নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১১:০১ এএম, ২২ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে আজ শনিবার বিকেলে যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে। এই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শুক্রবার বিকেল সোয়া ৫টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর বারিধারার বাসায় যান। সেখানে কিছুক্ষণের জন্য মাহী বি. চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন। বি. চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করে বিএনপি নেতারা তাঁকে আজকের সমাবেশে যোগ দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বি. চৌধুরীকে বলেন, ড. কামাল হোসেনের গণফোরামের ডাকে মহানগর নাট্যমঞ্চে এক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আর ওই সমাবেশে বি. চৌধুরীর যোগ দেওয়া জরুরি। ওই সমাবেশে বি. চৌধুরীকে প্রধান অতিথি করা হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। তখন বি. চৌধুরী বলেন, বিএনপিকে ক্ষমতায় আনার জন্য এই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া করা হচ্ছে। কিন্তু তিনি চান না বিএনপি ক্ষমতায় আসুক। আওয়ামী লীগ রাজত্ব থেকে বিএনপির রাজত্বে প্রবেশের পক্ষপাতী নন তিনি। এই পর্যায়ে বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন করেন, আপনি তাহলে কী চান? জবাবে বি. চৌধুরী বলেন, তিনি চান বাংলাদেশের রাজনীতিতে সুস্থতা আসুক, ভারসাম্য আসুক।
বিএনপি মহাসচিব তখন বি. চৌধুরীকে তাঁর দাবিগুলো উচ্চারণ করতে বললে যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান তাঁর দাবিগুলো জানান। এক পর্যায়ে বি. চৌধুরী মির্জা ফখরুলকে বলেন, ‘আমার সঙ্গে খালেদা জিয়া এবং তারেক কী করেছিল সেটা নিশ্চয়ই মনে আছে?’ এই কথায় বি. চৌধুরীর বারিধারার বাসায় এক আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন তখন এসব ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। কিন্তু মাহী বি. চৌধুরী বলেন, দুঃখ প্রকাশ করলেই সব সমস্যার সমাধান হয় না। এই কথার পর মাহী বৈঠকস্থল ত্যাগ করেন।
এরপর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বি. চৌধুরীর কাছে দুঃখ প্রকাশ করে তাঁর মান ভাঙ্গানোর চেষ্টা করেন। বি. চৌধুরী তখন বলেন, জাতীয় ঐক্যের সমাবেশে তিনি আসবেন কী আসবেন না সে ব্যাপারে সকালের দিকে সিদ্ধান্ত নেবেন। তিনি না গেলেও সম্ভবত তাঁর একজন প্রতিনিধিকে ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে পাঠানো হবে বলেও জানান বি. চৌধুরী।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।