নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ০৫ অক্টোবর, ২০১৮
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ভারত সফর করছেন। এ নিয়ে উত্তেজিত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে মার্কিন প্রশাসন থেকে বলা হয়েছে, ভারত-রাশিয়া সামরিক চুক্তি করলে, ভারতের ওপর বাণিজ্য অবরোধ আনা হবে। কিন্তু ভারত-রাশিয়া কেউই পাত্তা দিচ্ছে না মার্কিন হুমকি। একই রকমভাবে, বাংলাদেশ এবং তাঁর আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ভারত এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান দুই মেরুতে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন মানে প্রধান প্রধান সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণ। স্পষ্টত:ই মার্কিন দূতাবাস বলছে, বিএনপি অংশ না নিলে ঐ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে না। গতকাল বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশি রাষ্ট্রদূতদের এক নৈশভোজে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্ণিকাট বলেছেন, ‘দেশের অন্যতম প্রধান একটি দলকে বাদ দিয়ে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে পারে না।’ আগামী নির্বাচন যেন ‘সকল দলের অংশগ্রহনে’ হয় সেজন্য এখন থেকেই উদ্যোগ নেয়ার তাগিদ দেন বার্নিকাট। কিন্তু মার্কিন অবস্থানের সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান গ্রহণ করেছে ঢাকাস্থ ভারতীয় দূতাবাস। ভারতীয় দূতাবাস মার্কিন অবস্থানের সাথে ভিন্নমত পোষণ করে বলেছে, তিনটি শর্ত পূরণ হলেই একটি নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক এবং গ্রহণযোগ্য বিবেচিত হবে। এই শর্ত তিনিটি হলোঃ
১. নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক হতে হবে। যেন দলগুলো অবাধে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে পারে।
২. নির্বাচনে জনরায়ের প্রতিফলন ঘটতে হবে। জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৩. রাষ্ট্র এবং সরকারের প্রভাবমুক্ত নির্বাচন হতে হবে। নির্বাচনের পুর্ণ কর্তৃত্ব থাকবে নির্বাচন কমিশনের।
ভারতের রাষ্ট্রদূত হর্ষবর্ধন শিংলা স্পষ্টভাবেই বলেছেন ‘বাংলাদেশের নির্বাচন একান্তই তার অভ্যন্তরীণ বিষয়’। নির্বাচনে যেমন একটি বৈধ রাজনৈতিক দলের অংশ নেওয়ার অধিকার আছে, তেমনি বর্জন করারও অধিকার আছে। ওই নৈশভোজে তিনি এটাও বলেছেন, ‘আমরা দেখতে চাই নির্বাচনের মাধ্যমে জনআকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হল কি না। জনগণ তাঁর পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলো কি না।’
এই দুই দেশের বৈপরিত্যের কারণে বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে কূটনীতিক শিবির বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একারনেই একাধিক দাতা সংস্থা ও উন্নয়ন সহযোগী দেশ বিএনপিকে নির্বাচনে শর্তহীন অংশগ্রহণের পরামর্শ দিয়েছে। তারা বলছে, বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলেই কেবল বোঝা যাবে, নির্বাচনে পক্ষপাত হচ্ছে কিনা। সম্প্রতি ইউরোপীয় ইউনিয়নের একটি প্রতিনিধি দল বিএনপির নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে, তাদের নির্বাচনে যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছে। তাই, সরকারকে চাপ দিয়ে কিছু দাবী আদায়ের কৌশল ক্রমশই মার খাচ্ছে। একমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া কোন দেশই বিএনপির দাবী নিয়ে আলোচনার কথা বলছে না।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
বিএনপি ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করছে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। শুক্রবার (২৯ মার্চ) আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ উপ-কমিটির উদ্যোগে ইফতার ও ঈদসামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রী নির্দেশ দিয়েছেন ইফতার পার্টি না করে, সাধারণ মানুষের মাঝে ইফতার বিতরণ করতে। আর বিএনপি বড় বড় হোটেলে ইফতার পার্টির আয়োজন করে। আর সেই ইফতার পার্টিতে তারা আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করে, অপপ্রচার করে, মিথ্যাচার করে।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা বলে দিল্লির শাসন মেনে নেওয়ার জন্য আওয়ামী লীগ পাকিস্তানে সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে। আসলে বিএনপির হৃদয়ে এবং চেতনায় পাকিস্তান। আওয়ামী লীগের চেতনা এবং হৃদয়ে বাংলাদেশ, কোনো বিদেশিদের দাসত্ব নয়।
তিনি বলেন, বিএনপির চারদিকে অন্ধকার, শেখ হাসিনার জনকল্যাণমুখী বিচক্ষণ রাজনীতি বিএনপিকে অন্ধকারের দিকে ঠেলে দিয়েছে। বিএনপি নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র করেছিল। ব্যর্থ হয়ে এখনো অসংলগ্ন কথা বলছে। আশি ভাগ বিএনপি নেতাকর্মীকে দমন-পীড়ন করা হচ্ছে বলে তারা মিথ্যাচার করছে।
এসময় মির্জা ফখরুলকে মিথ্যাচার করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, তাদের মিথ্যাচারের রাজনীতি কেউ গ্রহণ করছে না বলেই তারা সংকুচিত হয়ে যাচ্ছে। বিশ্ব সংকটের প্রভাবের পরও শেখ হাসিনার বিচক্ষণ নেতৃত্বের কারণে অনেক দেশের তুলনায় বাংলাদেশের মানুষ এখনো ভালো আছে।
ওবায়দুল কাদের রাজনীতি সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন