নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:২৮ এএম, ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৮
শর্তসাপেক্ষে আজ রোববার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জনসভা করছে বিএনপি। প্রাথমিকভাবে বলা হয়েছিল, বিএনপির এই জনসভায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়াসহ দেশের সরকার বিরোধী দলগুলোর সবাই উপস্থিত থাকবে। কিন্তু বিশ্বস্ত সূত্রের খবর, আজকের এই জনসভায় অন্য কোনো দল উপস্থিত থাকবে না।
জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার কার্যক্রম ইতিমধ্যেই মুখ থুবড়ে পড়েছে। এমন অবস্থায় গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা ড. কামাল হোসেন বিদেশে থাকায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার মতো কেউ নেই। বিএনপির জনসভা বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণের মতো কোনো নেতাও নেই নবগঠিত এই জোটে। সেজন্য গণফোরামের নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া আজকের জনসভায় যাচ্ছে না।
বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনের আরেক আলোচিত দল যুক্তফ্রন্টও আজকের জনসভায় যোগ না দেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। জনসভায় যোগ দেওয়ার বিষয়ে যুক্তফ্রন্ট প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরী শর্ত দিয়েছিলেন, জামাত ত্যাগের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে হবে বিএনপিকে। কিন্তু জামাত ত্যাগের ব্যাপারে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিতে রাজি নয় দলটি। তাই আজকে বিএনপির যে জনসভা হচ্ছে তাতে যুক্তফ্রন্টেরও যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা নেই।
এর আগে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, বিএনপির জনসভায় জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্টসহ সবাই থাকবে। কিন্তু বর্তমানে পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে, বিএনপির আজকের জনসভায় কেউই থাকছে না।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনের সময় আওয়ামী লীগের সব রকম কমিটি গঠন ও সম্মেলন বন্ধ থাকবে।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে আওয়ামী লীগের সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক বিফ্রিংয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমাদের উপজেলা পর্যায়ে নির্বাচন হচ্ছে। সামনে প্রথম পর্যায়ের নির্বাচন হবে। এই নির্বাচন চলাকালে উপজেলা বা জেলা পর্যায়ে কোনো সম্মেলন, মেয়াদোত্তীর্ণ সম্মেলন, কমিটি গঠন এই প্রক্রিয়া বন্ধ থাকবে’।
মন্ত্রী-এমপির নিকটাত্মীয়দের উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ার বিষয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেন, নিকটজনদেরকে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে হবে। যারা ভবিষ্যতে করতে চায় তাদেরও নির্বাচনী প্রক্রিয়া থেকে দূরে থাকতে বলা হয়েছে। যারা আছে তাদের তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। সে অনুযায়ী তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
নির্দেশনা দেওয়া হলেও অনেকেই এখনো নির্বাচনে আছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রত্যাহারের তারিখ শেষ হোক, তার আগে এ বিষয়ে কীভাবে বলা যাবে।
ওবায়দুল কাদের উপজেলা নির্বাচন সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।