নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৩৮ পিএম, ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
দক্ষিণ এশিয়ার দ্বীপরাষ্ট্র মালদ্বীপে আজ রোববার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। মালদ্বীপের সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের প্রথম ধাপে কোনো দল সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলে, নির্বাচনের দ্বিতীয় ধাপ অনুষ্ঠিত হবে ২১ দিন পর। প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের বিরুদ্ধে লড়ছেন বিরোধী দলীয় নেতা ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহ।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে মাত্র চার লাখ জনগণের ছোট দ্বীপরাষ্ট্রে চলছে চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা। এবারের নির্বাচনে সাবেক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ লড়ছেন না। তবে তিনি মালদ্বীভিয়ান ডেমোক্র্যাটিক পার্টির (এমডিপি) জ্যেষ্ঠ নেতা ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহকে সমর্থন দিয়েছেন। চলতি বছরের শুরু থেকেই দেশটিতে জরুরি অবস্থা জারি করে রাখা হয়েছে। প্রথমবারের মতো গণতান্ত্রিক ভাবে নির্বাচিত মালদ্বীপের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ নাশিদ ২০১২ সালে পদচ্যুত হওয়ার পর এটিই প্রথম নির্বাচন।
আন্তর্জাতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মালদ্বীপের এই নির্বাচন হচ্ছে চীনের জন্য একটি টেস্ট কেস। বর্তমানে ক্ষমতায় থাকা বর্তমান প্রেসিডেন্ট আবদুল্লাহ ইয়ামিনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারতের ভালো সম্পর্ক। তাঁর বিরুদ্ধে লড়া বিরোধী দলীয় নেতা ইব্রাহিম মোহাম্মদ সালিহ আবার চীনপন্থী। বিশ্বে এই প্রথম কোনো দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে সরাসরি প্রভাব রাখছে চীন। এর আগে কখনো সরাসরি কোনো দেশের নির্বাচনে চীনকে এভাবে তৎপর দেখা যায়নি।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন বরাবরই তাদের অর্থনৈতিক প্রভাব সুসংহত রাখতেই বদ্ধপরিকর। তবে সম্প্রতি চীনের বৈশ্বিক নীতিতে কিছু পরিবর্তন এসেছে। অর্থনৈতিক সম্পর্কের স্বার্থেই কোনো দেশের রাজনৈতিক বিষয়ে সম্পৃক্ত হওয়ার নীতি গ্রহণ করেছে চীন। ওই নীতি গ্রহণের পর এই প্রথম মালদ্বীপের নির্বাচনে সরাসরি প্রভাব রাখছে চীন।
মালদ্বীপের নির্বাচনে ফলাফল যাই হোক চীন তার নীতিতে অটল থাকলে পরবর্তীতে বিভিন্ন দেশের রাজনৈতিক বিষয়েও তাদের হস্তক্ষেপ থাকবে বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা। চলতি বছরের শেষে বা আগামী বছরের শুরুতে বাংলাদেশের জাতীয় সংসদ নির্বাচন। বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের অর্থনৈতিক সম্পর্ক স্মরণকালের ইতিহাসে সবচেয়ে ভালো। গত ১০ বছরে চীনের সঙ্গে দেশের যতটা অর্থনৈতিক সম্পর্ক গড়ে উঠেছে এর আগে স্বাধীনতার পর থেকে ৩৭ বছরে ততটা হয়নি। বাংলাদেশের রাজনীতিতেও চীনকে ভূমিকা রাখার জন্য অনেক রাজনৈতিক দলই অনুরোধ করে আসছে। এই পরিপ্রেক্ষিতে অর্থনৈতিক সম্পর্কের স্বার্থে মালদ্বীপের মতোই বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনে চীন কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা সেটাই এখন বড় প্রশ্ন। আর এমনটি ঘটলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত প্রভাব বলয়ের পর চীন বলও দেখা যাবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।