নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:৪৭ এএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে আইন মন্ত্রণালয়ের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী আদালত বসছে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরোনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। যেখানে কারান্তরীণ মামলার অন্যতম আসামি বেগম জিয়া। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ৫ বছরের জন্য দণ্ডিত হয়ে চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি থেকেই তিনি সেই কারাগারে বন্দী। কিন্তু বেগম জিয়া অসুস্থতার দাবি তুলে চ্যারিটেবল মামলায় আদালতের শুনানিতে উপস্থিত হচ্ছিলেন না। কিন্তু মামলা তো শেষ করতে হবে। তাই বেগম জিয়ার কাছেই চলে গেল আদালত। বসল কারাগারে। কিন্তু যে কারণে আদালত কারাগারে সেটিই ভন্ডুল হতে বসেছে। আদালতে প্রথম কারাগার বসেছিল ৫ সেপ্টেম্বর। সেদিন আদালতে উপস্থিত হলেও আর আসবেন না বলে জানিয়েছিলেন বেগম জিয়া। গতকাল কারাগারের আদালতে শুনানির দ্বিতীয় দিনে চিঠি দিয়েই অনুপস্থিত বেগম জিয়া চিঠি দিয়ে জানালেন, তিনি আর আসবেন না। এখন প্রশ্ন উঠেছে, এই অবস্থায় কি করতে পারে সরকার? আর আইন অনুযায়ীই করার কী আছে?
আইনজ্ঞরা বলেন, আদালত কোনো ছেলে খেলার জায়গা নয়। কেউ ইচ্ছা হলেই যা খুশি করতে পারেন না। ইচ্ছা না হলেও আদালত উপস্থিত হওয়ার নির্দেশ দিলে একজনকে উপস্থিত হতেই হবে। আর আসামির প্রতিটি পদক্ষেপের ক্ষেত্রেই আইন অনুযায়ী আদালত পদক্ষেপ নিতে পারে।
কোনো আসামি আদালতে উপস্থিত না হতে চাইলে আইন অনুযায়ী তাঁকে আদালতে হাজির করার কিছু উপায় আছে। মুক্ত আসামি হলে আদালত সমন জারি করে তাঁকে আদালতে হাজির করতে পারে। আর আসামি যদি কারাগারে বা রাষ্ট্রের হেফাজতে থাকে, সেক্ষেত্রেও স্পষ্ট আইন আছে। এমন আসামির ক্ষেত্রে আদালত নির্দেশ (প্রডাকশন ওয়ারেন্ট) দিলে রাষ্ট্রের দায়িত্ব কারান্তরীণ বা হেফাজতে থাকা আসামিকে আদালতে হাজির করা।
আইন অনুযায়ী, বর্তমানে খালেদা জিয়া রাষ্ট্রের হেফাজতে। কারা কর্তৃপক্ষ তাঁর অভিভাবকের দায়িত্বে। আদালতের আদেশ পেলে কারা কর্তৃপক্ষেরই দায়িত্ব হবে বেগম জিয়াকে আদালতে হাজির করা। তবে বেগম জিয়াকে কীভাবে হাজির করবে সেটি সম্পূর্ণ ভাবে কারা কর্তৃপক্ষের বিষয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।