নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতীয় নির্বাচন আসলেই কোনো একটি দলের পক্ষে হুজুগ ওঠে। হুজুগেই দলটির পক্ষে অনেক আসন চলে যায়। জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিছু আসনও আছে যা হুজুগে দলের পক্ষেই যায়। আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমন হুজুগে আসন ১৭০টি। ১৯৭৯ থেকে ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন বিশ্লেষণ করে এ তথ্য পেয়েছে বাংলা ইনসাইডার।
গবেষণায় দেখা গেছে, এই ১৭০টি আসনের মধ্যে বেশিরভাগ আসনে প্রায় প্রত্যেকবারই পাল্টাপাল্টি জয়ের ঘটনা ঘটেছে। একবার নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয় পেয়েছে, তো পরের বার বিএনপি নয়তো জাতীয় পার্টি অথবা অন্য কোনো দল। আর জয়ের ভোটের ব্যবধানও বিপুল। অল্প কিছু সংখ্যক আসনে পরপর একই দল জয়ী হলেও পরবর্তী নির্বাচনেই আবার অন্য দলের প্রার্থীর জয়ী হতে দেখা যায়। ধারাবাহিক ভাবেই পাল্টাপাল্টি জয়ের বিষয়টি বজায় থেকেছে। মূলত নির্বাচনী হাওয়া যে দলের পক্ষে থাকে সেই দলই এইসব আসনে জয়ী হয় বলে গবেষণার প্রাপ্ত তথ্যে উঠে এসেছে। সংখ্যায় বেশি হওয়ায় এই আসনগুলোই নির্বাচনে কোন দল সরকার গঠন করবে তা নির্ধারণ দেয়।
গবেষণায় দেখা গেছে, সবথেকে হুজুগে আসন হলো সিলেট-১। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে দেশের রাজনীতিতে সিলেটের এই আসন নিয়ে এক ধরনের ‘মিথ’ প্রচলিত আছে। সিলেট-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যে দলের প্রার্থী জয়ী হয়, সেই দল সরকার গঠন করে বলে অনেকের বিশ্বাস। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, এই আসনে পাল্টাপাল্টি জয়ের ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া ঢাকার সবগুলো আসনেই জনগণকে নির্বাচনের স্রোতের সঙ্গে গা ভাসাতে দেখা গেছে। তালিকায় উল্লেখিত অন্যান্য আসনগুলোতেও বিপুল ভোটের ব্যবধানে এমন পাল্টাপাল্টি জয়ের ঘটনা ঘটেছে। এই হুজুগে আসনগুলোর কথাই আজ জানানো হলো:
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ১৭০ হুজুগে আসন:
বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ৩০০ আসনের মধ্যে প্রায় ৫৬.৬৭ শতাংশ আসন হুজুগে। শতাংশকে সংখ্যায় হিসেব করলে দাঁড়ায় ১৭০টি। এই আসনগুলোতে বিপুল ভোট ব্যবধানে যেকোনো দলের প্রার্থীই জয়ী হতে পারে। তবে জয়ের ক্ষেত্রে নির্বাচনী হওয়া দলের পক্ষে থাকতে হবে। এই আসনগুলো হলো- পঞ্চগড়-১, পঞ্চগড়-২, ঠাকুরগাঁও-১, ঠাকুরগাঁও-৩, দিনাজপুর-১, দিনাজপুর-২, দিনাজপুর-৩, দিনাজপুর-৪, দিনাজপুর-৬, নীলফামারী-১, নীলফামারী-৩, নীলফামারী-৪, লালমনিরহাট-৩, রংপুর-৪, রংপুর-৫, রংপুর-৬, কুড়িগ্রাম-৪, গাইবান্ধা-১, গাইবান্ধা-৪, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-৩, নওগাঁ-১, নওগাঁ-২, নওগাঁ-৩, নওগাঁ-৪, নওগাঁ-৬, রাজশাহী-১, রাজশাহী-২, রাজশাহী-৩, রাজশাহী-৫, রাজশাহী-৬, নাটোর-১, নাটোর-২, নাটোর-৩, সিরাজগঞ্জ-১, সিরাজগঞ্জ-৩, সিরাজগঞ্জ-৪, সিরাজগঞ্জ-৬, পাবনা-১, পাবনা-২, পাবনা-৩, পাবনা-৫, মেহেরপুর-১, কুষ্টিয়া-১, কুষ্টিয়া-২, কুষ্টিয়া-৪, চুয়াডাঙ্গা-১, চুয়াডাঙ্গা-২, ঝিনাইদহ-২, ঝিনাইদহ-৩, যশোর-২, নড়াইল-১, নড়াইল-২, বাগেরহাট-৪, খুলনা-৩, খুলনা-৪, খুলনা-৫, খুলনা-৬, সাতক্ষীরা-১, সাতক্ষীরা-২, বরগুনা-১, বরগুনা-২, পটুয়াখালী-১, পটুয়াখালী-২, ভোলা-২, ভোলা-৩, ভোলা-৪, বরিশাল-১, বরিশাল-২, বরিশাল-৬, ঝালকাঠি-১, ঝালকাঠি-২, পিরোজপুর-৩, টাংগাইল-১, টাংগাইল-২, টাংগাইল-৩, টাংগাইল-৪, টাংগাইল-৫, টাংগাইল-৬, জামালপুর-১, জামালপুর-২, জামালপুর-৪, শেরপুর-২, শেরপুর-৩, ময়মনসিংহ-২, ময়মনসিংহ-৪, ময়মনসিংহ-৫, ময়মনসিংহ-৯, নেত্রকোনা-১, নেত্রকোনা-৩, নেত্রকোনা-৪, নেত্রকোনা-৫, কিশোরগঞ্জ-৩, কিশোরগঞ্জ-৪, কিশোরগঞ্জ-৬, মানিকগঞ্জ-১, মানিকগঞ্জ-২, মানিকগঞ্জ-৩, মুন্সিগঞ্জ-১, মুন্সিগঞ্জ-২, মুন্সিগঞ্জ-৩, ঢাকা-১, ঢাকা-২, ঢাকা-৩, ঢাকা-৪, ঢাকা-৫, ঢাকা-৬, ঢাকা-৭, ঢাকা-৮, ঢাকা-৯, ঢাকা-১০, ঢাকা-১১, ঢাকা-১২, ঢাকা-১৩, ঢাকা-১৪, ঢাকা-১৫, ঢাকা-১৬, ঢাকা-১৭, ঢাকা-১৮, ঢাকা-১৯, ঢাকা-২০, গাজীপুর-৫, নরসিংদী-১, নরসিংদী-২, নরসিংদী-৩, নরসিংদী-৪, নারায়ণগঞ্জ-১, নারায়ণগঞ্জ-৩, নারায়ণগঞ্জ-৫, রাজবাড়ী-১, রাজবাড়ী-২, ফরিদপুর-২, ফরিদপুর-৩, সুনামগঞ্জ-১, সুনামগঞ্জ-৪, সুনামগঞ্জ-৫, সিলেট-১, সিলেট-৩, সিলেট-৪, সিলেট-৫, সিলেট-৬, মৌলভীবাজার-১, মৌলভীবাজার-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪, ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া-৫, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৬, কুমিল্লা-১, কুমিল্লা-৫, কুমিল্লা-৬, কুমিল্লা-৮, কুমিল্লা-১০, কুমিল্লা-১১, চাঁদপুর-১, চাঁদপুর-২, চাঁদপুর-৩, চাঁদপুর-৫, চট্টগ্রাম-১, চট্টগ্রাম-৩, চট্টগ্রাম-৫, চট্টগ্রাম-৭, চট্টগ্রাম-৮, চট্টগ্রাম-৯, চট্টগ্রাম-১০, চট্টগ্রাম-১১, চট্টগ্রাম-১২, কক্সবাজার-৪, পার্বত্য খাগড়াছড়ি ও পার্বত্য রাঙ্গামাটি।
বাংলা ইনসাইডার/বিপি/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।