নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০৪ পিএম, ১১ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেন আগামী ২২ সেপ্টেম্বর জাতীয় ঐক্যের ব্যানারে মহাসমাবেশ ডেকেছেন। যুক্তফ্রন্টের সঙ্গে ঐক্যের পরিপ্রেক্ষিতে ওই সমাবেশে জোটটির সব নেতাদের অংশগ্রহণ থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে। জানা গেছে, মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকবেন যুক্তফ্রন্টের তিন দল বিকল্পধারা বাংলাদেশের সভাপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী, মহাসচিব আবদুল মান্নান, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না। জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্ট কোনোটিতেই সরাসরি যুক্ত না থাকলেও মহাসমাবেশে উপস্থিত থাকতে পারেন কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। এরই মধ্যে ড. কামাল তাঁকে মহাসমাবেশে থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
সম্প্রতি জামাতের কাছ থেকে জাতীয় ঐক্যে যেতে ছাড় পাওয়া বিএনপিও থাকবে জাতীয় ঐক্যের মহাসমাবেশে। জানা গেছে, দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মহাসমাবেশে উপস্থিত থেকে বিএনপির প্রতিনিধিত্ব করবেন। এছাড়া ২০ দল থেকে কর্নেল (অব.) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এলডিপি), মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন কল্যাণ পার্টি, ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থর দল বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) প্রতিনিধিও জাতীয় ঐক্যের মহাসমাবেশে থাকার সম্ভাবনা আছে।
জাতীয় ঐক্যের মহাসমাবেশে চমক হিসেবে উপস্থিত থাকতে পারেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের জাতীয় পার্টির প্রতিনিধিও। জাতীয় ঐক্যের সঙ্গে জড়িত একাধিক নেতা মহাসমাবেশে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধি উপস্থিত থাকার সম্ভাবনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, গতকাল সোমবার জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান জি. এম. কাদেরের সঙ্গে জাতীয় ঐক্যের নেতাদের কথা হয়েছে। জি. এম. কাদের বলেছেন, মহাসমাবেশে প্রতিনিধি পাঠানোর বিষয়ে তিনি দলের প্রেসিডেন্ট হু. মু. এরশাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জাতীয় ঐক্যে জাতীয় পার্টির প্রতিনিধির উপস্থিতি বিশেষ গুরুত্বই বহন করবে। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের মতোই জাতীয় পার্টি সর্বদা দিক পরিবর্তনশীল একটি দল। যখন যেখানে সুবিধা বেশি সেখানেই তারা এমনও মত অনেক বিশ্লেষকের। তাই সুবিধা বেশি পেলে বর্তমান সঙ্গ ছেড়ে নতুন সঙ্গে যোগ দিতে দলটির সময় লাগবে না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। আগামী মাসের শেষেই জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা হবে। তাই ওই সময়ের পরেই জানা যাবে জাতীয় পার্টি কোন পথে যাচ্ছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বিএনপি ড. মঈন খান
মন্তব্য করুন
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।
অবশেষে জিয়া পরিবার মুক্ত হচ্ছে বিএনপি। বিএনপির রাজনীতিতে একটি বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে। তবে ঠিক কবে, কখন, কীভাবে এ পরিবর্তন হবে সে সম্পর্কে কেউ কোন সুনির্দিষ্ট ধারণা দিতে পারেনি। তবে বেগম খালেদা জিয়া বিএনপিতে পরিবর্তনের ব্যাপারে সবুজ সংকেত দিয়েছেন।
বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির ২০২৪-২৫ নির্বাচনে বিএনপি প্যানেল থেকে নির্বাচিত হলেও দায়িত্বভার না নিতে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সহ চার আইনজীবীকে চিঠি দিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম। তবে সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করে যাওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে এমন ইঙ্গিত দেন বিএনপিপন্থি এ আইনজীবী নেতা।