নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভারতের ভূমিকা কি হবে? এটা এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকার কি ২০১৪ সালের কংগ্রেসের মতোই আওয়ামী লীগকে অন্ধভাবে সমর্থন দেবে? নাকি ২০০৭ সালের মতো পরিস্থিতি সৃষ্টির জন্য দ্বৈতনীতি নেবে? এসব প্রশ্ন এখন রাজনৈতিক অঙ্গনে বহুল আলোচিত এবং চর্চিত বিষয়। বিশেষ করে নির্বাচনের আগে আগে ভারতের হাইকমিশনার বদলের ঘটনা নিয়ে নানামুখী আলোচনা চলছে।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা এখন প্রত্যক্ষ এবং অপ্রতিরোধ্য। বিএনপির নেতারাও স্বীকার করছেন যে, ভারত যেভাবে চাইবে বাংলাদেশের নির্বাচন সেভাবেই হবে। ভারতের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিএনপি নেতা স্পষ্ট করেই বলেছেন, ‘বিজেপি সরকার ২০১৪’র মতো ঘটনা বাংলাদেশে ঘটতে দেবে না।’ বিএনপির একজন নেতা মনে করেন, ‘আওয়ামী লীগ অতিমাত্রায় ভারত নির্ভর হয়ে পড়েছে। এটা তাদের জন্য সমস্যা হতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ে একজন গবেষক বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সময় ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেয়েছে। বিশেষ করে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের ব্যাপারে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃঢ় অবস্থান, ভারতের সব রাজনৈতিক দলের সম্মান এবং প্রশংসা অর্জন করেছে। কিন্তু ভারত বাংলাদেশে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চায়। আর যাই হোক, ২০১৪’র মতো নির্বাচন ভারত চায় না।’
তবে, আওয়ামী লীগের নেতারাও স্পষ্ট করেই বলছেন, ‘২০১৪’র মতো নির্বাচন আওয়ামী লীগও চায় না।’ আওয়ামী লীগের প্রায় সব নেতাই বলছেন, ‘আগামী নির্বাচন হবে সকল দলের অংশগ্রহণে। বিএনপিও সেই নির্বাচনে অংশ নেবে।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণের লক্ষ্য থেকেই বিএনপির নেতারা ভারতের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়িয়েছে। কিন্তু বিএনপি নেতারাই বলছেন, ‘ভারতের কাছ থেকে বিএনপি কোনো সুখবর পায়নি।‘ ভারত বিএনপিকে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে তারেক জিয়া এবং জামাতকে বাদ দিয়ে এলেই বিএনপির সঙ্গে তাঁরা কথা বলবে। কিন্তু এই দুই বিষয়ে বিএনপি নেতারা সিদ্ধান্ত নিতে পারেনি। তাই আর যাই হোক, ভারত বাংলাদেশে এমন নির্বাচন করতে সহায়তা দেবে না যে নির্বাচনে বিএনপির ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা আছে, এমনটাই মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, ২০১৮’র নির্বাচনে আর যাই হোক বিএনপির ক্ষমতায় আসার কোনো সম্ভাবনা নেই।
সহজ-সরল হিসেবে, বিএনপির যদি ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা না থাকে তাহরে আওয়ামী লীগের তৃতীয়বার জয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বল হয়। কিন্তু সব সময়ই এটা তেমন নয়। ভারত দীর্ঘদিন ধরেই বাংলাদেশে একটি সেক্যুলার তৃতীয় শক্তির উত্থান চেয়েছে। এ জন্যই আওয়ামী লীগ নেতা প্রয়াত আবদুর রাজ্জাককে দিয়ে ‘বাকশাল’ গঠন করানো হয়েছিল। এরশাদের সঙ্গেও ভারতের সম্পর্কের খবর কোনো গোপন বিষয় নয়। ২০০৭ সালে, মাইনাস ফর্মুলাতেও ভারতের সায় ছিল। এখন ড. কামাল হোসেন এবং অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারেও ভারতের একটি অংশের প্রচ্ছন্ন সমর্থন রয়েছে। এটা কি আওয়ামী লীগকে ভয় দেখানোর জন্য? নাকি বিএনপিকে জামাত থেকে আলাদা করার জন্য? অথবা ভারত এমন কোনো রাজনৈতিক কৌশল নিয়েছে যা সবাইকে চমকে দেবে?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বিএনপি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকনকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সিনিয়র সহসভাপতি পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তবে ব্যক্তিগত বিরোধ ও তার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে ক্ষমতার অপব্যবহার করে তাকে বাদ দেওয়া হয়েছে বলে মত বিএনপিপন্থি আইনজীবীদের অনেকের। সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গনে তুমুল জনপ্রিয় এই নেতাকে বাদ দেওয়ায় ফোরামের নেতাদের ওপর ক্ষুব্ধ বিএনপির সিনিয়র নেতারাও। এ নিয়ে বিএনপিতে এখন বিভক্ত স্পষ্ট।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।