নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:১৫ এএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেছেন। মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধানে নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর এটি দ্বিতীয় ভিডিও কনফারেন্স। গত ১০ সেপ্টেম্বর ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে দুই দেশের যৌথ উদ্যোগে কয়েকটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন দুই প্রধানমন্ত্রী। এরও আগে গত ৩০ অক্টোবর নেপালে বিমসটেক সম্মেলনে শেখ হাসিনা ও নরেন্দ্র মোদির মধ্যে বৈঠক হয়। এর মাত্র তিন মাস আগে ২৫ মে পশ্চিমবঙ্গের শান্তিনিকেতনে, ২০ এপিল লন্ডনে কমনওয়েলথ সম্মেলনে এবং ৭ এপ্রিল দিল্লিতে দুই নেতার মধ্যে তিনবার বৈঠক হয়। চলতি বছর প্রতিবেশী দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর মধ্যে অন্য যেকোনো সময়ের চেয়ে সবচেয়ে বেশি বৈঠক ও সাক্ষাৎ হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এত সাক্ষাৎ নিয়ে রাজনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে নানারকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। অনেকে বলছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার এত সাক্ষাৎ আগামী নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের প্রতিই ভারতের আস্থার প্রকাশ। আবার কেউ কেউ ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শেখ হাসিনার সাক্ষাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে নেতিবাচক মনোভাবের সৃষ্টি হওয়া নিয়েও আশঙ্কা প্রকাশ করেন। তাঁদের মতে, শেখ হাসিনা-মোদির মধ্যেকার সাক্ষাৎগুলো নিয়ে সাধারণ মানুষের কাছে ভুল বার্তাও যেতে পারে। অনেকে এর অর্থ করতে পারেন, আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য ভারতের উপর নির্ভর করছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারত একটি বড় ফ্যাক্টর। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর ভারতমুখিতা কিছুটা হলেও থাকা অস্বাভাবিক নয়। কিন্তু এটিও সত্য যে বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে ভারতবিরোধী মনোভাবও প্রবল। বাংলাদেশের সঙ্গে গত ১০ বছরে ভারতের সম্পর্কের অনেক উন্নতি হয়েছে। কিন্তু তিস্তা নিয়ে এখনো কোনো সমাধান হয়নি। তিস্তাসহ কিছু ইস্যুতে কোনো সমাধান না আসায় ভারতের প্রতি অনেক বাংলাদেশির ক্ষোভ আছে।
কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলেন, শুধু বাংলাদেশ-ভারতই নয় প্রতিবেশী দেশের প্রতি বিরূপ মনোভাব পৃথিবীর প্রায় সব দেশের মানুষের মধ্যেই লক্ষণীয়। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের মধ্যে যেমন ভারত বিরোধী মনোভাব আছে, তেমনি ভারত বিরোধিতা আছে নেপাল ও শ্রীলঙ্কায়ও। ইউরোপ-আমেরিকার দেশগুলোর মধ্যেও এমন মনোভাব দেখা যায়।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আওয়ামী লীগ দেশপ্রেমিক দল হিসেবেই পরিচিত, যাদের নেতৃত্বে স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। সুদীর্ঘ ঐতিহ্যের দলটির সঙ্গে ভারতের বর্তমান উষ্ণ সম্পর্কের বিষয়টি বাংলাদেশর অনেক মানুষ যে ভালোভাবে নিচ্ছে না সেটি তাদেরও অজানা থাকার কথা নয়। তাই আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব থেকে যা করা হচ্ছে তা বুঝেশুঝেই। এখন আওয়ামী লীগকেই দায়িত্ব নিয়ে প্রমাণ করতে হবে আওয়ামী লীগ নির্বাচনের জন্য কারও মুখাপেক্ষী নয়। ক্ষমতায় আসতে জনগণের শক্তির উপরই তাঁদের পূর্ণ আস্থা। এজন্য অন্য কারও দয়ার উপরও নির্ভরশীল নয় আওয়ামী লীগ।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।