নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ২৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যের শর্তের বিপরীতে বিএনপি এবং ২০ দল পাল্টা শর্ত দেবে। বিএনপি এবং ২০ দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জাতীয় ঐক্যে বিএনপি যেতে আগ্রহী। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে ঐক্য প্রক্রিয়ায় যেতে হলে বিএনপির কিছু দাবি মানতে হবে জাতীয় ঐক্যের দলগুলোকে। অবশ্য বিএনপির স্থায়ী কমিটির নেতা নজরুল ইসলাম খান এসবকে শর্ত বলতে রাজী নন। তিনি বলেন, ‘ঐক্যের মাঝপথে যেন ভুল বোঝাবুঝি না হয় সেজন্য আমরা কিছু বিষয় মীমাংসা করে যেতে চাই।‘ মুখে যাই বলুন না কেন বিএনপি নেতা, বাস্তবে হলো বিএনপিকে ক্রমাগত জামাত ছাড়ার চাপের পাল্টা ব্যবস্থা হিসেবেই বিএনপি জাতীয় ঐক্যকে ৪ দফা শর্ত দেবে বলে জানা গেছে। আজ বৃহস্পতিবার বিএনপির সিনিয়র নেতারা এই চার শর্ত চূড়ান্ত করেছেন। এটি চূড়ান্ত করতে রাতে ২০ দলের বৈঠকও চলছে। বিএনপির দায়িত্বশীল একাধিক নেতা বলেছেন, ‘বৈঠক স্রেফ আনুষ্ঠানিকতা, জাতীয় ঐক্যে বিএনপি শর্ত সাপেক্ষে যোগ দেবে।’ কি সেই ৪ শর্ত? বিএনপির শীর্ষস্থানীয় নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে শর্তগুলো এরকম:
১. বিএনপি একক ভাবে জাতীয় ঐক্যে যোগ দেবে। এতে ২০ দলীয় জোটের ওপর কোনো প্রভাব ফেলবে না। ২০ দল থাকবে। দু’টো ভিন্ন ভিন্ন প্লাটফর্ম থেকে বিএনপি আন্দোলন করবে। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলা যাবে না।
২. ২০ দলে যারা নিবন্ধিত দল তারা চাইলে জাতীয় ঐক্যে যোগ দিতে পারে। অথবা তারা ২০ দলেই শুধু থাকতে পারে। এ ব্যাপারে কোনো দলকে রাখা বা না রাখার শর্ত দেওয়া যাবে না।
৩. জাতীয় ঐক্যের নেতৃত্ব থাকবে ড. কামাল হোসেনের কাছে। তবে ঐক্যে যৌথ নেতৃত্বের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে।
৪. জাতীয় ঐক্য নির্বাচনে অংশগ্রহণ প্রশ্নে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত নেবে। এই সিদ্ধান্তের বাইরে হুট করে কেউ নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়ার ঘোষণা দিতে পারবে না।
বিএনপির একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তাঁরা মনে করছেন অধ্যাপক ডা. বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং মাহী বি. চৌধুরীর কারণেই জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় নানা অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। বিএনপির একজন নেতা বলেছেন, ‘মাহি বিভিন্ন অযৌক্তিক দাবি এবং অনভিপ্রেত ইস্যু এনে জাতীয় ঐক্যের প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করছে। এজন্য আমরা কিছু শর্ত দিচ্ছি।’ ঐ নেতা বলেন, ‘জাতীয় ঐক্যের কেউ যেন মাঝপথে ডিগবাজি দিয়ে সরকারের সঙ্গে আঁতাত না করে, সেজন্য ঐক্যের আগেই আমাদের অঙ্গীকার করা প্রয়োজন।’ অবশ্য মাহী বি. চৌধুরী বলেছেন, ‘আদর্শহীন ঐক্য কোনো ঐক্য নয়। ক্ষমতার হালুয়া রুটি ভাগ বাটোয়ারার জন্য কোনো ঐক্যে আমরা যেতে রাজি নই। আমরা চাই একটি স্বচ্ছ রাজনীতির ধারা।’
এখন বিএনপি জাতীয় ঐক্যের ব্যাপারে এ রকম শর্তারোপ করলে শেষ পর্যন্ত এই ঐক্যের ভবিষ্যত কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে সেই প্রশ্ন উঠেছে রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মধ্যে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বিএনপি বিদ্রোহ উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
ঢাকার বনানীর বাসায় ফেরার পথে গাড়িচালক
আনসার আলীসহ ২০১২ সালের ১৭ এপ্রিল নিখোঁজ হন বিএনপির তৎকালীন সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিলেট
জেলা বিএনপির সভাপতি এম ইলিয়াস আলী। এক যুগ পার হলেও ইলিয়াস আলী জীবিত না মৃত সে খবর
কেউ দিতে পারেনি দীর্ঘ এই সময়ে।
তবে সিলেটের বিএনপি নেতারা মনে করেন,
ইলিয়াস সরকারের হেফাজতে অক্ষতই আছেন। তাকে ফিরে পেতে কেবল সরকারের সদিচ্ছার প্রয়োজন।
নিখোঁজের ১২ বছর পূর্তিতে তাকে ফিরে পেতে গতকাল নানা কর্মসূচি পালন করেছে সিলেট বিএনপি
ও অঙ্গ সংগঠন। ইলিয়াস আলী ‘নিখোঁজ’র পর সিলেটে গঠন করা হয় ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম
পরিষদ’। এ বছর ‘ইলিয়াস মুক্তি সংগ্রাম পরিষদ’র কোনো কর্মসূচি না থাকলেও সমাবেশ, স্মারকলিপি
প্রদান এবং দোয়া ও মিলাদ মাহফিল করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন। এক যুগেও ইলিয়াসের সন্ধান
না মিললেও হাল ছাড়েননি বিএনপি নেতারা।
তাদের ধারণা, ইলিয়াস আলী এখনো জীবিত
আছেন। ইলিয়াসের অবস্থান সম্পর্কে সরকার জ্ঞাত আছে। কিন্তু সরকারের সদিচ্ছার অভাবে ইলিয়াস
আলীর সন্ধান মিলছে না। ইলিয়াস আলী নিখোঁজের এক যুগপূর্তির দিন গতকাল জেলা প্রশাসকের
মাধ্যমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দিয়েছে সিলেট বিএনপি। এ ছাড়া বাদ আসর জেলা
বিএনপির উদ্যোগে হজরত শাহজালাল (রহ.) দরগাহ মসজিদে ইলিয়াস আলীর সন্ধান কামনায় দোয়া
ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এ ছাড়া ইলিয়াসকে ফিরে পেতে বাদ জোহর একই মসজিদে দোয়া ও
মিলাদের আয়োজন করে জেলা স্বেচ্ছাসেবক দল। স্মারকলিপি প্রদানের আগে গতকাল দুপুরে জেলা
প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ করে বিএনপি।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, দীর্ঘ ১২ বছর
ধরে ইলিয়াস আলী ফেরার অপেক্ষায় আছেন সিলেটবাসী। ইলিয়াসের জনপ্রিয়তায় আতঙ্কিত হয়ে সরকার
তাকে গুম করেছে।
ইলিয়াস নিখোঁজ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির
সিনিয়র সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আশিক উদ্দিন বলেন, ইলিয়াস আলীর সন্ধান পেতে তার সহধর্মিণী
হাই কোর্টে রিট করেছিলেন। কিন্তু সরকারের অদৃশ্য হস্তক্ষেপে এক যুগেও সেই রিটের শুনানি
হয়নি। এতে প্রমাণিত হয় ইলিয়াস নিখোঁজের পেছনে সরকার জড়িত।
মন্তব্য করুন
খন্দকার মোশাররফ হোসেন মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর
মন্তব্য করুন