ইনসাইড পলিটিক্স

‘ডাকসু নির্বাচনের জন্য আমরা প্রস্তুত’

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৯:৫৯ এএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস। ময়মনসিংহের এই ছাত্রনেতা আইন বিভাগের ২০০৯-১০ সেশনের মেধাবী শিক্ষার্থী। বাবা সুকুমার চন্দ্র রায় আর মা কল্পনা রানী দাস। দেশের সেবা করতে হলে একটি স্পেস প্রয়োজন বুঝতে পেরে রাজনীতি আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এছাড়া বাবা ছিলেন টানা ৯ বছর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক, সেখান থেকেও উৎসাহ পেয়েছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে আসার।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বাংলাদেশকে উন্নত ও সমৃদ্ধ রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা করতে নিজের জায়গা থেকে সর্বোচ্চ চেষ্টা করার প্রতিজ্ঞার কথা জানালেন তিনি বাংলা ইনসাইডারকে। এছাড়া বাংলা ইনসাইডারের সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন প্রভৃতি বিষয়েও কথা বলেছেন তিনি। নিচে পাঠকদের জন্য সঞ্জিত চন্দ্র দাসের সাক্ষাৎকারটি তুলে ধরা হলো।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ। কিন্তু একটি মহল সবসময় দাবি করে রাজনীতির কারণে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে। একটি ছাত্র সংগঠন হিসেবে এই অভিযোগ খন্ডনে বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনার মানোন্নয়নে কী কী ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ?

আগেও আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলের সাবেক সভাপতির দায়িত্বে ছিলাম। একই সঙ্গে আমি আইন বিভাগের ছাত্র, আমিও পড়াশোনা করেছি। আমার কোনো ইয়ারে ড্রপ নেই, কোনো সাবজেক্টে আমি কখনো ফেলও করিনি। রাজনীতি পড়াশোনার সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়। আপনি হয়তো জানেন, আগামী বাজেটে আমাদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষা বান্ধব পরিস্থিতি সৃষ্টি করার জন্য প্রায় ৫ হাজার ছাত্রছাত্রীর আবাসনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এই জন্য কয়েকটি ভবন নির্মাণ করা হবে। মল চত্বরে একটি ভবন হবে, এনেক্স ভবনের দিকে একটি ভবন হবে, এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু কর্নার হবে। এছাড়া পড়াশোনার মানোন্নয়নে যা যা করা দরকার সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে আমি ইতিমধ্যেই উপাচার্য স্যারের সঙ্গে কথা বলেছি। গবেষণা ভিত্তিক যে সকল শিক্ষা কার্যক্রম আছে তা সচল করতে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড ভিত্তিক ও সামাজিক সচেতনতা ভিত্তিক যে সকল সংগঠন আছে তাদের কার্যক্রম গতিশীল করতে যা যা করা দরকার সে বিষয়ে উদ্যোগ নিতে স্যারদের সঙ্গে কথা বলা হয়েছে। আমরা বলেছি, শিক্ষার মানোন্নয়নে আপনারা লাইব্রেরির উন্নতি সাধন করেন। আমরা চাইছি পড়াশোনা সার্বিক পরিবেশটা যেন ভালো হয়। সান্ধ্যকালীন কোর্স নিয়েও আমরা কথা বলেছি। এই বিষয়টা আমি নিজেও খুব অপছন্দ করি। আমার আইন বিভাগে এটা কয়েকবারই চালু করার চেষ্টা করা হয়েছে, কিন্তু আমরা বিভিন্নভাবে তা নস্যাৎ করেছি। এই কারণেই এখন পর্যন্ত আমাদের বিভাগে ইভনিং কোর্স নেই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি জায়গায় ইভনিং কোর্স থাকলে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান ক্ষুন্ন হয়।  বিশ্ববিদ্যালয় পড়ালেখার জায়গা আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রাচ্যের অক্সফোর্ড হিসেবে খ্যাত। কিন্তু এই খ্যাতিতে এখন আঁচ লেগেছে। অতীতের ঐতিহ্য ফিরে পাওয়ার জন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার মানোন্নয়নের জন্য এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ সুস্থ রাখার জন্য সব ধরনের কার্যক্রম হাতে নেবে।

ঢাবি ছাত্রলীগের নতুন সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করেছেন?

আপনারা ইতিমধ্যেই দেখে থাকবেন, কেউ যাতে ক্যাম্পাসের পরিবেশ যেন নষ্ট করতে না পারে এবং আইবিএ ক্যান্টিনের আশেপাশে কেউ যেন হট্টগোল করতে না পারে বা হর্ন না বাজায় সে জন্য আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ ইতিমধ্যেই নোটিশ দিয়েছি। ক্যাম্পাসে কেউ ব্যক্তিগত ব্যানার-ফেস্টুন কেউ ব্যবহার করতে পারবে না এমন নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ভবিষ্যতে আমরা আরও ছাত্রবান্ধব যা যা কর্মসূচি আছে তা নিয়ে সামনে আসবো। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়ের সকলের বড় ভাই হতে চাই, নির্দিষ্ট ছাত্র সংগঠনের নেতা হতে চাই না। আমরা রাজনৈতিক আদর্শের জায়গাটা ধারণ করবো, একটা জায়গায় গিয়ে সেই আদর্শ ফলাও করে প্রচার করবো, কিন্তু আমরা সাধারণ ছাত্রছাত্রীদের সমস্যাগুলো সমাধান করার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। এটা আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছে, সবার সাথে যে মিলেমিশে থাকতে পারবে সেই ছাত্রলীগ করার যোগ্যতা রাখবে। আমরাও আশাবাদী আমরা সকলকে নিয়ে এই ক্যাম্পাস চালাবো। আমার একার পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় চালানো অসম্ভব। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি অংশ, এমন আরও অনেক অংশ আছে, সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ যারাই যারাই ভালো রাখতে চায়, এই দেশকে যারা ভালোবাসে তাদের সকলের সঙ্গে আমাদের সখ্যতা থাকবে। ঢাবি ছাত্রলীগ কখনোই তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী বানাবে না। আশা করি, এতে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো হবে।

দরজায় কড়া নাড়ছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা। গত বছর প্রশ্ন ফাঁস নিয়ে একটি বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। এবার প্রশ্ন ফাঁস রোধে ছাত্রলীগ কী চিন্তাভাবনা করছে?

প্রশ্ন ফাঁস রোধে ভর্তি পরীক্ষা শুরুর আগেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ যে কোনো একদিন প্রশ্ন ফাঁস বিরোধী একটি মত বিনিময় সভার আয়জন করবে। এই সভার মাধ্যমে আমরা সবাইকে আমাদের ‘ফেয়ার’ অবস্থান জানিয়ে দেব। ছাত্রলীগের কেউ যদি প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ওরা যতটুকু অন্যায় করবে সে অনুপাতে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পাবে। সবচেয়ে বড় কথা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রশ্ন ফাঁস করবে না। কিন্তু আমাদের বিরুদ্ধে প্রশ্ন ফাঁস বিষয়ে কেউ যদি গুজব ছড়াতে চেষ্টা করে তার প্রতিরোধে আমাদের মত বিনিময় সভাটা হবে অত্যন্ত জরুরি। এই মতবিনিময় সভাটার মাধ্যমে আমরা আমাদের অবস্থান পরিষ্কার করে দেব, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্রলীগের কোনো অংশই প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকবেনা । যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তারা ছাত্রলীগের অংশ নয় এবং তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই ক্ষেত্রে আমরা প্রশাসনকে শতভাগ সহযোগিতা করবো।

সাধারণ ছাত্রদের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগকে জনপ্রিয় করে তুলতে কী কী কর্মসূচির কথা ভাবছেন? সদ্য সাবেক কমিটি হলের খাবারের মানোন্নয়নের মতো কিছু কর্মসূচি হাতে নিয়েছিল।

গতবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ অনেক কাজ করেছে। তাঁরা হলের খাবারের মান নিয়ে কথা বলেছেন, অনেক প্রোগ্রাম করেছেন। কিন্তু এই উদ্যোগগুলো খানিকটা প্রোগ্রামের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল। আমরা চাইবো, আমরা যেন উদ্যোগগুলো কর্মে রূপান্তরিত করতে পারি। এছাড়া বিভিন্ন হলে যে লাইব্রেরিগুলো আছে, সেখানে যেন কোনো বহিরাগত পড়াশোনা করতে না পারে এবং বিভিন্ন হলে কোনো বহিরাগত যেন হলে থাকতে না পারে সেই বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর যাদের ছাত্রত্ব শেষ হয়ে গেছে তাদেরকে প্রয়োজনে আমরা হল ছাড়ার জন্য অনুরোধ করবো। কারণ আমরা যদি খারাপ ভাবে বলতে যাই তাহলে আবার খবর হবে সিটের ভাড়া না দেওয়ায় তাদেরকে আমরা মেরে বের করে দিয়েছি। আমাদের নামে তো অভিযোগের তো অভাব নেই। এজন্য প্রয়োজনে তাদেরকে আমরা বুঝিয়ে বলবো কিন্তু এই ক্যাম্পাসের পরিবেশ সার্বিকভাবে ভালো রাখার জন্য চেষ্টা করবো।

আমরা হলের গণরুমগুলোতে যাবো। এখন গরম কাল আর অনেক গণরুমেই ফ্যান নেই, অনেক রুমে একটা-দুইটা করে আছে। সেক্ষেত্রে আমরা ফ্যান দিয়েও সহায়তা করবো। আমরা যদি জানি কোনো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কোনো ধরনের সমস্যায় আছে তাহলে সেটা সমাধান করতে আমরা নিজেরাই এগিয়ে যাবো। আমাদের কাছে এসে অনুরোধ করতে হবে না। এটাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের মূলনীতি হবে। সাধারণ ছাত্রদের দোরগোড়ায় সবসময় থাকবে ঢাবি  ছাত্রলীগ। আমরা নিজেদেরকে কোনো আলাদা জগতের প্রাণি মনেও করবো না, হতেও দেব না।

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে সম্প্রতি উপাচার্যসহ তিনজনকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে। ডাকসু নির্বাচন নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের অবস্থান কী?

ডাকসু নির্বাচন নিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা নেই। আমরা প্রস্তুত। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কী সিদ্ধান্ত নেয় সেটা তাদের বিষয়। তবে ছাত্রলীগ ডাকসু নির্বাচনে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবে।

সামনে জাতীয় নির্বাচন। সবসময় দেখা যায়, যে কোনো ইস্যুকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসকে অস্থিতিশীল করার একটা চেষ্টা করা হয়। এই বিষয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে?

আমাদের পদক্ষেপ নির্ভর করছে অন্যরা কী ধরনের পদক্ষেপ নেবে তার ওপর। অন্যরা যদি ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় তাহলে আমরাও সেই ধরনের পদক্ষেপ নেব। আর ওরা যদি কোনো ধ্বংসাত্নক কার্যক্রম করতে চায় তবে আমরা তা প্রতিহত করবো। আমরা এই বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল করতে কখনোই দেব না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশকে ঠিক রাখার জন্য এখানে অরাজকতা সৃষ্টিকারী কাউকে আমরা বিন্দুমাত্র ছাড় দেব না, সে যেই হোক না কেন। এ বিষয়ে আমরা জিরো টলারেন্স।

এক্ষেত্রে আবার একটা প্রসঙ্গ চলে আসে যে ছাত্রলীগ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নয়। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আর্মস ব্যবহার করতে পারে কিন্তু ছাত্রলীগের সেই অধিকার নেই।

আমি নিজেও ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে প্রায় ১০ বছর ধরে জড়িত। বিগত ১০ বছরে আমি কারো হাতে আর্মস দেখিনি। আর্মসের তো প্রয়োজন আসে না। এই বিশ্ববিদ্যালয়কে স্থিতিশীল রাখতে চায়, ভালো রাখতে চায় এমন মানুষের সংখ্যাই বেশি। তাই আমি বিশ্বাস করি, আমরা সকলে যদি একসাথে চেষ্টা করি তাহলে আর্মস ছাড়াই বিশ্ববদ্যালয়ের পরিবেশ সুস্থ ও সুন্দর রাখা যাবে।

কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ থেকে গুজব প্রতিরোধের জন্য সাইবার ব্রিগেড গড়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের কি এমন কোনো উদ্যোগ গ্রহণের পরিকল্পনা আছে?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ কোনো গোপন বিষয় প্রকাশ করতে চাচ্ছে না। আমাদেরও এমন কার্যক্রম থাকবে তবে সেগুলো প্রকাশ করতে চাচ্ছি না। এতে প্রাইভেসি হুমকির সম্মুখীন হয় আর আমাদের বিরুদ্ধ শক্তি আরও বেশি শক্তিশালী হয়ে যাবে। সবকিছু ফেসবুকের মাধ্যমে করতে হবে তা আমরা বিশ্বাস করি না। আমাদের অবশ্যই সাইবার ব্রিগেড থাকবে। এই ব্রিগেড পর্দার অন্তরালে কাজ করবে। কারা কাজ করবে, কোন জায়গা থেকে পরিচালিত হবে কেউ জানবে না। ট্রেনিং নেওয়ার মাধ্যমে বা প্রশাসনিক দপ্তরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানের কথাবার্তা বলে সহযোগিতা নিয়ে আমরা সাইবার ব্রিগেড চালু করবো। এটা তো আসলে চাইলেই গড়ে তোলা যাবে না। সাইবার ব্রিগেড গড়ে তুলতে হলে আমাদের আর্থিক সহায়তা লাগবে। এখন পর্যন্ত সাইবার ব্রিগেড গঠন করা হয়নি। আপাতত স্বাভাবিক কার্যক্রমের মাধ্যমে গুজব প্রতিহত করার চেষ্টা করা হবে।

অনুপ্রেবশকারী রোধে কী ব্যবস্থা নেবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ?

সমুদ্রে অনেক ধরনের প্রাণি থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ একটি বিশাল ছাত্র সংগঠন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগও সংগঠন হিসেবে বেশ বড়। এখানে অনুপ্রবেশকারীরা ঢোকার চেষ্টা করবে তা অস্বাভাবিক নয়। তাঁদেরকে ঠেকানোর জন্য যা যা ব্যবস্থা নেওয়া দরকার ঢাবি ছাত্রলীগ তা গ্রহণ করবে। যেমন এবার আমরা কমিটি করার আগে সকলের পরিবারের খোঁজখবর নেব। সারা দেশব্যাপী আমাদের নিজেদেরও একটা যোগাযোগ আছে। ভালো করে খোঁজখবর নিয়ে যারা যোগ্য, যারা ভিন্ন কোনো আদর্শ ধারণ করে না, তাদেরকেই আমরা পোস্টে বহাল রাখবো। তারপরও আপনারা জানেন শতভাগ বলে কিছু নেই। তারপরও আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো যাতে একজন অনুপ্রবেশকারী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগে ঢুকতে না পারে।

নির্বাচন সামনে রেখে কোনো বার্তা?

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশের সম্পদ। দেশের খেটে-খাওয়া মানুষের টাকায় আমরা পড়াশোনা করি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেকটি ইট-কাঠে এই মেহনতি মানুষের ঘাম লেগে আছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্পদের, বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের কোনো ধরনের ক্ষতি যদি করার চেষ্টা যদি কেউ করে তাদেরকে শক্ত হাতে প্রতিহত করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিটি নেতাকর্মী রাজপথে থাকবে। বাংলাদেশকে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের রাষ্ট্র পরিণত করতে, যারাই অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে। এজন্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ প্রয়োজনে দিনরাত না ঘুমিয়ে পরিশ্রম করবে। সবার আগে থেকে ঢাবি ছাত্রলীগ প্রাচ্যের অক্সফোর্ডখ্যাত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ ভালো রাখার সর্বাত্নক চেষ্টা করবে। আর আমরা জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যে সকল উন্নয়ন কাজ করেছেন এরপর আমার মনে হয় না আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে অন্য কোনো দলকে মানুষ ভোট দেবে।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি 



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

খালেদা-তারেককে বাদ দেয়ার কথা ভাবছে বিএনপি

প্রকাশ: ১০:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।

সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানকে বাদ দিয়ে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি কিনা- সেই বিকল্প চিন্তা আমাদের মধ্যে আছে। 

তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি কমিটি বা বডি বাছাই করা হবে যারা তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিবে। বিষয়টিকে আরও পরিষ্কার করে তুলে ধারার জন্য আলাল বলেন, এরকম কমিটি বা বডির চিন্তা-ভাবনা আছে। হয়তো ওই দুইজনের (খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান) পক্ষ থেকেই বলা হতে পারে- চূড়ান্ত পর্যায়ে গেলে অপশন এ-বি-সি থাকবে। এই নির্দিষ্ট পাঁচজন বা এই বডি মিলে তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্ত দিয়ে দিবে।

উল্লেখ্য, বিভিন্ন সময় পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকদের সাথে বিএনপির বৈঠকে দলটির ভবিষ্যত পরিকল্পনা কিংবা আন্দোলন-সংগ্রাম নিয়ে কোন কিছু জানতে চাইলে বেশির ভাগ সময় কোন সদুত্তর দিতে পারেন না বিএনপির শীর্ষ নেতারা। এক্ষেত্রে তারা বলেন যে, তারা (বিএনপি) লন্ডনের (তারেক জিয়া) সঙ্গে কথা বলে পরে তাদেরকে (কূটনীতিক) জানাবেন। এ রকম বাস্তবতায় কূটনীতিকরা দলের নেতৃত্ব থেকে বিএনপির এই শীর্ষ দুই নেতাকে বাদ দেয়া যায় কিনা সে ব্যাপারে পরামর্শ দিয়েছে বিভিন্ন সময়। এখন দেখার বিষয় শেষ পর্যন্ত বিএনপিতে কি সিদ্ধান্ত আসে।

খালেদা জিয়া   তারেক জিয়া   বিএনপি   সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

পদ্মশ্রী পদক পাওয়ায় শুভেচ্ছা জানাতে বন্যার বাসায় সস্ত্রীক নানক

প্রকাশ: ০৯:২৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত হওয়ায় দেশের খ্যাতনামা রবীন্দ্র সংগীতশিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক। সঙ্গে ছিলেন তার সহধর্মিনী অ্যাডভোকেট সৈয়দা আরজুমান বানু নারগিস।

বুধবার (২৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বন্যার মোহাম্মদপুরের বাসায় গিয়ে তাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান নানক ও তার স্ত্রী। এ সময় ঢাকা ১৩ আসনের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং অন্যান্য অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
  
শুভেচ্ছাকালে পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন বাংলাদেশের অর্জন। তার এই অর্জন আমাদের। সংগীত অঙ্গনে বন্যার এই অর্জন আগামী প্রজন্মের কাছে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। 

উল্লেখ্য, গত সোমবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যায় দিল্লিতে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর হাত থেকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদক গ্রহণ করেন রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা।

রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা   জাহাঙ্গীর কবির নানক  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ দায়ী: মির্জা আব্বাস

প্রকাশ: ০৭:১৮ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

তীব্র গরমের জন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে দায়ী করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেছেন, আজকে দেশে ঋতু নেই। এখনকার মানুষজনও বলতে পারে না বাংলাদেশে কয়টি ঋতু। দেশটি পরিকল্পিতভাবে ধীরে ধীরে মরুকরণের দিকে যাচ্ছে। এর জন্য দায়ী সরকার।

বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বিকেলে রাজধানীতে সাধারণ মানুষের মাঝে বোতলজাত সুপেয় খাবার পানি, স্যালাইন ও হিটস্ট্রোক থেকে বাঁচতে সচেতনতামূলক লিফলেট বিতরণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপির এ নেতা। জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন (জেডআরএফ) এ কর্মসূচির আয়োজন করে।

মির্জা আব্বাস বলেন, ১১শ’র বেশি নদী ছিল বাংলাদেশে। কিন্তু তিনশ’র মতো নদী নিখোঁজ হয়ে গেছে আওয়ামী ভূমি দস্যুদের কারণে। এই হলো দেশের অবস্থা। অন্যদিকে ঢাকা শহরকে ইট-কাঠ-পাথরে ভরে দেওয়া হয়েছে। গাছ দেখা যায় না। ঢাকার চারপাশে জলাশয়গুলো ভরাট হয়ে গেছে। সরকারের মদদপুষ্ট ভূমি দস্যুরা সেসব ভরাট ও দখল করেছে। ভূমি দস্যুদের সঙ্গে সরকারের তলে তলে যোগাযোগ আছে। রাজধানীকে কৃত্রিম মরুভূমি বানানো হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশে তাপমাত্রা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতিদিনই হিটস্ট্রোকে কোথাও না কোথাও মানুষ মারা যাচ্ছে। ঢাকা শহরও এর ব্যতিক্রম নয়। এ অবস্থায়ও সাধারণ মানুষকে সহায়তার জন্য জেডআরএফ পানি ও স্যালাইন বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছে। কারণ, আমরা রাজনীতি করি সমাজের কল্যাণের জন্য।

তীব্র গরম   মির্জা আব্বাস   বিএনপি  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বিএনপির ইউটার্ন

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলেছেন যে, উপজেলা নির্বাচনটি দলীয় ভিত্তিতে হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক দিচ্ছেন না। কিন্তু আমাদের অবস্থান হলো খুব সুস্পষ্ট। আমরা এই সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। এই নির্বাচন কমিশনের অধীনেও কোনো নির্বাচনে যাব না। তার মতে, এই কারণেই বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। 

তবে বিএনপির সিদ্ধান্তকে অগ্রাহ্য করে দুই শতাধিক বিএনপির প্রার্থী এখন নির্বাচনের মাঠে। প্রথম দফার নির্বাচনে বিএনপির ৬৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। তাদেরকে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বলা হলেও শেষ পর্যন্ত ৪ জন ছাড়া কেউই মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। এদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা অত্যন্ত সংহত বলেও জানা গেছে। আর এ কারণেই বিএনপি ইউটার্ন নিয়েছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত ছিলো যে, যারা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কিন্তু মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনের পরেও বিএনপির পক্ষ থেকে এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। বিএনপি এক্ষেত্রে অপেক্ষার নীতি গ্রহণ করেছে বলেই দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে।

তবে বিএনপির একজন সিনিয়র নেতা বলছেন যে, বিএনপি পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে এবং উপযুক্ত সময় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না বলেও ওই নেতা অভিমত ত্যক্ত করেছেন। 

বিএনপির আশা ছিলো স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্তের পর দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফায় হয়তো বিএনপির নেতারা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন না। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে তার বিপরীত। প্রথম দফার চেয়ে দ্বিতীয় দফায় বিএনপির প্রার্থীর সংখ্যা বেশি এবং তৃতীয় দফাতেও আনুপাতিক হারে প্রার্থীর সংখ্যা বেড়েছে। এর কারণ হিসেবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, যে সমস্ত এলাকায় বিএনপির জনপ্রিয়তা বেশি এবং যে সমস্ত এলাকায় নেতারা যত বেশি জনবান্ধব তারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। কারণ তারা মনে করছেন, সংগঠন রক্ষা করা এবং নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষার জন্য এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। আর এ কারণেই তারা দলীয় সিদ্ধান্তকে এখন তোয়াক্কা করছে না। 

অন্যদিকে বিএনপির শীর্ষ নেতারা অনুধাবন করছেন যে, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটা অত্যন্ত কঠোর হয়েছে, আত্মঘাতী হয়েছে এবং এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা বিএনপির জন্য বড় ধরনের চ্যালেঞ্জিং হবে। বিশেষ করে কোন কোন উপজেলায় যদি বহিষ্কার করা হয় তাহলে ওই এলাকাটি বিএনপি শূন্য হয়ে যাবে। এ কারণেই বিএনপি এখন তাদের সিদ্ধান্তকে পুনঃমূল্যায়ন করছে। কেউ কেউ বলছেন যে, বিএনপি ইউটার্ন করেছে। তবে শেষ পর্যন্ত বিএনপির সব সিদ্ধান্ত আসে লন্ডন থেকে। বিএনপি নির্বাচনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কি নেবে তা জানার এখতিয়ার বিএনপির ঢাকার কোন নেতার নেই। লন্ডন থেকে কি বাণী আসে তার অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

বেঁচে যাচ্ছেন রাজ্জাক, ফেঁসে যাচ্ছেন শাজাহান খান

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

উপজেলা নির্বাচনে কোন্দল বিভক্তি এবং আধিপত্য ঠেকাতে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। এই নির্দেশনার মধ্যে সবচেয়ে বড় নির্দেশনা ছিল মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনরা উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারবেন না। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের কয়েক দফা হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, নেতাকর্মীদেরকে নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনা একমাত্র প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ছাড়া কেউই মানেননি। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিষয়টি বরদাস্ত করা হবে না এবং আগামী ৩০ এপ্রিল দলের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে।

আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী এ বিষয়ে তার কঠোর মনোভাবের কথা ইতোমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন। এরকম একটি পরিস্থিতিতে আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের খবর পাওয়া যাচ্ছে। আর এরকম ব্যবস্থা যদি শেষ পর্যন্ত নেওয়া হয়, তাহলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান বড় ধরনের ঝুঁকিতে পড়তে যাচ্ছেন। গতকাল তাকে এ ব্যাপারে ইঙ্গিতও দিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ওবায়দুল কাদের আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে শাজাহান খানকে ভর্ৎসনা করেছেন বলেও গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে জানা গেছে।

অন্যদিকে ড. রাজ্জাক তার খালাতো ভাইকে প্রার্থী করলেও এই যাত্রায় তিনি বেঁচে যাচ্ছেন। কারণ আওয়ামী লীগ আত্মীয়স্বজনদের ব্যাপারে যে নীতিমালা গ্রহণ করেছে তাতে বলা হচ্ছে যে, যদি কোন স্বজন আগে উপজেলা চেয়ারম্যান থাকেন তবে তার প্রার্থী হতে কোনও অসুবিধা নেই। আগে উপজেলা চেয়ারম্যান হিসেবে ছিলেন ড. রাজ্জাকের খালাতো ভাই। কাজেই এবার তিনি প্রার্থী হওয়ার ক্ষেত্রে স্বজনপ্রীতি নীতির আওতায় পড়বেন না। আর এ কারণেই তার বিরুদ্ধে কোনো শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না বলেও জানা গেছে।

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেছেন, যে সমস্ত প্রার্থীরা আগে থেকেই উপজেলা চেয়ারম্যান ছিলেন তারা এবার প্রার্থী হবেন। এমনকি তারা কোন নেতার স্বজন হলেও প্রার্থী হতে অসুবিধা নেই। এই বিবেচনায় ড. রাজ্জাক এ যাত্রায় বেঁচে যাচ্ছেন।

তবে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতারা বলছেন, প্রধানমন্ত্রী এই বিষয়গুলোকে ইতিবাচক ভাবে নেননি। হয়তো তিনি সরাসরি শাস্তির হাত থেকে বাঁচবেন, তবে তার রাজনৈতিক ভবিষ্যত এই সিদ্ধান্তে কতটা উজ্জ্বল হবে সেটি সময়ই বলে দেবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাক   আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন   শাজাহান খান  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন