নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:১২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের চলে যাওয়ার কথা ছিল। তাঁর জায়গায় নতুন মার্কিন রাষ্ট্রদূত হওয়ার কথা ছিল আর্ল রবার্ট মিলারের। বিদায় ঘণ্টা শব্দে প্রস্তুতিও নিচ্ছিলেন মার্শা বার্নিকাট। সবাই কাছ থেকেই মোটামুটি বিদায় নিয়ে ফেলেছেন এমন সময় ওয়াশিংটন থেকে বার্তা এলো, নির্বাচন পর্যন্ত মার্শা বার্নিকাটই থাকছেন বাংলাদেশের মার্কিন রাষ্ট্রদূত। একই অবস্থা দেখা যাচ্ছে ভারতের হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলার ক্ষেত্রেও।
বাংলাদেশে ভারতের হাইকমিশনারের পদে পরিবর্তন আসবে বলে জানা গিয়েছিল। বর্তমান ভারতীয় হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দায়িত্ব নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনে চলে যাওয়ার কথা ছিল। আর বাংলাদেশে নতুন হাইকমিশনার হওয়ার কথা ছিল ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন সাংস্কৃতিক সম্পর্ক কাউন্সিলের ঢাকা কার্যালয়ের দায়িত্বে থাকা রিভা গাঙ্গুলি দাসের। তবে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের মতো ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ও তাঁদের বর্তমান রাষ্ট্রদূত শ্রিংলাকেই আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশের দায়িত্বে রাখতে যাচ্ছে।
ধারণা করা হচ্ছে, মার্শা বার্নিকাটকে বাংলাদেশে রাখায় যুক্তরাষ্ট্রের সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতেই হর্ষবর্ধন শ্রিংলার বাংলাদেশের থাকার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে চাইছে ভারত। কূটনৈতিক সূত্রমতে, মার্শা বার্নিকাট ও হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দুজনেই গত কয়েক বছর ধরে বাংলাদেশে আছেন। তাঁরা দুজনই বাংলাদেশের রাজনীতি ও পরিস্থিতির সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছেন। এখন নতুন কেউ আসলে স্বভাবতাই বাংলাদেশ পরিস্থিতি বুঝে উঠতে তাঁর সময় লাগবে। এ কারণেই যুক্তরাষ্ট্র প্রথমে মার্শা বার্নিকাটকে সরিয়ে নেওয়ার চিন্তা করলেও পরে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে। একই ভাবে ভারতের উপলব্ধি, হর্ষবর্ধন শ্রিংলাকে সরিয়ে নেওয়া হলে বাংলাদেশের ওপর মার্কিন প্রভাব বাড়বে, কিন্তু তাদের প্রভাব কমে যাবে। বাংলাদেশের ওপর মার্কিন প্রভাব খর্ব করতেই ভারত শ্রিংলাকে নির্বাচন পর্যন্ত বাংলাদেশে রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে মত কূটনৈতিক বিশ্লেষকদের।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।