নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:২৩ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জোটবদ্ধ হয়ে কোনো কার্যক্রমের আগেই ভাঙ্গনের সুর যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায়। ঐক্য নিয়ে হতাশ হয়ে এখন নতুন জোট নিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছেন যুক্তফ্রন্টের আহ্বায়ক ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী।
সম্প্রতি প্রেসক্লাবে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সংবাদ সম্মেলনে অনুপস্থিত ছিলেন বি. চৌধুরী। ওই অনুপস্থিতেই সংবাদ সম্মেলন করেন ড. কামাল হোসেনসহ অন্যান্যরা। এরপর ঐক্যের একাধিক অনুষ্ঠানে অনুপস্থিত ছিলেন বি. চৌধুরী। এ নিয়েই প্রশ্ন উঠছিল তবে কি জোট ছাড়ছেন বি. চৌধুরী। এবার জানা গেল নতুন জোটের কথা।
জানা গেছে, যুক্তফ্রন্ট ভেঙে নতুন জোট গঠনের জন্য বি. চৌধুরীর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী এরই মধ্যে অনেকের সঙ্গে কথা বলা শুরু করেছেন। এদিকে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদের কথা হয়েছে বি. চৌধুরীর। নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, জোটকে শক্তিশালী করতে বিএনপির একটি বড় অংশকে দলে ভেড়ানোর চেষ্টা করছেন তাঁরা। আর বিশ্লেষকরা বলছেন, তাঁরা সফল হলে ড. কামাল হোসেনের জোটের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী হতে পারে।
ভারতে ৭ দিনের জন্য সফরে যাওয়া লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেছেন, বি. চৌধুরীর নতুন জোটে তিনি থাকবেন। আরও থাকতে পারে আন্দালিব রহমান পার্থের বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি), মেজর জেনারেল (অব) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টি। এছাড়া আরও কয়েকটি সমমনা দলের সেখানে যোগদান করতে পারে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।