নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০২:০০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের (ইউএনজিএ) ৭৩তম অধিবেশনে যোগ দিতে আগামীকাল শুক্রবার সকালে ঢাকা ছাড়বেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশন যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে অনুষ্ঠিত হলেও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে যাবেন যুক্তরাজ্যে। দুদিনের ব্রিটেন সফর শেষে প্রধানমন্ত্রী সেখান থেকেই রওয়ানা হবেন যুক্তরাষ্ট্রে।
শেষবার গত এপ্রিলে প্রধানমন্ত্রী যখন লন্ডন যান তখন অনেক শো ডাউন করেছিল বিএনপি। শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে সমাবেশ করে কুরুচিপূর্ণ ও সাম্প্রদায়িক স্লোগান দেয় লন্ডন বিএনপির নেতাকর্মীরা। এমনকি তারা একাত্তর টেলিভিশনের সাংবাদিক ফারজানা রূপার এবং ক্রীড়া উপমন্ত্রী আরিফ খান জয়ের ওপরও হামলা চালায়। তারও আগে দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার রায়ের আগের দিনও লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাসে হামলা করেছিল বিএনপি।
এরই ধারাবাহিকতায় এবারও আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফরকে ঘিরে দলটি অপতৎরতা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির এই প্রস্তুতির কথা ব্রিটিশ পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থাগুলোকে আগাম অবহিত করেছে লন্ডনে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাস।
এসব বিবেচনায় এবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার লন্ডন সফর উপলক্ষে ইতিমধ্যেই রেড এলার্ট জারি করেছে ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থা স্কটল্যান্ড ইয়ার্ড। প্রধানমন্ত্রীকে হাই সিকিউরিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রীর লন্ডন সফরকে কেন্দ্র করে নৈরাজ্য সৃষ্টির ব্যাপারে লন্ডনে অবস্থানরত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া সক্রিয় আছেন আর তারেকের নির্দেশেই অপতৎপরতার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। জানা গেছে, নৈরাজ্য সৃষ্টিতে তারেকের সংশ্লিষ্টতার বিষয়েও ব্রিটিশ সরকারকে ইতিমধ্যে অবহিত করেছে লন্ডনের বাংলাদেশি দূতাবাস।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।