নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
ড. কামাল হোসেনও আজ বুধবার রাতে সিঙ্গাপুর যাচ্ছেন। তারেক জিয়ার একটি প্রতিনিধি দলও আজ সিঙ্গাপুরে পৌঁছেছেন। গত মঙ্গলবার জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদও সিঙ্গাপুর গেছেন। রাজনৈতিক অঙ্গনে প্রশ্ন কি হচ্ছে সিঙ্গাপুরে।
একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে, সিঙ্গাপুরে এরশাদের সঙ্গে তারেক জিয়ার প্রতিনিধিদের তৃতীয় দফা বৈঠক হচ্ছে। এরশাদের সঙ্গে গেছেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার এবং জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু। এর আগেও এরশাদ দুবার সিঙ্গাপুরে তারেক জিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন। ঐ বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এরশাদকে আওয়ামী লীগ থেকে আলাদা করার চেষ্টা করা হয়। ঐ চেষ্টার তেমন অগ্রগতি হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় ঐক্য নিয়ে রাজনীতির মেরুকরণের ফলে নতুন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। এরশাদ এখন তাঁর গুরুত্ব বাড়াতে বিএনপির সঙ্গে কথা বলার আগ্রহ দেখিয়েছেন বলে জানা গেছে। আবার, জাতীয় ঐক্যে অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর ভূমিকা নিয়ে সন্দিহান তারেক জিয়া এবং বিএনপি। তারেক জিয়া ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে ঐক্যে আগ্রহী হলেও, অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী জোটে থাকুক এটা চায় না। আবার তারেক এবং বিএনপি জামাতকে বাদ দিয়েও ঐক্য গড়তে চায় না। এজন্য জাতীয় ঐক্য নিয়ে ভিন্ন চিন্তা করছে বিএনপি। তারেক জিয়া বিকল্পধারাকে জোট থেকে আলাদা করে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে জোটে অন্তর্ভুক্ত করতে আগ্রহী।
একাধিক সূত্র জানিয়েছে, এর আগেও তারেক জাতীয় পার্টি এবং জামাতকে নিয়েই বৃহত্তর জোট গঠনের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। একাধিক সূত্র বলছে, ড. কামাল হোসেনের যেমন জামাতকে নিতে আপত্তি নেই, তেমনি সাবেক স্বৈরাচার এরশাদকে নিতেও আপত্তি নেই। এরশাদের ছোট ভাই জি এম কাদেরের সঙ্গে বিএনপি এবং যুক্তফ্রন্টের একাধিক নেতার বৈঠক হয়েছে। তবে, সমস্যা হলো এরশাদকে কেউই বিশ্বাস করতে চায় না। এরশাদ শেষ পর্যন্ত কোন পথে যাবে তা নিয়ে জাতীয় পার্টির নেতারাও অনিশ্চয়তায় থাকেন। অবশ্য জাতীয় পার্টির নেতারা বলেছেন, এরশাদ সেদিকেই থাকবেন, যেদিকের পালে হাওয়া বেশি।
সিঙ্গাপুরে তারেকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি, এরশাদ-ড. কামাল হোসেন বৈঠক হতে পারে বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। ঐ সূত্র মতে, ড. কামাল কারও দ্বারা নির্দেশিত হয়েই মাঠে নেমেছে। সম্ভবত তারাই চাইছে, এরশাদকে সঙ্গে রাখতে। কারণ ভোটের রাজনীতিতে ড. কামাল হোসেন কিংবা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরীর চেয়ে এরশাদ কিংবা জামাত মূল্যবান। আর তারেক জিয়ার হিসেব হলো যদি জাতীয় পার্টিকে আওয়ামী লীগ থেকে আলাদা করা যায়, তাহলে আওয়ামী লীগের জন্য এক তরফা নির্বাচন কঠিন হয়ে যাবে। এসব নানা হিসেব নিকেশের কারণেই রাজনৈতিক অঙ্গনের কিছুটা এখন সিঙ্গাপুরে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।