নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
নির্বাচনপন্থী বিএনপির সিনিয়র নেতারাই ধরিয়ে দিচ্ছেন দলের কট্টর তরুণ তৃণমূলের নেতাদের। বিএনপি নেতা হাবীব-উন-নবী খান সোহেল গ্রেপ্তারের পর দলের সিনিয়র নেতাদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ উঠেছে। সোহেলের সঙ্গে গ্রেপ্তারের আগ পর্যন্ত সঙ্গে ছিলেন, এরকম একজন নেতা বলেন, ‘সোহেল ভাই বিএনপির এক কর্মীর বাসায় গিয়েছিলেন। সেখান থেকে আমার ফোনে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেনের সঙ্গে কথা বলেন।’ ঐ কর্মী জানান, সোহেল ড. খন্দকার মোশাররফের বাসায় যাওয়ার কথা বলছিলেন। এর ১০ মিনিট পর গুলশান এক নম্বরের কাছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন তাঁর গাড়ি অনুসরণ করেন এবং পরে তাঁকে গ্রেপ্তার করেন। তরুণ নেতাদের ধারণা, সোহেলকে ধরিয়ে দেওয়ার পেছনে ড. খন্দকার মোশাররফের হাত থাকতে পারে। এর ক’দিন আগে নারায়ণগঞ্জের ছাত্রদল নেতা ধানমণ্ডি থেকে গ্রেপ্তার হন। গ্রেপ্তার হবার আগেও তিনি বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্যের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেন। ঐ নেতা জানতে চান, তুমি কোথায়? উত্তরে তিনি জানান, ‘ধানমণ্ডি’। এর আধঘণ্টার মধ্যেই ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার হন। বিএনপির প্রতীকী অনশনের দিনও দলটির সিনিয়র নেতাদের সামনে থেকে একাধিক মাঠকর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়। সিনিয়র নেতারা তার প্রতিবাদ পর্যন্ত করেননি। বরং অভিযোগ উঠেছে, গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন কিছু নাম নিয়ে গিয়ে দুজন সিনিয়র নেতাকে জিজ্ঞেস করেন, ‘এখানে এরা আছে কিনা?’ তাঁরা ঐ কর্মীদের চিনিয়ে দেন।
গত দুই সপ্তাহে বিএনপির বেশ কিছু মাঠ পর্যায়ের নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। কিন্তু একমাত্র দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী ছাড়া এই গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ কেউ করেনি। এমনকি বিএনপির একাধিক আটক কর্মীর পরিবার থেকে বলা হয়েছে, গ্রেপ্তারের পর তাদের দলের পক্ষ থেকে কোনো আইনগত সহায়তাও দেওয়া হচ্ছে না। রুহুল কবির রিজভীসহ বিএনপির কট্টরপন্থীরা মনে করছেন, মাঠের নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তারের পিছনে বিএনপির সিনিয়র নেতাদের ইন্ধন আছে। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় দলীয় ফোরামেও এই অভিযোগ করেছেন। বিএনপিতে তরুণদের এই অংশ আর কাল বিলম্ব না করে অবিলম্বে সর্বাত্মক আন্দোলনের পক্ষপাতী। রুহুল কবির রিজভী গতকাল মঙ্গলবারও দলের সিনিয়র নেতাদের বলেছেন মাথা থেকে নির্বাচনের চিন্তা নামিয়ে ফেলুন। সোহেল, রিজভীসহ তরুণরা অবিলম্বে একদফার আন্দোলনের ঘোষণা দেওয়ার জন্য দলের সিনিয়র নেতাদের চাপ দিয়ে আসছিলেন। বিএনপির দলীয় সূত্রে জানা গেছে, ঢাকায় সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে তৃণমূলের বৈঠকের পরই ধরপাকড় শুরু হয়েছে। এর কারণ হিসেবে তরুণরা বলছে, যারা আন্দোলন করবে তারা গ্রেপ্তার হওয়ার ফলে রাজপথে আন্দোলনের সম্ভাবনা সংকুচিত হয়ে গেছে। এখন যারা বাইরে আছে, তারাও গ্রেপ্তারের ভয়ে রাজপথে নামতে ভয় পাবে। ফলে, আন্দোলন নেই এই অজুহাতে সিনিয়ররা নির্বাচনমুখী করতে পারবে দলকে। একাধিক সূত্র বলছে, বর্তমানে স্থায়ী কমিটিতে নজরুল ইসলাম খান এবং গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ছাড়া সবাই নির্বাচনের পক্ষে। তরুণদের ভয়েই তারা নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিচ্ছেন না। একটি সূত্র দাবি করেছে, বিএনপি মহাসচিবের সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে মির্জা ফখরুলের নিয়মিত কথাবার্তা হয়। তাই বিএনপির দেওয়া তালিকা অনুযায়ীই গ্রেপ্তার অভিযান চলবে কিনা, এই প্রশ্ন উঠেছে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।