নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে গঠিত নতুন রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বেশ আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় নেতা হিসেবে জোটের অন্যতম রাজনৈতিক দল গণফোরামের সভাপতি ড. কামাল হোসেনকে সবাই মেনে নিয়েছেন। স্বতন্ত্র রাজনৈতিক দল হিসেবে গণফোরামের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রে কিছু লক্ষ্য, নীতি ও আদর্শ লিপিবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হচ্ছে, গণফোরাম যাদের সঙ্গে মিলে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠন করেছে সেই দলগুলোর নীতি-আদর্শের সঙ্গে গণফোরামের নীতি-আদর্শ সাংঘর্ষিক।
গণফোরামের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্র ভালোভাবে পর্যালোচনা করে দেখা যাক। গণফোরামের ঘোষণাপত্রের ভূমিকায় বলা হয়েছে, ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শুধুমাত্র আমাদের স্বাধীনতার ঘোষণা দানকারী নেতাই নন, তিনি এ জাতির জনক হিসবেও দেশে বিদেশে নন্দিত।’ কিন্তু জাতীয় ঐক্যের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক কিংবা জাতির পিতা – কোনোটাই মানে না। এছাড়া নিবন্ধন বাতিল হওয়া দল জামায়াতে ইসলামীও বেনামে এই জোটে সক্রিয় আছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতায় অবিশ্বাসী এই দলটি জাতির পিতা ও স্বাধীনতার ঘোষক প্রশ্নে কী মনোভাব পোষণ করে তা সর্বজনবিদিত।
গণফোরামের ঘোষণাপত্রের ভূমিকায় আরও বলা হয়েছে, ‘এই আশা আকাঙ্ক্ষা পরিপূর্ণভাবে বিবৃত ১৯৭২ সালের সংবিধানে। সাম্প্রদায়িকতার চির অবসান হবে এবং সকল সাম্প্রদায়িক বৈষম্য দূরীভূত হবে।’
কিন্তু জোটের অন্যতম প্রধান দল বিএনপি ’৭২ এর সংবিধানের বিরোধী। নিজেকে ’৭২ এর সংবিধানের সমর্থক দাবি করা ড. কামাল হোসেন কীভাবে বিএনপির সঙ্গে জোট করতে পারেন তা রাজনৈতিক মহলের বড় একটি প্রশ্ন।
গণফোরামের ঘোষণাপত্রের ‘লক্ষ্য, আদর্শ ও উদ্দেশ্য’ শিরোনামের প্রথম অধ্যায়ের ‘ঘ ধারায়’ বলা হয়েছে, গণফোরামের লক্ষ্য ‘অসাম্প্রদায়িক বাঙালি জাতীয়তাবাদী চেতনাকে দৃঢ়মূল ও বিকশিত করা এবং দেশের পাহাড়ি, আদিবাসী ও অন্যান্য অবহেলিত সম্প্রদায়সমূহের সার্বিক বিকাশের অধিকার সুনিশ্চিত করা।’
কিন্তু গণফোরামের নতুন মিত্র জাতীয় ঐক্যের অন্যতম শরিক দল বিএনপি বাঙালি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাস করে না, দলটি বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী।
এছাড়া প্রথম অধ্যায়ের ‘ণ ধারায়’ গণফোরামের লক্ষ্য হিসেবে বিবৃত হয়েছে, ‘সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ সংগ্রাম গড়ে তুলে আন্দোলন সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন ধারায় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে ঐক্যবদ্ধ করে ঐ সংগ্রামকে অপ্রতিরোধ্য করে তুলে সর্বত্র অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি সু-প্রতিষ্ঠিত করা। ধর্মের নামে রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করা।’
কিন্তু জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে খেলাফত মজলিসসহ ইসলামী ঐক্যজোট, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মতো উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গেই ড. কামাল হোসেন জোট করেছেন যা তাদের ঘোষণাপত্রের বর্ণিত নীতি অসাম্প্রদায়িক সংস্কৃতি সু-প্রতিষ্ঠিত করা এবং ধর্মের নামে রাজনীতিকে নিষিদ্ধ করার একদমই বিপরীত।
‘বিচার বিভাগ ও আইন সংক্রান্ত’ শিরোনামে ঘোষণাপত্রের পঞ্চম অধ্যায়ের ‘জ ধারায়’ বলা হয়েছে, ‘সংবিধানের পঞ্চম ও অষ্টম সংশোধনী বাতিল ও ১৯৭২ সালের মূল সংবিধান পুনঃস্থাপন করা হবে।’
অথচ সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনীর ওপর ভিত্তি করেই বিএনপি প্রতিষ্ঠিত। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ড জড়িত ব্যক্তিদের দায়মুক্তি দিতে এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর থেকে ১৯৭৯ সালের ৫ এপ্রিল পর্যন্ত সামরিক সরকারের যাবতীয় কর্মকাণ্ডকে বৈধতা দান করা হয়। পরবর্তীতে ২০১০ সালে সর্বোচ্চ আদালত যখন পঞ্চম সংশোধনী বাতিল করেছে সেই রায়ের প্রতিবাদ করেছে বিএনপি। এই রায়ের বিরুদ্ধে বিএনপি মহাসচিব খোন্দকার দেলোয়ার হোসেন ও সুপ্রিম কোর্টের তিন আইনজীবীর লিভ টু আপিল করেছিলেন।
গণফোরামের ঘোষণাপত্রের ‘নির্বাচন’ শিরোনামের ষষ্ঠ অধ্যায়ের ‘খ ধারায়’ বলা হয়েছে, ‘যে সকল দল সশস্ত্র সন্ত্রাসী, নারী নির্যাতনকারী, কালো টাকার মালিক, ঋণখেলাপী ও দুর্নীতিবাজদের নির্বাচনে মনোনয়ন দেবে তাদের ঐ সকল অপরাধে লিপ্ত প্রার্থীদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হবে না। ধর্মকেও রাজনৈতিক প্রচারাভিযানে ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হবে।’
একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করা অনেক নেতা জামায়াতে ইসলামী, এমনকি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গেও জড়িত। এছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ আছে ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার। এদের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন নিজের সন্ত্রাসবিরোধী, নারী নির্যাতন বিরোধী নীতি কতটুকু রক্ষা করতে পারলেন তা একটি জরুরি প্রশ্ন। এছাড়া বিএনপিতে অনেক ঋণখেলাপী ও দুর্নীতিবাজ রাজনীতিবিদও রয়েছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক জিয়া দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত। এমনকি এই দুই দুর্নীতিবাজ নেতাকে নির্বাচন করার সুযোগ দিতে বিএনপি তাদের গঠনতন্ত্রও সংশোধন করেছিল। এমন একটি দুর্নীতিবাজ দলের সঙ্গে আঁতাত করে ড. কামাল নিজ দলের ঘোষণাপত্রের নীতিবিরুদ্ধ কাজ করেছেন।
একই অধ্যায়ের ‘গ ধারায়’ বলা হয়েছে, ‘১৯৭১ এর যুদ্ধাপরাধীদেরকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ আইনতঃ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। বিশেষ ট্রাইব্যুনাল মারফত তাদের উপযুক্ত শাস্তিও বিধান করা হবে।’
বিএনপিতেও অনেক যুদ্ধাপরাধী রয়েছে। এছাড়া বেনামে নিবন্ধন বাতিল হওয়া দল জামায়াতে ইসলামীও ঐক্য প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত। এদের সঙ্গেই জোটবদ্ধ হয়ে ড. কামাল আরেকবার তাঁর দলীয় নীতি ভঙ্গ করেছেন।
আবার ‘নির্বাচন’ অধ্যায়েরই ‘ড ধারায়’ বর্ণিত আছে, ‘দুইটির অধিক আসনে কোনো প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে পারবেন না মর্মে আইন করা হবে।’
কিন্তু ড. কামাল যাদের সঙ্গে জোট করলেন সেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সবসময় ৫টি আসনে নির্বাচন করে থাকেন। এক্ষেত্রে গণফোরামের মূলনীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক হয়ে গেল তাদের রাজনৈতিক মিত্রের নীতি।
‘নারী সমাজের উন্নয়ন’ শিরোনামে সপ্তম অধ্যায়ের ‘খ ধারায়’ বলা হয়েছে, ‘সরকারি বেসরকারি সকল চাকুরীতে নারীর জন্য যোগ্যতার ভিত্তিতে শতকরা ৩০ ভাগ আসন সংরক্ষণ এবং তা অবিলম্বে পূরণের ব্যবস্থা করা হবে।’
অথচ বিসিএসসহ সকল সরকারি চাকরিতে কোটা বিরোধী আন্দোলনের সময় তিনি কোটা বাতিলের পক্ষে কথা বলেছেন। শুধু সরকার বিরোধিতার খাতিরে ক্ষমতার লোভে স্বার্থান্ধ হয়ে কোটা প্রসঙ্গে ড. কামাল নিজের দলের ঘোষণাপত্রের বিরুদ্ধেই চলে গেছেন।
ঘোষণাপত্রের নবম অধ্যায়ের শিরোনাম হচ্ছে, ‘ধর্মকর্ম ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি’। এই অধ্যায়ের ‘ক ধারায়’ বলা আছে, ‘ধর্ম নিয়ে কোনো বৈষম্যমূলক আচরণ থেকে রাষ্ট্র বিরত থাকবে।’ এছাড়া একই অধ্যায়ের ‘খ ধারায়’ বলা হয়েছে, ‘রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহার বা ধর্মের নামে সন্ত্রাস বে-আইনি বলে বিবেচিত হবে।’
কিন্তু গণফোরাম জোট করেছে একাধিক ধর্মভিত্তিক উগ্রপন্থী দলের সঙ্গে। বিএনপিও রাজনীতিতে ধর্মের ব্যবহারের জন্য পরিচিত। তাই গণফোরাম ঘোষণাপত্রের ‘ক’ ও ‘খ’ ধারার যথাযথ প্রয়োগ যে এই দলগুলোর সঙ্গে থেকে করা সম্ভব না তা বলাই বাহুল্য।
এ তো গেলো কেবল ঘোষণাপত্রের কথা। গণফোরামের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড তাদের গঠনতন্ত্রের পরিপন্থী।
গণফোরামের গঠনতন্ত্রের ২ নং অনুচ্ছেদে দলটির লক্ষ্য, আদর্শ ও উদ্দেশ্য বর্ণিত হয়েছে। এই অনুচ্ছেদের ‘ত ধারায়’ বলা হয়েছে, গণফোরামের আদর্শ ও উদ্দেশ্য হবে ‘সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং আন্দোলন ও সংগ্রামের নিরবচ্ছিন্ন ধারায় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদের বিরুদ্ধে জনগণকে অপ্রতিরোধ্য শক্তিতে পরিণত করা। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে সর্ববিধ পন্থায় সাম্প্রদায়িকতা ও মৌলবাদকে নিরুৎসাহিত করা।’
এছাড়া একই অনুচ্ছেদের ‘প ধারায়’ বলা হয়েছে, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের চর্চা ও প্রসারে ভূমিকা রাখা। দেশপ্রেমিক, গণতান্ত্রিক, অসাম্প্রদায়িক এবং সামাজিক ন্যায়বিচার, প্রগতি ও উন্নয়নের ধারায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক দলগুলির স্ব-স্ব অবস্থান ও দৃষ্টিভঙ্গির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করে দেশ, জাতি ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে জাতীয় সমঝোতা ও ঐক্যের জন্য প্রয়াস অব্যাহত রাখা।’
কিন্তু গণফোরাম জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জোট করছে এমন কতগুলো উগ্রপন্থী ধর্মভিত্তিক দলের সঙ্গে যারা জঙ্গিবাদ ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সন্দেহভাজনদের তালিকায় রয়েছে। এছাড়া বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর সাম্প্রদায়িক ও মৌলবাদী রাজনীতির চর্চার কথা বলাই বাহুল্য। তাই বিএনপিসহ খেলাফত মজলিসের মতো আরও কয়েকটি বিতর্কিত দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে নিজেদের গঠনতন্ত্রই লঙ্ঘন করলেন ড. কামাল হোসেন।
আবার গঠনতন্ত্রের ২ নং অনুচ্ছেদের ‘ফ ধারায়’ বলা হয়েছে, গণফোরামের উদ্দেশ্য ‘রাজনীতিকে অবৈধ অর্থ ও অস্ত্র মুক্ত করা, আদর্শ ও কর্মসূচিমুখী এবং গ্রামোন্নয়নমুখী ও গণমুখী করা।’
কিন্তু বিএনপির অনেক রাজনীতিবিদই অবৈধ অর্থ ও অস্ত্রের মালিক। এছাড়া বিএনপির প্রধান দুই নেতা দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ও দণ্ডিত। এমন দলের সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়ে ড. কামাল এই ক্ষেত্রেও দলের গঠনতন্ত্র ভঙ্গ করলেন।
গণফোরামের ৮ নং অনুচ্ছেদের শিরোনাম হচ্ছে ‘দলের শৃঙ্খলা’। এই অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘দলের লক্ষ্য, আদর্শ, নীতি, গঠনতন্ত্র, কর্মসূচী বা দলের স্বার্থের পরিপন্থী এবং দলের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো কাজ করলে তা শৃঙ্খলা ভঙ্গ হিসেবে গণ্য হবে। দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে কোনো সদস্যের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট শাখা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সুপারিশ করতে পারবে। তবে সেই সুপারিশের পূর্বে সংশ্লিষ্ট সদস্যকে কারণ দর্শানো এবং আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দিতে হবে। কেন্দ্রীয় কমিটি শুনানি গ্রহণের পর প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে।’
কিন্তু উপরের আলোচনা থেকে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়ে গেছে, ড. কামাল জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া গঠনের মধ্য দিয়ে বিএনপিসহ বিভিন্ন ধর্মভিত্তিক উগ্রপন্থী দলের সঙ্গে জোট করে নিজ দলের ঘোষণাপত্র ও গঠনতন্ত্রের অনেকগুলো ধারা লঙ্ঘন করেছেন। আমরা সবাই জানি, একটি দলের ঘোষণাপত্র হলো সেই দলের নীতি আদর্শের দলিল। সেই দলিলই লঙ্ঘন করেছেন ড. কামাল যার ফলে দলীয় গঠনতন্ত্রের ৮ নং অনুচ্ছেদ অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে। কিন্তু গণফোরাম প্রতিষ্ঠাতা ও দলটির দীর্ঘ ২৬ বছরের সভাপতি ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেবে কে?
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।