নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:০১ পিএম, ০৮ অক্টোবর, ২০১৮
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেনের গুলশানের বাসায় গতকাল রোববার রাতে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্ট ও বিএনপি নেতাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকের কথা যুক্তফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিকল্পধারা বাংলাদেশের যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি. চৌধুরীকে জানানো হয়নি। যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে যারা গতকালের বৈঠকে যোগ দিয়েছেন তারা কেউই আদতে মাহী বি. চৌধুরী ও তাঁর বাবা বিকল্পধারার সভাপতি অধ্যাপক ড. বদরুদ্দোজা চৌধুরীকে অবহিত করেননি। এই ব্যাপারে জানতে পেরে মাহী বি. চৌধুরী প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং যুক্তফ্রন্টের আলাদা বৈঠক ডেকেছেন।
মাহী বি. চৌধুরীর বক্তব্য হলো, নির্দলীয়, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ পাঁচ দফা দাবিতে যে ঐক্য হয়েছে, সেই ঐক্য শুধু ঐক্যের প্রয়োজনে করলেই হবে না। আন্দোলন কীভাবে হবে, নির্বাচন কীভাবে হবে এবং সরকার গঠন কীভাবে হবে- এই তিনটি বিষয় মীমাংসা না করে ঐক্য করলে সেই ঐক্য হবে অর্থহীন।
প্রথমত, আন্দোলন কীভাবে হবে, কোন প্রক্রিয়ায় হবে সে বিষয়ে এখনো কোনো কিছু সুরাহা না করে ঐক্য করার বিষয়ে মাহী আপত্তি জানিয়েছেন। এছাড়া নির্বাচন কীভাবে হবে তার পরিকল্পনা এবং আন্দোলনের শুরু থেকেই নির্বাচনে আসন ভাগাভাগির পূর্ণাঙ্গ রোডম্যাপ চূড়ান্ত করতে চান তিনি। গতকালের বৈঠকে যুক্তফ্রন্টের পক্ষ থেকে দেড়শ-দেড়শ আসনের যে ফর্মুলা দেওয়া হয়েছে সে ব্যাপারে কোনো আলোচনা করা হয়নি। যুক্তফ্রন্টের নেতাদের কাছে এ নিয়েও হতাশা প্রকাশ করেছেন মাহী। তৃতীয়ত, সরকার গঠনের ব্যাপারে যুক্তফ্রন্টের সুনির্দিষ্ট প্রস্তাবনা রয়েছে। এই প্রস্তাবনা অনুসারে, নির্বাচনে বিজয়ী জোটের যে দল যত সিটই পাক না কেন, প্রথম দুই বছর মালয়েশিয়ান মডেল অনুসরণ করা হবে। বিএনপির সর্বাধিক আসনে বিজয়ী হবে ধরে সরকারের প্রথম দুই বছর বিএনপির বাইরে যে দলগুলো আছে সেগুলো নিয়েই সরকার গঠন করার কথা রয়েছে যুক্তফ্রন্টের প্রস্তাবনায়। তার পরের তিন বছর সরকার গঠন করবে বিএনপি।
মাহী বি. চৌধুরীর আপত্তির সবচেয়ে জায়গাটি হলো, জামাত পরিত্যাগের ব্যাপারে বিএনপির আনুষ্ঠানিক এবং সুস্পষ্ট ঘোষণা চেয়েছিল যুক্তফ্রন্ট। সে ঘোষণা এখনো দেয়নি বিএনপি। মাহী বি. চৌধুরী যুক্তফ্রন্টের সভায় এ বিষয়টিও উল্লেখ করবেন। এমনকি মাহী তাঁর ঘনিষ্ঠদের বলেছেন, প্রয়োজনে বিকল্পধারা যুক্তফ্রন্ট থেকে বেরিয়ে যাবে তারপরও কোনো আদর্শ বিহীন ঐক্যে যাবে না দলটি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।