নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩৪ পিএম, ০১ অক্টোবর, ২০১৮
দেশের অন্যতম বিরোধী দল বিএনপি নির্বাচনে আসতে চায় বলে কূটনীতিকদের নিশ্চিত করেছেন দলটির নেতারা। জানা গেছে, বর্তমান সরকারের অধীনে তারা নির্বাচনে যেতে রাজি আছেন। কিন্তু নির্বাচনে অংশগ্রহণের আগে কিছু বিষয় নিশ্চিত করতে চায় বিএনপি।
প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, তিনি বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন। সেসব সাক্ষাতে কূটনীতিকরা তাঁকে বলেছেন, বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে বিএনপির আপত্তি নেই। এমনকি এটি তাদের কাছে কোনো বড় ইস্যুও নয়। বরং বিএনপির কাছে এখন বড় ইস্যু হলো,
প্রথমত, নির্বাচনে কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অংশগ্রহণ করতে পারবেন কিনা।
দ্বিতীয়ত, খালেদা জিয়াকে নির্বাচনের আগে মুক্তি দেওয়া হবে কিনা।
তৃতীয়ত, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য যে বিধি ব্যবস্থাগুলো করা প্রয়োজন সে বিধি ব্যবস্থাগুলো সরকার করছে কিনা।
চতুর্থত, বিএনপির কাছে চতুর্থ ও সর্বশেষ বড় ইস্যু হলো নির্বাচন কমিশন স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে কিনা।
কূটনীতিকরা প্রধানমন্ত্রীর পররাষ্ট্র বিষয়ক উপদেষ্টাকে জানিয়েছেন, এই বিষয়গুলো দেখার জন্য কূটনীতিকদের কাছে অনুরোধ করেছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
কূটনীতিকদের সঙ্গে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে বিএনপির নির্বাচনে আসা প্রসঙ্গে ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘আমি গ্যারান্টি দিয়ে বলছি আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে। আমি বিভিন্ন দূতাবাস ও কূটনীতিকদের সঙ্গে কথা বলেছি। বিএনপি তাদের সবাইকে বলেছে যে তারা নির্বাচনে আসতে চায়।’
তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করার আগে কিছু ব্যাপারে শর্ত দেবে বিএনপি। এই ব্যাপারে ড. রিজভী বলেন, বিএনপি যে শর্তগুলো দেবে, সে শর্তগুলো সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করার জন্য নিজেরাই পূরণ করবে। এজন্য কাউকে অনুরোধ করার দরকার নেই। কারণ সরকার নিজেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন প্রত্যাশা করে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের অন্যতম সহযোগী সংগঠন বাংলাদেশ কৃষক
লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আগামীকাল আজ শুক্রবার।
১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল আজকের এদিনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর
রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কৃষক লীগের ৫২ বছর পূর্তি
উপলক্ষে সংগঠনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
প্রতিষ্ঠার পর বঙ্গবন্ধু কৃষক নেতা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাতকে
কৃষক লীগের কমিটি গঠনের দায়িত্ব দেন। বঙ্গবন্ধুর দিকনির্দেশনায় ব্যারিস্টার বাদল রশিদকে
সভাপতি ও আব্দুর রউফকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি গঠিত হয়।
সর্বশেষ ২০১৯ সালের ৬ নভেম্বর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে কৃষক
লীগের ত্রিবার্ষিক কাউন্সিলে কৃষিবিদ সমীর চন্দকে সভাপতি ও অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম
স্মৃতিকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
কৃষক লীগের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংগঠনের সভাপতি কৃষিবিদ
সমীর চন্দ দলের নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা জানান।
এসময় তিনি বলেছেন, দেশের কৃষির উন্নয়ন এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষার
জন্য জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিল বাংলাদেশ কৃষক
লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। প্রতিষ্ঠাকাল থেকে কৃষক লীগ কৃষকদের সংগঠিত করা, তাদের দাবি আদায়
এবং দেশের সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে আসছে।
আজ শুক্রবার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৬টায় সংগঠনটির ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউস্থ সংগঠনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় পতাকা এবং দলীয়
পতাকা উত্তোলন। এছাড়াও সকাল ৭টায় মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে ধানমন্ডির ৩২ পর্যন্ত শোভাযাত্রা।
সকাল সাড়ে ৭টায় ধানমন্ডি ৩২ নম্বর বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন। এছাড়াও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ
হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন বিকাল ৩টায় কৃষি ইনস্টিটিউট অডিটোরিয়ামে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
উপলক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী
লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
কৃষক লীগের সভাপতি কৃষিবিদ সমীর চন্দ্রের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী। আলোচনা সভাটি সঞ্চালনা করবেন কৃষক লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু।
কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।