নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে গত শনিবার জাতীয় ঐক্যের ঘোষণা দিয়েছেন গণফোরাম ও যুক্তফ্রন্টের নেতারা। এরপর মিছিলও বের করে দল দুটি। সংবাদ সম্মেলনে ও মিছিলে যুক্তফ্রন্টের অন্তর্ভুক্ত জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আব্দুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না এবং বিএনপিপন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী উপস্থিত থাকলেও অনুপস্থিত ছিলেন যুক্তফ্রন্ট ও বিকল্পধারার সভাপতি ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, শুধু জাতীয় ঐক্যের সঙ্গেই নয়, যুক্তফ্রন্টের সঙ্গেও যোগাযোগ কমিয়ে দিয়েছেন বিকল্পধারার চেয়ারম্যান বি. চৌধুরী।
গতকাল রোববার বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসায় বিকল্প ধারার একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে বি. চৌধুরী ছাড়াও মাহী বি. চৌধুরী এবং বিকল্পধারার অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন। গতকালের বৈঠকে বলা হয়েছে, বিএনপির বি টিম হওয়ার জন্য বিকল্পধারা জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করবে না। বিএনপিকে ক্ষমতায় বসানোর জন্য জাতীয় ঐক্যে অংশ নেওয়া হবে না বলেও বিকল্পধারার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
ড. কামাল হোসেনের যেমন আওয়ামী লীগের ওপর রাগ-ক্ষোভ, অভিমান আছে তেমনি বিকল্পধারার সভাপতি বি. চৌধুরীরও রাগ-অভিমান আছে বিএনপির ওপর। সাবেক রাষ্ট্রপতি বি. চৌধুরীকে যেভাবে বঙ্গভবন থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল তাতে বিএনপির প্রতি তাঁর রাগ-ক্ষোভ থাকা খুবই স্বাভাবিক। গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন এবং যুক্তফ্রন্ট নেতা ও নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় বিএনপিকে যুক্ত করার জন্য যে বাড়াবাড়ি করছেন তা বি. চৌধুরীর ক্ষোভ আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এই নিয়ে গতকালের বৈঠকেও তিনি ক্ষোভ প্রকাশও করেছেন। ড. কামাল ও মান্নার বিএনপির প্রতি দুর্বলতা এবং জাতীয় ঐক্যে দলটিকে নিতে তাঁদের উদগ্রীব মনোভাব দেখেই বি. চৌধুরী যুক্তফ্রন্ট এবং জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কার্যক্রম থেকে আস্তে আস্তে নিজেকে গুটিয়ে ফেলছেন। এছাড়া জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির কাছ থেকে ১৫০ আসনের দাবিতেও অনড় বি. চৌধুরী।
আসলে বি. চৌধুরী চাইছিলেন, বিএনপি তাদের কাছে এসে আত্মসমর্পণ করুন। কিন্তু ঐক্য প্রক্রিয়ার দুই নেতা ড. কামাল ও মাহমুদুর রহমান মান্না নিজেরাই বিএনপিকে ঐক্যে নিতে অতি উৎসাহ দেখাচ্ছেন। এ কারণে জাতীয় ঐক্য ও যুক্তফ্রন্টের কার্যক্রম থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বি. চৌধুরী।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।