নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৪৯ পিএম, ০৯ অক্টোবর, ২০১৮
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার মূল আসামি লন্ডনে পলাতক বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়ার বক্তব্য সংবলিত একটি ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে। অথচ হাইকোর্টের নির্দেশ আছে তারেক যেহেতু ফেরারি তাই তাঁর কোনো বক্তব্য বাংলাদেশে প্রচারিত হবে না। কিন্তু হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করেই ‘ওবায়েদ জোন’ নামে রীতিমত একটি চ্যানেল খুলে প্রচারিত হচ্ছে তারেকের বক্তব্য। তাই প্রশ্ন উঠেছে এই ব্যাপারে কিছু করছে না কেন বিটিআরসি?
ডিজিটাল অপরাধ দমনে গত ১৯ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন পাস করেছে সরকার। এরপর গত ৮ অক্টোবর রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ এ সংক্রান্ত বিলে সম্মতি দিলে কার্যকর হয় আইনটি। তথ্য সন্ত্রাস ও তথ্যগত দুর্বৃত্তায়ন বন্ধের জন্যই তৈরি করা হয়েছে এই ডিজিটাল আইন। অথচ হাইকোর্টকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে দুর্নীতির দায়ে সাজাপ্রাপ্ত তারেক জিয়া লন্ডনে পলাতক অবস্থায় নির্বিঘ্নে বানোয়াট তথ্য দিয়ে জাতিতে বিভ্রান্ত করে যাচ্ছেন। আজ মঙ্গলবার আপলোডকৃত তারেক জিয়ার বক্তব্য সংবলিত ভিডিওটি ইতিমধ্যেই প্রায় দুই হাজার বার দেখা হয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়াতেও পাওয়া যাচ্ছে এই ভিডিও। কিন্তু বিটিআরসি এখনও পর্যন্ত লিংকটি বন্ধ করতে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তাই প্রশ্ন উঠছে, যে উদ্দেশ্য ডিজিটাল আইন প্রণয়ন সে উদ্দেশ্যই কি পূরণ করতে ব্যর্থ হচ্ছে বিটিআরসি?
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।