎ করে বিএনপির নেতাকর্মীদের পুরোনো মামলাগুলো সচল করার পেছনে এই তথ্যই মূখ্য ভূমিকা পালন করছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে আলাপ করে জানা গেছে, চলতি মাসের মধ্যেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করতে পারে। গতকাল রোববার জাতীয় ঐক্যে যোগ দেওয়ার ব্যাপারে বিএনপি ২০ দলীয় জোটের সম্মতি আদায় করেছে। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক সূত্র বলছে, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বিএনপি জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে বৈঠকে বসতে পারে। এই বৈঠকে নূন্যতম ইস্যুতে ঐক্যের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসবে বলে বিএনপি এবং ঐক্য প্রক্রিয়ার একাধিক নেতা নিশ্চিত করেছে। গণফোরামের প্রভাবশালী নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু আভাস দিয়েছেন যে আগামী ২২ সেপ্টেম্বর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশে বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দিতে পারে। তবে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সমস্যা নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘বিএনপি নীতিগতভাবে ঐক্য প্রক্রিয়ায় যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শুধুমাত্র এই চরম স্বৈরাচারী সরকারকে হটানোর জন্যই আমরা সর্বোচ্চ স্যাক্রিফাইস করে ঐক্য প্রক্রিয়ায় যাচ্ছি। ‘ কি ধরনের ‘স্যাক্রিফাইস’ জানতে চাওয়া হলে নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, ‘দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় দল হবার পরও আমরা যৌথ নেতৃত্বে যাচ্ছি। জাতীয় ঐক্য বিএনপির নেতৃত্বে হচ্ছে না। আমরা আমাদের দলের জনপ্রিয় দাবিগুলোকে জাতীয় ঐক্যের দাবির সঙ্গে যুক্ত করছি না। নূন্যতম, শুধুমাত্র অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বচন সংক্রান্ত ৭ দফা দাবিতে আমরা যুক্ত হচ্ছি।’
জানা গেছে, বিএনপির স্থায়ী কমিটি এবং ২০ দলীয় জোটের বৈঠকে, নূন্যতম ইস্যুতে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়েছে। বেগম জিয়ার যুক্তি, তার চিকিৎসা, ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় ইত্যাদি ইস্যুতে বিএনপি শুধু লোক দেখানো রুটিন আন্দোলন করবে। আসল প্রস্তুতি তারা রাখছে, নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের আন্দোলনের জন্য।
যুক্তফ্রন্টের একজন প্রভাবশালী নেতা বলেছেন, ‘নির্বাচন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে প্রশাসনের ওপর আওয়ামী লীগের নিয়ন্ত্রণ শিথিল হয়ে যাবে। প্রশাসনের অনেকটা অংশই আওয়ামী লীগের অবৈধ আদেশ নির্দেশ শুনবে না। বরং, তাদেরও আমাদের সঙ্গে একাত্ম হবার সম্ভাবনা রয়েছে।‘ ঐ নেতা এটাও স্বীকার করেছেন যে, ‘কোটা সংস্কারে আন্দোলন, নিরাপদ সড়ক আন্দোলনসহ শ্রেণী পেশার সব মানুষকে রাস্তায় ডাকা হবে।’
যুক্তফ্রন্টের আরেক নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেছেন, ‘আমরা কোন সহিংস আন্দোলন করবো না। স্বত: স্ফূর্ত লাখ লাখ মানুষ ঢাকার রাস্তায় অবস্থান নেবে। সরকারের পদত্যাগ এবং সংসদ ভেঙ্গে দেওয়ার সিদ্ধান্ত ছাড়া আমরা রাজপথ ছাড়ব না।’
যোগাযোগ করা হলে, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র সম্পর্কে আমাদের কাছেও তথ্য আছে। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ এসব ষড়যন্ত্রকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করবে। এদেশের মানুষ নির্বাচন চায়। সংবিধান অনুযায়ী, ‘সঠিক সময়ে নির্বাচন হবে ইনশাআল্লাহ।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোর তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।