ইনসাইড পলিটিক্স

শেখ হাসিনার ১০ সাহসী সিদ্ধান্ত

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশ: ১১:০০ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৮


Thumbnail

বেশ কয়েক বছর ধরে উন্নয়নের মহাসড়ক ধরে যাত্রা করছে বাংলাদেশ। দরিদ্র দেশের তকমা মুছে ফেলে বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে পরিচিত অনন্ত সম্ভাবনার দেশ হিসেবে। তবে এই অবস্থানে আসার পথটি বাংলাদেশের জন্য সহজ ছিল না। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই কঠিন কাজটি সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করেছে বাংলাদেশ। বিভিন্ন সংকটকালীন সময়ে অত্যন্ত নিপুণতার সঙ্গে পরিস্থিতি সামলেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, যা বাংলাদেশ ও দেশের জনগণকে নিরাপদে রেখেছে। দেখে নিই বিভিন্ন সময়ে গ্রহণ করা শেখ হাসিনার ১০ সাহসী সিদ্ধান্ত।

১। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার এবং আন্তর্জাতিক আপত্তি সত্ত্বেও যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি কার্যকর করা : শেখ হাসিনার সবচেয়ে বড় সাফল্য মানবতাবিরোধী কার্যক্রম ও গণহত্যা সংগঠনকারী যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং প্রধান অপরাধীদের শাস্তি কার্যকর করা। পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর বাংলাদেশে স্বাধীনতা বিরোধীরা পুনর্বাসিত হয়েছিল। রাজনীতি করার অধিকার ছিল জামায়াতে ইসলামীর। এমনকি ২০০১ সালে বিএনপি ক্ষমতায় এসে মতিউর রহমান নিজামী, আলী আহসান মুজাহিদদের মতো যুদ্ধাপরাধীদের মন্ত্রী বানিয়ে তাঁদের গাড়িতে জাতীয় পতাকা তুলে দেন। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের এমন অনাচারের মধ্যেই শেখ হাসিনা ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের ইশতেহারে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করার বিষয়টি অন্তর্ভূক্ত করেন। এরই ধারাবাহিকতায় নবম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ জয়ী হলে ২০০৯ সালের ২৯ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাস হয় এবং ২০১০ সালের ২৫ মার্চ যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের জন্য আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল, তদন্ত সংস্থা ও আইনজীবী প্যানেল গঠন করা হয়। এই বিচার প্রক্রিয়ায় গত আট বছরে জামাত ও বিএনপির শীর্ষনেতা সহ একাধিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের রায় ঘোষণা করা হয়েছে এবং কয়েকজনের ফাঁসিও কার্যকর করা হয়েছে। লক্ষ্যণীয় বিষয় হচ্ছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে আপত্তি জানিয়ে আন্তর্জাতিক পরাশক্তিরাও লবি করেছে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, মানবতাবিরোধী অপরাধে জামায়াত নেতা আব্দুল কাদের মোল্লাকে ফাঁসি না দিতে প্রধানমন্ত্রীকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি ফোন করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। কিন্তু কোনো চাপই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বন্ধে শেখ হাসিনাকে বাধ্য করতে পারেনি। অদম্য সাহসিকতায় শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রক্রিয়া চলমান রেখেছেন।

২। প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার: ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বাংলাদেশের স্বাধীনতা বিরোধী ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে সপরিবারে নিহত হন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। বঙ্গবন্ধুর মৃত্যুর পর তাঁর খুনিরা রাষ্ট্রক্ষমতায় ছিল বিধায় দীর্ঘদিন ধরে এই হত্যাকাণ্ডের কোনো বিচার হয়নি। বরং বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্নভাবে পুরস্কৃত করে রাষ্ট্রযন্ত্র। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডকে বৈধতা দিতে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশও জারি করা হয়। পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে দীর্ঘ একুশ বছর পর আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণ করলে, ওই বছর ১২ নভেম্বর জাতীয় সংসদে ইনডেমনিটি বাতিল বিল পাস হয়। তদন্ত শেষে ১৯৯৭ সালের ২১ এপ্রিল নিম্ন আদালতে প্রচলিত আইনে শুরু হয় বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের ২৩ বছর পর বিচারিক আদালতে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার সম্পন্ন হয়। কিন্তু পরবর্তীতে ২০০১ সালে বিএনপি সরকার ক্ষমতায় আসলে আবার বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচার নিয়ে নানান তালবাহানা শুরু হয়। আবার ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসলে দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া শেষে ২০০৯ সালের ১৯ নভেম্বর বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি ঘোষণা করা আদালত। উল্লেখ্য, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের জন্য কোনো নতুন আইন প্রণয়ন করা হয়নি, বিচার সম্পন্ন হয়েছে দেশের প্রচলিত আইনেই। দেশের প্রচলিত আইনে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার বিচার করা এবং খুনিদের ফাঁসি কার্যকর করা ছিল শেখ হাসিনার আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত।

৩। রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়া: রাষ্ট্রীয় নির্যাতনে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৭ সালের আগস্ট মাসে বাংলাদেশের সীমান্ত অনানুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করে দেন। সারা বিশ্বের ক্ষমতাশালী সব দেশ যখন রোহিঙ্গাদের সাহায্য করতে অপারগতা প্রকাশ করে এবং রোহিঙ্গা ইস্যুতে নীরবতা অবলম্বন করে, তখন শেখ হাসিনার সাহসী ও মানবিক এই সিদ্ধান্তের কারণে বিশ্ব এক মানবিক সংকট থেকে কিছুটা হলেও রক্ষা পায়। বাংলাদেশ এমনিতেই জনসংখ্যার ভারে জর্জরিত। এমন অবস্থায় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়া ছিল শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্ত। এই প্রসঙ্গে শেখ হাসিনার সাহসী উচ্চারণ, ‘যদি আমরা ১৬ কোটি মানুষকে খাওয়াতে পারি, তাহলে আরও পাঁচ অথবা সাত লাখ মানুষকেও খাওয়াতে পারব।’

৪। আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ: বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর নেতৃত্বশূন্য আওয়ামী লীগের সামনে চরম দুর্দিন নেমে আসে। এমন সময় ১৯৮১ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বহুধা বিভক্ত আওয়ামী লীগকে রক্ষায় হোটেল ইডেনে দলের কাউন্সিলে সর্বসম্মতভাবে শেখ হাসিনাকে দলের সভাপতি নির্বাচন করা হয়। তখনো শেখ হাসিনা বাংলাদেশে আসতে পারেননি। কিন্তু রাজনীতিতে অনভিজ্ঞ হওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনা দেশ ও দলের মঙ্গলের জন্য আওয়ামী লীগের নেতৃত্বভার গ্রহণে সম্মত হন। পরবর্তীতে ১৯৮১ সালের ১৭ মে, বঙ্গবন্ধুর খুনিরা যখন অবৈধভাবে রাষ্ট্রক্ষমতায়, তখন সেই সামরিক শাসকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে দেশে ফিরেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা। নিজের প্রাণের ভয় উপেক্ষা করে দেশে ফিরে আসার এবং দলের নেতৃত্বভার গ্রহণ করার সেই সিদ্ধান্ত ছিল অত্যন্ত সাহসী একটি সিদ্ধান্ত।

৫। পদ্মা সেতু: নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত ছিল শেখ হাসিনার অন্যতম সাহসী সিদ্ধান্ত। প্রথমে কথা ছিল বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে পদ্মাসেতু নির্মাণ করা হবে। কিন্তু সরকারের দুর্নীতির অভিযোগ এনে সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে দাঁড়ায় বিশ্বব্যাংক।  প্রধানমন্ত্রী তখন বেশ জোর দিয়েই বলেছিলেন, দুর্নীতি প্রমাণ করুন; ব্যবস্থা নেব। কিন্তু কোথাও দুর্নীতির প্রমাণ দিতে পারেনি বিশ্বব্যাংক। কিন্তু তারপরও প্রকল্প থেকে সাহায্যের হাত গুটিয়ে নেয় সংস্থাটি। কিন্তু স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ কিন্তু তাতে বন্ধ হয়ে যায়নি। অসীম সাহসী শেখ হাসিনা সিদ্ধান্ত নিলেন নিজেদের অর্থেই পদ্মা সেতু নির্মাণ করবেন। নিজস্ব অর্থায়নে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা নির্মাণব্যয়ে ৬.১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্ভব হচ্ছে শেখ হাসিনার সাহসী সিদ্ধান্তের কারণেই।

৬। রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প: রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প বাংলাদেশের বাগেরহাট জেলার রামপালে অবস্থিত একটি কয়লাভিত্তিক তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র। ২০১০ সালে জমি অধিগ্রহণ করে বালু ভরাটের মাধ্যমে নির্মানের কাজ শুরু হয় এই প্রকল্পের। সুন্দরবনের মাত্র ১৪ কি. মি. দূরে অবস্থিত হওয়ায় সুন্দরবন ধ্বংস হয়ে যাবে দাবি করে প্রথম থেকেই এর তীব্র বিরোধিতা করে আসছে পরিবেশবাদীরা। বাম দলগুলো এই ইস্যুতে সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনও করেছে। কিন্তু দেশের বিদ্যুৎ খাতকে এগিয়ে নিতে সব ধরনের অপপ্রচারের সমুচিত জবাবা দিয়ে রামপাল বিদ্যুৎ প্রকল্প এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন শেখ হাসিনা। নির্মানাধীন বিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রথম ইউনিটের কাজ ২০২০ সালে এবং তার ছয় মাস পর দ্বিতীয় ইউনিটের কাজ শেষ হবে বলে আশা করছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

৭। খালেদা জিয়াকে বিচারের মুখোমুখি করা: সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশের রাজনীতিতে একজন প্রভাবশালী ব্যক্তি। বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিচারের সম্মুখীন করা একটি কঠিন কাজ। কিন্তু খালেদা জিয়াকে সুনির্দিষ্ট অপরাধে বিচারের সম্মুখীন করে এই কঠিন কাজটিই করেছেন শেখ হাসিনা। বিচারে গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বেগম খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। সেদিন থেকে পুরান ঢাকার নাজিম উদ্দিন রোডের পুরানো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন বেগম জিয়া। এছাড়া খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা, কুমিল্লায় নাশকতা মামলার মতো একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা বিচারাধীন অবস্থায় আছে।

৮। ২০১৪ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা: ২০১১ সালের ৩০শে জুন তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করে জাতীয় সংসদে সংবিধানের পঞ্চদশ সংশোধনী বিল পাশ করলে প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তার শরিক জোটগুলো নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকারব্যবস্থা পুনরায় চালু করার জন্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। কিন্তু তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবিধান মোতাবেক বর্তমান সরকারের অধীনেই নির্বাচনের ঘোষণা দেন। তখন বিরোধী দলীয় প্রধান খালেদা জিয়া বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন না বলে ঘোষণা দেন এবং আন্দোলনের নামে সহিংসতা শুরু করেন। বিএনপির বোমা সন্ত্রাসে ২০১৩ সালের ২৫ নভেম্বর তফসিল ঘোষণার পর থেকে ভোটের আগের দিন পর্যন্ত ৪১ দিনে মারা গেছেন ১২৩ জন। নির্বাচনের দিন সহিংসতায় নিহত হন আরও ১৯ জন। নির্বাচনকে ঘিরে বিএনপি-জামাতের সহিংস আন্দোলন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল তথাকথিত সুশীল সমাজের সমালোচনা। ফলে অনেকেই মনে করেছিল, দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসবেন শেখ হাসিনা। কিন্তু আরেকবার অটল ব্যক্তিত্বের পরিচয় দিয়ে সংবিধান অনুযায়ীই দশম জাতীয় সংসদ অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল থাকেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।

৯। বিডিআর বিদ্রোহের পরদিন বিডিআরদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেওয়া: ২০০৯ সালের ২৫শে ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ রাইফেলস এর সদস্যরা রাজধানীর পিলখানা এলাকায় অবস্থিত বিডিআর সদরদপ্তরে সশস্ত্র বিদ্রোহ করে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করে। এই ঘটনায় দেশে এক উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এই পরিপ্রেক্ষিতে সেদিন সন্ধ্যা ছয়টার দিকে প্রধানমন্ত্রী বিদ্রোহীদের সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন এবং অস্ত্র জমা দিয়ে ব্যারাকে ফেরার নির্দেশ দেন। ২৬ ফেব্রুয়ারি দুপুরে আবার জাতির উদ্দেশে ভাষণে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্রোহীদের অস্ত্র সমর্পণ করে ব্যারাকে ফিরে যেতে হবে। এরপর বিদ্রোহীরা অস্ত্র সমর্পণের সিদ্ধান্ত নেন। সন্ধ্যা ছয়টা থেকে বিদ্রোহীরা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিকট অস্ত্র সমর্পণ শুরু করেন। এমন একটি হত্যাকাণ্ডের পরদিনই ক্যান্টনমেন্টে গিয়ে বিডিআর বিদ্রোহীদের কাছ থেকে অস্ত্র জমা নেওয়ার সিদ্ধান্তটিকে শেখ হাসিনার অন্যতম সাহসী সিদ্ধান্ত হিসেবে গণ্য করা যায়।

১০। নূর হোসেনের মৃত্যুর সময় সেই মিছিলেই ছিলেন শেখ হাসিনা: ১৯৮৭ সালে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন তখন তুঙ্গে। সেই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখেছিলেন সাহসী শেখ হাসিনা। ’৮৭ সালের ১০ নভেম্বর যেদিন নূর হোসেন মারা যায় সেদিন সেই মিছিলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাও ছিলেন। নূর হোসেন শেখ হাসিনাকে একথাও বলেছিলেন যে, `আপা আপনি আমাকে দোয়া করুন, আমি গণতন্ত্র রক্ষায় আমার জীবন দিতে প্রস্তুত।` শত নিপীড়ণ-নির্যাতনের পরও গণতন্ত্রের জন্য স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া ছিল শেখ হাসিনার আরেকটি সাহসী সিদ্ধান্ত।


বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ  



মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

জামায়াতও ধোঁকা দিলো বিএনপিকে?

প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে। 

বাংলা ইনসাইডারের অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সামনে আরও যে দুটি তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে সেখানে স্বাধীনতাবিরোধী এই রাজনৈতিক দলটির আরও ৬৩ জন প্রার্থী হতে চলেছেন। দলের পক্ষ থেকে তাদেরকে সবুজ সঙ্কেতও দেওয়া হচ্ছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, বিএনপির সঙ্গে জামায়াতের এটি প্রতারণা। 

তবে কোন কোন রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলছেন, বিএনপিকে কাছে পেতে এবং বিএনপির সঙ্গে থাকার জন্য জামায়াত ইচ্ছা করে এই ধরণের কৌশল নিয়েছে। যেহেতু জামায়াতের কোন রাজনৈতিক নিবন্ধন নেই এবং তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করতে পারে না, কাজেই কারা জামায়াতের, কারা হেফাজতে ইসলামের এটি বোঝা দুষ্কর। তা ছাড়া জামায়াতের নেতারা যেহেতু তেমনটা পরিচিত নয় তারা অনেকটা আন্ডারগ্রাউন্ডের মতো করে কাজ করেন, সে কারণে অনেকেই জামায়াতের নেতাদেরকে চেনে না। তারা বিভিন্ন ইসলামিক দাওয়াত, ইসলামী শিক্ষা ইত্যাদি আলোকে এখন জামায়াতের রাজনীতি অনেকটা গোপনেই প্রচার করছে। এ কারণে কারা জামায়াতের রকন, কারা সাথী বা কারা বড় নেতা এটা সাধারণভাবে বোঝার উপায় নেই। তবে স্থানীয় পর্যায়ে যারা রাজনীতি করেন তারা জামায়াতের নেতাদেরকে চেনেন এবং তাদের সাথে তাদের ওঠা বসা হয়েছে। 

বিএনপি যখন নির্বাচন বর্জনের জন্য সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তখন জামায়াতও ঘোষণা করেছে যে, তারা এই নির্বাচনে দাঁড়াবে না এবং যারা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন তাদেরকে সরে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখন পর্যন্ত জামায়াতের প্রার্থীদের কেউই মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। আগামী ২২ এপ্রিল প্রথম পর্যায়ে উপজেলা নির্বাচনগুলোতে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। 

জামায়াতের বিভিন্ন সূত্র বলছে, এই সময়ে তারা মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করবেন না। বিএনপির নেতারা এখন মনোনয়ন টিকিয়ে রাখার জন্য এবং নির্বাচন করার জন্য তাদের কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে দেন দরবার করছেন। এই সময় বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে বোঝাচ্ছেন যে, জামায়াতও নির্বাচন বর্জন করেছে। কিন্তু বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, জামায়াত নির্বাচন বর্জন করেনি। বরং জামায়াত নির্বাচনের মাঠে আছে। 

বিভিন্ন সূত্র বলছে, প্রকাশ্য জামায়াত নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে কৌশলগত কারণে। কিন্তু ভেতরে ভেতরে যে সমস্ত উপজেলাগুলো তারা শক্তিশালী সেখানে তারা প্রার্থিতা ঘোষণা করেছে। 

অনুসন্ধানে দেখা গেছে, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, রংপুর, কুড়িগ্রাম, নীলফামারী সহ অন্তত ১২টি জেলার বিভিন্ন উপজেলায় জামায়াত ইতোমধ্যে তাদের প্রার্থীদেরকে নিয়ে মাঠে আসছে। 

বিভিন্ন মহল মনে করেন যে, একাধিক কৌশলগত কারণে জামায়াত তাদের পরিচয় গোপন করে নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন। প্রথমত, জামায়াত মনে করছে, যদি সরকারের দিক থেকে জানাজানি হয় যে, জামায়াত নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে তাহলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সংশ্লিষ্টরা জামায়াতের প্রার্থীকে প্রতিহত করার জন্য সর্বাত্মক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তাদের বিরুদ্ধে আবার হয়রানি গ্রেপ্তারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হতে পারে। এ কারণে জামায়াত নির্বাচনের প্রার্থিতার কথা প্রকাশ করছে না।

দ্বিতীয়ত, বিএনপির সঙ্গে সম্পর্ক টিকিয়ে রাখার জন্য জামায়াত বাইরে থেকে বলছে যে, তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে না।

তৃতীয়ত, জামায়াত তার সাংগঠনিক শক্তি কতটুকু, তাদের কর্মী সমর্থকদের অবস্থান কী তা যাচাইয়ের মাধ্যম হিসেবে বেছে নিয়েছে উপজেলা নির্বাচন। এটি তাদের অভ্যন্তরীণ সাংগঠনিক কর্ম তৎপরতা হিসেবে বিবেচনা করছে। আর এ কারণে জামায়াত তাদের নির্বাচনে যাওয়ার বিষয়টি প্রকাশ করছে না। 

তবে বিএনপির মাঠের নেতারা বলছেন, এটি জামায়াতের আরেকটি প্রতারণা এবং বিশ্বাসঘাতকতা। জামায়াত যে বিভিন্ন সময় প্রতারণা করে এটি তার প্রমাণ। বিএনপির নেতারা আরও বলছেন, ১৯৯১ সালের নির্বাচনের পরও জামায়াত বিএনপির সঙ্গে একই ধরনের প্রতারণা করেছিল। বিএনপিকে সরকার গঠনের সমর্থন দেওয়ার পর জামায়াত আওয়ামী লীগের সঙ্গে ঐক্য করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার আন্দোলন করেছিল। এখন জামায়াত সেই প্রতারণার আরেক রূপ প্রকাশ করছে। এই উপজেলা নির্বাচনের মধ্য দিয়ে তারা একদিকে যেমন সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ট হওয়ার চেষ্টা করছে অন্যদিকে নিজেদের সংগঠনকে গুছিয়ে নিচ্ছে।

জামায়াত   বিএনপি   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

কী হচ্ছে বিএনপিতে?

প্রকাশ: ০৯:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর থেকেই বিএনপির মধ্যে এক ধরনের অস্থিরতা বিরাজ করছে। সেই অস্থিরতা এখন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করেছে বলেই ভিতরের নেতাকর্মীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে। বিভিন্ন ইস্যুতে বিএনপি সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে। একজন নেতা অন্যজনকে বিশ্বাস করছেন না এবং দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই আতঙ্কিত।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর বিএনপির মধ্যে যে সব বিষয় নিয়ে তোলপাড় চলছে তার মধ্যে রয়েছে- এক, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা কতটুকু সঠিক ছিল? বিএনপি নেতারা ধরেই নিয়েছিলেন যে, বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলো এই নির্বাচনকে স্বীকৃতি দেবে না। আর এই নির্বাচনের স্বীকৃতি না পেলে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে। নির্বাচনের পর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আসবে। পশ্চিমা দেশগুলো আওয়ামী লীগকে বর্জন করবে। ফলে সরকারের পতন সময়ের ব্যাপার হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। বিএনপির মধ্যে এখন প্রশ্ন উঠেছে যে পশ্চিমা দেশের উপর অতিনির্ভরশীলতা সঠিক ছিল কিনা বা এই অতিনির্ভরশীলতা কারা সৃষ্টি করেছিল?

বিএনপির মধ্যে দ্বিতীয় যে প্রশ্ন এসেছে তা হল সংগঠন পুনর্গঠন করা। বিএনপির নেতারা, বিশেষ করে তৃণমূল থেকে বারবার বলা হচ্ছে যে আন্দোলনের আগে দরকার সংগঠন পুনর্গঠন। সংগঠনকে না গুছিয়ে, শূন্যপদ পূরণ না করে বিএনপিকে কখনই একটি আন্দোলনমুখী অবস্থায় নিয়ে যাওয়া যাবে না। এ নিয়ে দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে দফায় দফায় বৈঠক হয়েছে। কিন্তু কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি।

বিএনপির নেতারা মনে করছেন যে, সংগঠন পুনর্গঠন, নেতৃত্ব পরিবর্তন এবং দলের কাউন্সিল অধিবেশন এখন সময়ের দাবি। কিন্তু এ নিয়ে সবাই মুখ খুললেও আনুষ্ঠানিকভাবে কোন সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। সবাই তাকিয়ে আছেন লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার দিকে। তারেক জিয়া কি সিদ্ধান্ত নেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।

তৃতীয়ত, উপজেলা নির্বাচন বর্জন। উপজেলা নির্বাচন বিএনপি কেন বর্জন করল, উপজেলা নির্বাচন বর্জন করে বিএনপি কী পেল? সেটি এখন একটি বড় প্রশ্ন হিসেবে সামনে এসেছে বিএনপির নেতাকর্মীদের কাছে। তারা মনে করছেন, যেহেতু উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না, সে কারণে উপজেলা নির্বাচন বর্জন করা উচিত হয়নি।বরং এই নির্বাচনে স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা দাঁড়ালে তাদের শক্তি সামর্থ্য হতো। কিন্তু তারেক জিয়া কেন এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন সেটি নিয়ে বিএনপির মধ্যে এখন চলছে তোলপাড়।

চতুর্থত, দল চলছে কীভাবে? বিএনপি কীভাবে চলছে সেটি এখন কোটি টাকার প্রশ্ন। এমনকি দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও এই প্রশ্নটি উত্থাপন করেছেন। দলের সিনিয়র নেতারা ঘুমিয়ে আছেন এমন সময়ে সিদ্ধান্ত জারি হচ্ছে। যেমন বিএনপির স্থায়ী কমিটির একজন সদস্য বলছিলেন, উপজেলা নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্তটি তিনি টেলিভিশনের স্ক্রলে দেখেছেন, এর আগে তিনি ঘুণাক্ষরও জানতেন না। লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া এককভাবে সব ধরনের সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন। আর এই সমস্ত সিদ্ধান্তের জন্য কোন জবাবদিহিতাও নেই।

এমন পরিস্থিতিতে প্রশ্ন উঠেছে যে, বিএনপিতে তাহলে স্থায়ী কমিটি আছে কেন? সব কিছু মিলিয়ে বিএনপির মধ্যে এক ধরনের গুমোট পরিবেশ তৈরি হয়েছে। নেতাদের মধ্যে একটা থমথমে ভাব, কেউ কারও সাথে মন খুলে কথা বলছেন না। বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, দলটি এখন বিস্ফোরন্মুখ। বিস্ফোরণের অপেক্ষায় আছে বিএনপি।

বিএনপি   তারেক জিয়া   উপজেলা নির্বাচন   রাজনীতির খবর  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

স্বজনদের বিরুদ্ধে কেন কঠোর অবস্থানে প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।

শিক্ষা মন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, সমাজকল্যাণ মন্ত্রী দীপু মনি, সবাই পিতার পথ ধরেই রাজনীতিতে আসা। প্রতিমন্ত্রীদের মধ্যেও প্রাথমিক গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও অর্থ প্রতিমন্ত্রী এসেছেন উত্তরাধিকার রাজনীতি ধরেই।

আওয়ামী লীগের এবার নির্বাচনেও দেখা গেছে চট্টগ্রামে ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন নিজে নির্বাচন না করে তার পুত্রকে প্রার্থী করতে চেয়েছিলেন এবং তার পুত্র আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছিল। রংপুর থেকে আশিকুর রহমান চৌধুরী নিজে প্রার্থী না হয়ে তার ছেলে রাশেদ চৌধুরীকে প্রার্থী করেছিলেন। যদিও তিনি নির্বাচনে পরাজিত হয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একটি বড় অংশ জুড়ে আছে পারিবারিক সংস্কৃতি এবং প্রভাব। বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকায় দেখা যায় যে, পিতার মৃত্যুর পর তার সন্তান বা আত্মীয়রা নির্বাচন করেন। আওয়ামী লীগের এক সময়ের সাংগঠনিক সম্পাদক কৃষিবিদ আব্দুল মান্নানের মৃত্যুর পর তার স্ত্রী সেখানে এমপির মনোনয়ন পেয়েছেন। এমপির মনোনয়ন পেয়েছিলেন সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের স্ত্রী জয়া সেনগুপ্ত। যদিও গতবার নির্বাচনে তিনি মনোনয়ন পাননি। 

এই ধারা চলছে আওয়ামী লীগে দীর্ঘদিন ধরে। নেতার ছেলে নেতা হবে এটাই যেন রাজনীতিতে একটা সংস্কৃতি হয়ে আছে। কিন্তু সেই অবস্থান থেকে আওয়ামী লীগ সভাপতি কেন ঘুরে দাঁড়ালেন, কেন কঠোর অবস্থান নিলেন, এ নিয়ে আওয়ামী লীগের মধ্যে নানামুখী আলাপ আলোচনা চলছে। 

একাধিক সূত্র বলছে, যারা পিতার হাত ধরে বা মায়ের হাত ধরে বা নিকটাত্মীয়দের হাত ধরে রাজনীতি করে বড় হয়েছেন তাদের জন্য এই ধরনের বিধিনিষেধ ছিল না। বরং আওয়ামী লীগ সব সময় বিশ্বাস করে যে আওয়ামী লীগ একটি আবেগ এবং সম্পর্কের নাম। যারা আওয়ামী লীগ করেছেন তারা বংশপরম্পরায় আওয়ামী লীগ করবেন এবং এভাবে আওয়ামী লীগের ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতিকে ধরে রাখবে বলেই তারা মনে করেন। কিন্তু এবার নির্বাচনে যেভাবে প্রার্থী করা হয়েছে তা স্রেফ পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠা বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা। 

আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, স্বাভাবিকভাবে পিতার পর পুত্রের রাজনীতিতে আসা একটি ইতিবাচক দিক। কিন্তু এলাকা দখল করার জন্য বা অন্য কোন উদ্দেশ্য সাধনের জন্য পুত্রকে রাজনীতিতে নামিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান করা এবং এলাকায় রাজত্ব কায়েম করাটি সম্পূর্ণ ভিন্ন বিষয়। আওয়ামী লীগ সভাপতি স্বজনদের রাজনীতির বিরুদ্ধে নন। আওয়ামী লীগ একটি পরিবার এবং সেই পরিবারের বংশ পরম্পরায় বঙ্গবন্ধুর আদর্শ চর্চা হবে। এটি নিয়ে কোনো সমস্যা নেই বলে মনে করেন আওয়ামী লীগের ওই নেতা। 

কিন্তু সমস্যা হলো, লোভ এবং আদর্শহীনতার ক্ষেত্রে। যখন দেখা যায় যে, আওয়ামী লীগের নেতারা লোভে পড়ে এলাকা দখলের জন্য তার নিজস্ব আত্মীয়স্বজনকে নির্বাচনের প্রার্থী করেন তখন প্রশ্ন ওঠে এবং বিতর্ক তৈরি হয়। এর ফলে সাধারণ ত্যাগী নেতারা বঞ্চিত হয়। এলাকায় প্রতিষ্ঠিত হয় এক ধরনের পারিবারতন্ত্র। এটি বিকৃতি। স্বাভাবিকভাবে যখন কেউ আওয়ামী লীগের উত্তরাধিকারের রাজনীতিতে আসে সেটি হলো একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। এটি জনগণের প্রত্যাশা পূরণ। কিন্তু যখন কোন আত্মীস্বজনকে রাজনীতির মাঠে নামিয়ে রাতারাতি নেতা বানিয়ে দেওয়া হয় বা উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী করা হয় তখন সেটি রাজনীতিতে বিকৃতি এবং পরিবারতন্ত্র প্রতিষ্ঠার একটি প্রচেষ্টা। যার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ সভাপতি অবস্থান নিয়েছেন বলেই মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

উপজেলা নির্বাচন   আওয়ামী লীগ   আওয়ামী লীগ সভাপতি   শেখ হাসিনা  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বহিষ্কার হতে যাচ্ছেন দুই শতাধিক স্থানীয় বিএনপির নেতা

প্রকাশ: ০৭:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

উপজেলা নির্বাচন নিয়ে বিএনপির নাটকীয় এবং কঠোর অবস্থান নিয়ে বিস্মিত সকল মহল। বিএনপি নেতারাও এই সিদ্ধান্ত মেনে নিতে পারছেন না। দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেই বিভিন্ন উপজেলায় বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তাদের প্রার্থীতা ঘোষণা করছেন এবং জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন।

ইতোমধ্যে প্রথম দফার উপজেলা নির্বাচনে প্রায় ৪৭ জন বিএনপির নেতা মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। আগামী ২২ এপ্রিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। কিন্তু এই দিনে মনোনয়নপত্র তারা আদৌ প্রত্যাহার করবেন কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দিয়েছে।

বিএনপির একাধিক নেতা বলছেন, মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ব্যাপারে তাদের কোনও আগ্রহ নেই এবং এরকম কোন চিন্তা ভাবনাও তারা করছেন না। বিএনপির দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, দলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, যদি মনোনয়নপত্র তারা প্রত্যাহার না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আজীবন বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এর আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যাপারে একইরকম কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছিল বিএনপি। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য তৈমুল আলম খন্দকার, মনিরুল হক সাক্কুসহ একাধিক জনপ্রিয় নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছিল। কিন্তু এবার পরিস্থিতি আরও অন্যান্যবারের চেয়ে ভিন্ন বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিএনপির নেতারা এবারের হাইকমান্ডের সিদ্ধান্ত কিছুতেই মেনে নিতে পারছেন না। তারা বলছেন যে, এই সিদ্ধান্তটি অযৌক্তিক, অগ্রহণযোগ্য। 

তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির একাধিক সদস্য বলেছেন যে, তারেক জিয়া এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন যে, যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থী হবেন তাদেরকে আজীবন বহিষ্কার করা হবে। আর এরকম বাস্তবতার সারা দেশে বিএনপির অন্তত দুইশ জন উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী বহিষ্কারের ঝুঁকিতে পড়েছেন বলে জানা গেছে।

প্রথম পর্যায়ে ৪৭ জন ছাড়াও দ্বিতীয় এবং তৃতীয় দফার নির্বাচনে বিএনপির আরও অন্তত দেড় শতাধিক প্রার্থী আগ্রহ দেখিয়েছেন এবং তারা নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করেছেন। বিএনপির স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা মনে করছেন যে, বিএনপির যতই তাদেরকে বহিষ্কারের ভয় দেখাক না কেন তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে। উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণের পক্ষে তারা তিনটি যুক্তি দেখাচ্ছেন।

প্রথমত, এই নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে তারা আওয়ামী লীগের প্রার্থীদেরকে সহজে হারাতে পারবেন। কারণ আওয়ামী লীগ বিভক্তভাবে নির্বাচন করেছে এবং দলীয় প্রতীক ব্যবহার করছে না। দ্বিতীয়ত, তারা মনে করছেন যে, জনগণের কাছে তাদের দায়বদ্ধতা আছে। ভোটারদের সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে দেখেছেন, ভোটাররা চায় তারা অংশগ্রহণ করুক। কর্মী সমর্থকদের মধ্যে এক ধরণের চাঞ্চল্য এবং উদ্দীপনা সৃষ্টির জন্য নির্বাচন করা প্রয়োজন বলে তারা মনে করছেন।

তৃতীয়ত, সংগঠন গোছানোর জন্য এই নির্বাচনে কোনো বিকল্প নেই বলে মনে করেন স্থানীয় বিএনপির নেতারা। তারা মনে করছেন যে, বিএনপিকে যদি তৃণমূল থেকে গড়ে তুলতে হয়, তাহলে এই নির্বাচনে অংশগ্রহণের কোনো বিকল্প নেই। বিএনপি যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করে তাহলে উপজেলা পর্যায়ে সংগঠনগুলো নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে।

আর এ কারণেই বিএনপির নেতারা ধারণা করছেন যে, তাদেরকে যদি বহিষ্কারও করা হয় তাহলেও তারা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবেন এবং নির্বাচনে অংশগ্রহণের পর যদি তারা নির্বাচিত হন তাহলে দলের সাথে এ নিয়ে একটি দরকষাকষি করবেন। তবে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যদের মধ্যে বহিষ্কার নিয়ে দুই ধরনের মতামত পাওয়া গেছে।

অনেকেই বলছেন যে, যদি উপজেলা নির্বাচন করে কেউ জিততে পারে তাহলে হয়তো আস্তে আস্তে তার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। অতীতেও এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। অনেকে মনে করছেন, যাদেরকে বহিষ্কার করা হবে তাদেরকে আর ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা নেই। আর এ কারণেই বিএনপির মাঠ পর্যায়ের প্রায় দুইশ নেতা এখন বহিষ্কারের ঝুঁকিতে।

উপজেলা নির্বাচন   বিএনপি   তারেক জিয়া   বহিষ্কার  


মন্তব্য করুন


ইনসাইড পলিটিক্স

দলের সিদ্ধান্ত না মানলে কি করবে আওয়ামী লীগ

প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪


Thumbnail

আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

আওয়ামী লীগ সভাপতির পক্ষ থেকে এটিও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, যদি শেষ পর্যন্ত দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে কেউ প্রার্থীতা প্রত্যাহার না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এই বার্তাটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ইতোমধ্যে সাংগঠনিক সম্পাদকদের নির্দেশ দিয়েছেন। সাংগঠনিক সম্পাদকরা এখন সারা দেশে আওয়ামী লীগের যারা এমপি, মন্ত্রী এবং কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আছেন তারা কতজন নিজের আত্মীয়স্বজনকে উপজেলা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী করেছেন তার তালিকা তৈরি করছেন।

উল্লেখ্য, আগামী ৩০ এপ্রিল আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পরে আওয়ামী লীগের ভিতর ক্ষোভ, বিক্ষোভ এবং কোন্দল ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগের প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীদের মধ্যে সৃষ্টি হয় উত্তাপ-উত্তেজনা এবং বিভাজন। এই বিভাজন কমিয়ে আনার জন্য সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। এ নিয়ে তিনি কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠক ও আহ্বান করেন। কেন্দ্রীয় কমিটির বৈঠকে যা হবার হয়ে গেছে, ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি দলের নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দেন। কিন্তু সেই নির্দেশনা সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের ভিতর বিভক্তি এবং কোন্দল কমেনি। বিভক্তি ও কোন্দলের সূত্র ধরে দলের ভিতরে হানাহানি মারামারির প্রবণতাও লক্ষ্য করা গেছে।

এরকম একটি পরিস্থিতিতে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয় যে, উপজেলা নির্বাচনে তারা দলীয় প্রতীক ব্যবহার করবে না এবং উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীও দেবে না। যার যেখানে ইচ্ছা তারা স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করবে। কিন্তু উপজেলা নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর পরই দেখা যায় ভিন্ন অবস্থা। আওয়ামী লীগের যারা এমপি হয়েছেন বা হননি তারা চর দখলের মতো উপজেলা দখলের লড়াইয়ের ঝাঁপিয়ে পড়েন এবং এটি করতে গিয়ে তারা একদিকে যেমন তারা মাইম্যানদেরকে প্রার্থী করার ক্ষেত্রে উৎসাহিত হন, অন্যদিকে তারা শুরু করেন আত্মীয়স্বজন খোঁজা। যে যেভাবে পেরেছেন তাদের নিজেদের আত্মীয় স্বজনকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করিয়ে দিয়েছেন। এর ফলে প্রত্যেকটি স্থানীয় পর্যায়ে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা তৈরি হয়। তৃণমূলে পরিবারতন্ত্র কায়েমের পথ প্রশস্ত হয়ে যায়।

বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতির নজরে আসে এবং আসার সাথে সাথেই তিনি এ বিষয়ে কঠোর অবস্থান ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, যারা উপজেলা নির্বাচনে নিজের আত্মীয়স্বজনকে প্রার্থী করেছে তাদেরকে অবিলম্বে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করতে হবে এবং যদি তারা না করে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে যে, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটি বা আওয়ামী লীগ সভাপতি যারা সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করবেন তাদের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন? অতীতে দেখা গেছে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে যারা দলের সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছেনে, তাদের বিরুদ্ধে খুব একটা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। ব্যবস্থা নিলেও সেটি কার্যকর করা হয়নি।

গাজীপুর সিটি নির্বাচনে জাহাঙ্গীর আলমের কথাই ধরা যাক। জাহাঙ্গীর আলম দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করে গাজীপুর সিটি নির্বাচনের প্রার্থী হয়েছিলেন। তার বিরুদ্ধে শান্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছিল বটে, তবে সেই ব্যবস্থা বেশিদিন টিকেনি। জাহাঙ্গীর এখন আওয়ামী লীগই করছেন।

এছাড়াও, বিভিন্ন স্থানীয় পৌরসভা নির্বাচনে নানা অপরাধে যাদেরকে বহিষ্কার করা হয়েছিল তাদের কারও বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা গ্রহণ কার্যকরী হয়নি বরং ব্যবস্থা গ্রহণের পর পরই তাদেরকে সাধারণ ক্ষমার আওতায় আনা হয়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে উপজেলা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের এই সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হবে এবং তৃনমূলে এর প্রভাব কতটুকু পরবে সেটাই দেখার বিষয়।

আওয়ামী লীগ   উপজেলা নির্বাচন  


মন্তব্য করুন


বিজ্ঞাপন