নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:২২ পিএম, ১৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
রাজধানীর এনইসি সম্মেলন কক্ষে আজ মঙ্গলবার সকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বসেছিল জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভা। একনেক সভা শেষে প্রধানমন্ত্রী কয়েকজন সিনিয়র নেতার সঙ্গে সর্বশেষ রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলাপ করেন। ওই আলাপের এক পর্যায়ে মাহী বি. চৌধুরীর ‘প্লান-বি’ উদ্যোগের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।
প্লান-বি এর মাধ্যমে তরুণদের রাজনীতিতে উৎসাহী করার প্রচেষ্টা অবশ্যই ভালো একটি উদ্যোগ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, এমন উদ্যোগই নেওয়া উচিত। তরুণরাই তো আগামী দিনে দেশ চালাবে। কাজের তাঁরা রাজনৈতিক ভাবে সচেতন হলে ভালো হয়।
বিকল্পধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ছেলে ও দলটির যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরী সম্প্রতি প্লান-বি নামক উদ্যোগের প্রচারণা চালাচ্ছেন। এই উদ্যোগে তিনি তরুণদের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত করার চেষ্টা করছেন।
প্লান-বি তে মাহী বি. চৌধুরী বলেছেন, ‘দিয়েছি তো রক্ত আরও দেব রক্ত- এমন স্লোগান মানুষ শুনতে চায় না। তরুণরা এখন মেধা ও ঘাম দিতে চায়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে আলাপকালে বলেছেন, এটাই তো আমার কথা। এখন এই ধ্বংসাত্মক জ্বালাও পোঁড়াও এর রাজনীতি আর দরকার নেই। এখন দেশ গড়ার কাজ চালাতে হবে।
প্লান- বি এর প্রচারণায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, বি. চৌধুরীসহ বাংলাদেশের রাজনীতিবিদদের তরুণ বয়সের অর্জনের বিষয়টিও তুলে ধরা হয়েছে। এই বিষয়টিরও প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।
মাহী বি. চৌধুরী প্রশংসা করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনিয়র নেতাদের বলেন, তিনি ২০০১ সালে বিরোধী দলে থাকা অবস্থায় মুন্সিগঞ্জ গিয়েছিলেন, তখন মাহী তাঁকে অনেক সম্মান করেছিল। তোরণ করাসহ বিভিন্ন ভাবেই শেখ হাসিনার প্রতি সম্মান জানান মাহী।
এ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনিয়র নেতাদের বলেন, রাজনীতিতে মতপার্থক্য থাকতেই পারে, কিন্তু সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি করলেই গণতন্ত্র সুসংহত হবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।