নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
পদত্যাগের প্রায় বছরখানেক পর একটি বই লিখে আবার আলোচনায় বাংলাদেশের সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। বইয়ের নাম ‘এ ব্রোকেন ড্রিম: রুল অব ল’, হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড ডেমোক্রেসি’। যার অর্থ দাঁড়ায় ‘একটি স্বপ্নভঙ্গ: আইনের শাসন, মানবাধিকার এবং গণতন্ত্র’। গতকাল বুধবার গণমাধ্যমে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বই প্রকাশের খবর আসে। আর এর পরপরই তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত ড. কামাল হোসেনের ঐক্য হলো বিএনপির সঙ্গে। দুই এর মধ্যে কোনো যোগসূত্র আছে কি? স্পষ্টতই নির্বাচনের আগে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার পরিকল্পনা চলছে। অবশ্য, পুরো বই না আসায় তা পড়ার সৌভাগ্য কারও হয়নি এখনো। তবে সিনহার বইয়ের প্রচ্ছদ ও শিরোনাম থেকে একটি বিষয় স্পষ্ট, এখানে স্বপ্নভঙ্গের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু প্রশ্ন হলো কার স্বপ্নভঙ্গের কথা বলা হয়েছে।
আমরা জানি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার একটি স্বপ্ন ছিল। তাঁর স্বপ্ন ছিল ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়। যে স্বপ্ন পূরণ হয়েছিল সাবেক এই প্রধান বিচারপতির। ওই সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশে অসাংবিধানিক ধারার সূচনাও ছিল সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বপ্ন। ২০১৬ সালের ৩ জুলাই ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ে বঙ্গবন্ধুকে কটাক্ষ করে তিনি লিখেছিলেন, কারও একক কর্তৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীন হয়নি। বাংলাদেশের স্বাধীনতা ছিল সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বাংলাদেশের ইতিহাস বিকৃত করে সাবেক প্রধান বিচারপতি সিনহা কি স্বপ্ন পূরণ করতে চেয়েছিলেন? বাংলাদেশকে গণতন্ত্রহীন জায়গায় ঠেলে দেওয়াই কি ছিল তাঁর উদ্দেশ্য? যা হয়নি বলেই স্বপ্নভঙ্গ?
কোনো পেশার সর্বোচ্চ পদে আসীন হওয়াই ওই পেশার মানুষের স্বপ্ন বলে ধরে নেওয়া হয়। একজন সাংবাদিকের যেমন সম্পাদক হওয়ার স্বপ্ন থাকে, তেমন একজন বিচারকের স্বপ্ন হতে পারে প্রধান বিচারপতি হওয়া। বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ পদে গিয়ে সিনহার পেশাগত জীবনের স্বপ্ন তো পূরণ হয়েছিল। অবশ্য বিচারপতি সিনহার কিন্তু প্রধান বিচারপতি হওয়ার কথা ছিল না। ওয়ান ইলেভেনের সময় দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের তালিকা করেছিল সেনা সমর্থিত তৎকালীন ফখরুদ্দিনের তত্ত্বাবধায়ক সরকার। সেই তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ দুর্নীতিবাজ বিচারক হিসেবে নাম এসেছিল সুরেন্দ্র কুমার সিনহার। চায়ের আমন্ত্রণে দুর্নীতিবাজ বিচারপতিদের ডেকে নিয়ে গিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু সুরেন্দ্র কুমার সিনহা কৌশলে সেদিন পালিয়েছিলেন বঙ্গভবন থেকে। পরে ওয়ান ইলেভেনের অন্যতম কুশীলব ড. কামাল হোসেন। সাংবিধানিক নানা ফতোয়া দিয়ে অনির্বাচিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে টিকিয়ে রেখেছিলেন তিনি। সেই ড. কামাল হোসেনই জোরপূর্বক পদত্যাগ থেকে বাঁচিয়েছিলেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহাকে। পরে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পরে সিনহাকে আপিল বিভাগে নেওয়া হয়। সেখান থেকে প্রধান বিচারপতিও হন। অনাকাঙ্ক্ষিত পদত্যাগ থেকে প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর সুরেন্দ্র কুমার সিনহার আর পেশাগত সর্বোচ্চ অর্জন বাকি রইলো না। এরপরও কি তাঁর স্বপ্ন পূরণ হয়নি?
পেশাগত জীবনের সর্বোচ্চ স্থানে গিয়ে নিজের অযোগ্যতা ঢাকতেই কিনা ‘পঁচা পিয়াজের ঝাঁজ বেশি‘ নীতিতে গেলেন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। হেন কোনো সমাবেশ নেই যেখানে গিয়ে রাজনৈতিক বক্তৃতা দেননি তিনি। অতিকথনে সমালোচিত হলেও সাবেক প্রধান বিচারপতির কথন থামেনি কখনো। অথচ এই সিনহার বিরুদ্ধেই উঠতে থাকে দুর্নীতিসহ নানা অভিযোগ। তাঁর ব্যাংক অ্যাকাউন্টে পাওয়া যায় হিসাববিহীন দুই কোটি টাকা। নৈতিক স্থলনের অভিযোগ ওঠে তাঁর বিরুদ্ধে। অধস্তন নারী কর্মকর্তার সঙ্গে তাঁর অনৈতিক সম্পর্কের খবর ছড়িয়ে পড়ে আদালত পাড়ায়। তখন সিনহার প্রধান বিচারপতি থাকাটা আর কতোটা যৌক্তিক থাকে?
বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি পদটি অনন্য উচ্চতার একটি পদ বলেই মানা হয়। বাংলাদেশের রাজনীতিসহ সব কিছুর উর্ধ্বে একজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি হন প্রধান বিচারপতি। এই পদে ছিলেন বিচারপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ, যার হাতেই বিচার বিভাগের স্বাধীনতা প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি পেয়েছে। শুধু বিচারপতি শাহাবুদ্দিনই নয়, তাঁর মতো আর সব বিচারপতিই ছিলেন সব কিছুর উর্ধ্বে। সেখানে বিচারপতি সিনহা প্রধান বিচারপতি হওয়ার পর থেকে একটি দিন কাটেনি যখন বিতর্কিত হননি।
বিচারপতি সিনহার আরেকটি স্বপ্ন ছিল, যা তিনি বিভিন্ন স্থানের বক্তৃতায় বলেছেনও। স্বপ্নটি ছিল তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান হওয়া। বিচারপতি খায়রুল হকের নেতৃত্বে আপিল বিভাগ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে দিয়েছিল। জানা গিয়েছিল, তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিলের বিরুদ্ধে একটি রিভিউ পিটিশন তৈরি করেছিলেন ড. কামাল। যা নিয়ে আসার কথা ছিল আপিল বিভাগের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বেঞ্চে। বিচারপতি খায়রুল হকে রায় প্রদানের কথার ভিত্তিতে এই পিটিশন তৈরি করেছিলেন ড. কামাল। আবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হওয়া ১৫৪ এমপির বিরুদ্ধে রিট যা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছিল, তাও নিয়ে আসার কথা ছিল ড. কামালের। রিট দুটির মাধ্যমে বর্তমান সরকারকে অবৈধ করায় ড. কামালের অন্যতম ভরসা ছিল তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। সরকারের বিরুদ্ধে ‘জুডিশিয়াল ক্যু’র পরিকল্পনা ভেস্তে যাওয়াই সুরেন্দ্র কুমার সিনহার স্বপ্নভঙ্গ। নিজের তত্ত্বাবধায়ক সরকার প্রধান করতে পারেননি সেজন্য সুরেন্দ্র কুমার সিনহা বেদনার্ত, নাকি ড. কামাল হোসেনকে পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী না বানাতে পারায় তিনি শোকাহত।
বাংলাদেশের আইন ও বিচার সংশ্লিষ্টরা এখন এমন দাবি তুলতেই পারেন, সুরেন্দ্র কুমার সিনহা প্রধান বিচারপতি থাকা অবস্থায় বিচারালয়ে যে কলঙ্কজনক অধ্যায় রচনা করেছিলেন তার ওপর যেন বই বের হয়। তা না হলে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার কলঙ্কের কালিমা মুছবে না দেশের বিচার বিভাগ থেকে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
বিবৃতিতে ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ জনগণের কাতারে দাঁড়িয়ে রাজনীতি করে; জনকল্যাণে পরিকল্পনা গ্রহণ ও কর্মসূচি নির্ধারণ করে। আমরা সর্বদা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ। অন্যদিকে বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা প্রদান করে সারাদেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি গণবিরোধী রাজনীতি করে আসছে। রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকাকালে তারা জনগণকে শত্রুজ্ঞান করে শাসন-শোষণ ও অত্যাচারের স্টিম রোলার চালিয়েছিল। সন্ত্রাস ও উগ্র-জঙ্গিবাদকে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে সারা দেশে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছিল। আর এখন সাংবিধানিকভাবে বৈধ ও গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগারের মাধ্যমে বিভ্রান্তি ও নৈরাজ্য সৃষ্টির পাঁয়তারা করে জনগণকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে ক্ষমতায় যাওয়ার অপচেষ্টা করছে।
বিএনপি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে সরকারবিরোধী তথাকথিত আন্দোলনের নামে সন্ত্রাস-সহিংসতার পথ বেছে নেয় বলে দাবি করে কাদের বলেন, বিএনপি ও তার দোসরদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনী সরকারের সুসমৃণ পথচলা এবং দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি বাধাগ্রস্ত করার লক্ষ্যে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুরের মাধ্যমে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে। তাদের প্রধান লক্ষ্যবস্তু দেশের জনগণ ও রাষ্ট্রীয় সম্পদ।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, পূর্বের ধারাবাহিকতায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের নামেও তারা অগ্নি সন্ত্রাসের মাধ্যমে নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মেরেছে এবং রাষ্ট্রীয় সম্পদ ধ্বংস করেছে। আর দেশের আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী ও মহামান্য আদালত জনগণের নিরাপত্তা ও শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পদক্ষেপ গ্রহণ করলে বিএনপি নেতারা সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা চালায়।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি প্রকৃতপক্ষে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন, সন্ত্রাসীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া তাদের নীতিগত সিদ্ধান্ত। বিএনপি ক্ষমতায় থেকে নিজেদের সন্ত্রাসী ও ক্যাডারবাহিনীর পাশাপাশি বাংলা ভাইয়ের মতো দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীর সৃষ্টি করেছিল এবং তাকে রক্ষা করার জন্য’ বাংলা ভাই মিডিয়ার সৃষ্টি’ বলে উড়িয়ে দিয়েছিল। শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিচালিত সরকার জনগণের শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নিতে বদ্ধপরিকর।
বিবৃতিতে কাদের বলেন, শেখ হাসিনা জগদ্দল পাথরের মতো জেঁকে বসা বিচারহীনতার সংস্কৃতির অর্গল ভেঙে বিচারের সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম করে যাচ্ছেন। সন্ত্রাসী বা অপরাধী যে-ই হোক তাকে বিচারের মুখোমুখি হতে হবে। রাজনৈতিক বক্তব্যের আড়ালে সন্ত্রাসীদের রক্ষার অপকৌশল সফল হবে না।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ক্ষমতা বিএনপি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি যেকোনো উপায়ে ক্ষমতায় আসার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। তাদের নেতারা হিতাহিত জ্ঞানশূন্য হয়ে পড়েছে। বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খানের স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এ কথা বলেন। বিবৃতিতে গণমাধ্যমে প্রকাশিত বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বিবৃতির নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন তিনি।
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।