নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:৫২ পিএম, ০৩ অক্টোবর, ২০১৮
বিসিএসসহ প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির সকল সরকারি চাকরির নিয়োগে কোটা না রাখার সুপারিশ অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। আজ বুধবার সকালে মন্ত্রিসভার বৈঠকে গৃহীত এ সিদ্ধান্তের মাধ্যমে প্রমাণিত হলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কথা দিলে কথা রাখেন। যে অঙ্গীকারটি তিনি করেন, সেই অঙ্গীকার পূরণে কখনোই পিছু হটেন না তিনি।
চলতির বছরের গোড়ার দিকেই সব ধরণের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে চাকরি প্রত্যাশী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করে। আন্দোলন তীব্র আকার ধারণ করলে ১২ই এপ্রিল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে সরকারি চাকরিতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের ঘোষণা দেন।
কোটা বাতিলের ঘোষণা দেওয়ার পর তা কার্যকর করতে প্রশাসনিক কাজে স্বাভাবিকভাবেই কিছু কালক্ষেপণ হয়। সেই সময়টাতে শেখ হাসিনার নিন্দায় মুখর হয়ে উঠেছিলেন নিন্দুকেরা। প্রধানমন্ত্রী অঙ্গীকার পূরণ করছেন না এরকম কথাবার্তা বলছিলেন তারা। এছাড়া কোটা সংস্কারকে ঘিরে বিভিন্ন মহলের ষড়যন্ত্র, চক্রান্ত ও উসকানি তো ছিলই। কিন্তু সব ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী ঠিকই কোটা বাতিল করলেন। কোটা বাতিল সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও দু একদিনের মধ্যেই চলে আসবে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব।
আসলে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা যা বলেন তাই করেন। ২০০৮ সালে আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে তিনি ঘোষণা দিয়েছিলেন একাত্তরের যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করবেন। বাংলাদেশের রাজনৈতিক বাস্তবতায় কাজটি অনেক কঠিন হলেও যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করে তিনি সেই প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন। পদ্মা সেতুর ক্ষেত্রেও একই রকম ভাবে নিজের প্রতিশ্রুতি পূরণ করেছেন শেখ হাসিনা। বিশ্বব্যাংক যখন দুর্নীতির অভিযোগে পদ্মা সেতু প্রকল্পের অর্থায়নে অস্বীকৃতি জানায় তখন শেখ হাসিনা বলেছিলেন, আমরা নিজের টাকায় পদ্মা সেতু করবো। একটি উন্নয়নশীল দেশ এত বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পারবে না বলে তখন ভবিষ্যৎ বাণী করেছিলেন দেশ ও বিদেশের উন্নয়ন বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। আর তা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার অটল প্রতিজ্ঞার কারণেই। আজ কোটা বাতিলে নিজের অঙ্গীকার পূরণ করে আবারও প্রমাণ দিলেন শেখ হাসিনা, আস্থা রাখতে হবে তাঁর ওপরেই।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।