নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২০ পিএম, ১২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১ টার দিকে হঠাৎ করেই নিউইয়র্কের পথে রওয়ানা হলেন। উদ্দেশ্য জাতিসংঘ। সেখানে বাংলাদেশ নিয়ে শুনানিতে বিএনপির বক্তব্য তুলে ধরবেন তিনি।
২০১৩ সালে নির্বাচন-পূর্ব রাজনৈতিক পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে জাতিসংঘের রাজনীতি বিষয়ক সহকারী মহাসচিব অস্কার ফার্নান্দেজ তারানকো এসেছিলেন বাংলাদেশে। তিনি দফায় দফায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বৈঠক করেন এবং নির্বাচনে সমঝোতার চেষ্টা করেন। বরাবরই জাতিসংঘ বিভিন্ন দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিষয়গুলো নিয়ে কোনো সংকট সমাধানের চেষ্টা করে। ২০১৪ সালের নির্বাচনে কোনো ভূমিকা রাখতে ব্যর্থ হলেও এবার ভূমিকা রাখতে পারবে এমন আশায় বিএনপি জাতিসংঘে নানা অভিযোগ উত্থাপন করেছে। এই অভিযোগের শুনানিতে অংশ নিতেই গতকাল রাতে নিউইয়র্কে পথে রওয়ানা হন মির্জা ফখরুল।
অবশ্য বিএনপি সূত্র জানা গেছে, জাতিসংঘের পক্ষ থেকে শুনানিতে অংশ নিতে শুধু মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকেই আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। কিন্তু তাঁর সঙ্গী হয়েছেন বিএনপির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল আউয়াল মিন্টুর ছেলে তাবিথ আউয়াল। বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হলেও তাবিথ আউয়াল সরাসরি বিএনপির রাজনীতি থেকে কিছুটা দূরের বলা চলে বরং ক্রীড়া সংগঠন বলেই তিনি কিছুটা পরিচিত। জাতিসংঘে বাংলাদেশ নিয়ে শুনানিতে তাবিথের মির্জা ফখরুলের সঙ্গী হওয়ার বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই।
বিএনপি সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, আসলে মির্জা ফখরুলকে পাহারা দিতেই তাবিথ আউয়ালকে সঙ্গে পাঠানো হয়েছে। আবার লন্ডন থেকে নিউইয়র্কে পথে রওয়ানা হয়েছেন বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব হুমায়ুন কবির। তাবিথ ও হুমায়ূন কবির মূলত নিউইয়র্ক যাচ্ছেন তারেক জিয়ার প্রতিনিধি হিসেবে। বিএনপি মহাসচিবের সাম্প্রতিক অনেক কর্মকাণ্ডই তারেক পন্থীদের বিরুদ্ধে যাচ্ছে। তাঁকে নিয়ে প্রচণ্ড অবিশ্বাস এখন তারেক পন্থী বিএনপি শিবিরে। আর তাই নিউইয়র্কে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলকে চোখে চোখে রাখতেই নিউইয়র্কে যাচ্ছেন তাবিথ ও হুমায়ূন কবির। জাতিসংঘে অবিশ্বস্ত বিএনপি মহাসচিব কী করছেন, কী বলছেন- তারই খবর রাখবেন দুজন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।