নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:৪০ এএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৮
গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যের নেতা ড. কামাল হোসেনের বাসায় আগামীকাল ১১ অক্টোবর জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়া, যুক্তফ্রন্ট ও বিএনপির বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। একাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই তাঁরা নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন, তফসিলের আগে সংসদ ভেঙে দেওয়াসহ পাঁচ দফা দাবি ঘোষণা করেছে। তবে গতকাল মঙ্গলবার কূটনীতিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. কামাল হোসেনের কথাবার্তায় মনে হচ্ছে, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্বাচনকালীর সরকারে থাকা নিয়ে মূল আপত্তি বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার।
ড. কামাল হোসেন গতকাল মঙ্গলবার কূটনীতিকদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মার্কিন দূতাবাসের দুজন এবং ব্রিটিশ দূতাবাসের দুজন কর্মকর্তা। নির্বাচনের আগে এই স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি কতটুকু বাস্তবায়ন করা সম্ভব সে বিষয়ে যখন কূটনীতিকগন প্রশ্ন করেছেন তখন ড. কামাল হোসেন তাঁদের বলেছেন তাঁদের মূল ইস্যুটি হলো শেখ হাসিনার নির্বাচনকালীন সরকারে না থাকা। শেখ হাসিনা সরে গেলেই অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে বলেও জানিয়েছেন ড. কামাল হোসেন।
ড. কামাল হোসেনের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট, পাঁচ দফা দাবি আসলে কোনো গুরুত্ব বহন করে না। শেখ হাসিনার সরে যাওয়াই আসলে একমাত্র দাবি যুক্তফ্রন্ট, বিএনপি ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার। এই দলগুলোর নেতারা নিজেরাও জানেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি বোধগম্য এবং পূরণযোগ্য নয় এবং স্বল্পতম সময়ের মধ্যে দাবিটি আদায় করা অসম্ভব।
পাঁচ দফা দাবির আড়ালে শেখ হাসিনাকে নির্বাচনকালীন সরকার থেকে সরানোই যে বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার মূল লক্ষ্য তা কূটনীতিকদের সঙ্গে ড. কামাল হোসেনের গতকালের বৈঠকে স্পষ্ট হয়ে গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
খালেদা জিয়া তারেক জিয়া বিএনপি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল
মন্তব্য করুন
রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
তীব্র গরম মির্জা আব্বাস বিএনপি
মন্তব্য করুন
বিএনপি উপজেলা নির্বাচন বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
ড. আব্দুর রাজ্জাক আওয়ামী লীগ উপজেলা নির্বাচন শাজাহান খান
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান দুজনই দণ্ডপ্রাপ্ত হওয়ার কারণে তাদের নেতৃত্ব থেকে বাদ দেয়ার ব্যাপারে পশ্চিমা দেশের কূটনীতিকরা বিএনপি পরামর্শ দিয়ে আসছেন এমন গুঞ্জন দীর্ঘদিনের। কিন্তু বিষয়টি নিয়ে কখনও মুখ খুলেননি বিএনপির কেউই। তবে এবার বিষয়টি প্রকাশ্যে আনলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি জানিয়েছেন বিএনপি থেকে বেগম জিয়া এবং তারেক জিয়াকে বাদ দেয়ার বিষয়টি নিয়ে দল ভাবছে। সম্প্রতি একটি বেসরকারি টেলিভিশনের টকশোতে দলের এমন ভাবনার কথা জানান বিএনপির এই নেতা।
উপজেলা নির্বাচন থেকে কঠোর অবস্থান থেকে ইউটার্ন নিলো বিএনপি। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, আপাতত যারা উপজেলা নির্বাচন করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে না। তবে সব কিছু নির্ভর করবে নির্বাচনের ফলাফলের ওপর। যারা পরাজিত হবে তাদের ওপর নেমে আসবে শাস্তির খড়গ। আর যারা বিজয়ী হবেন তাদের বিষয়টি উপেক্ষা করা হবে। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বাংলা ইনসাইডারকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
উপজেলা নির্বাচন নিয়ে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে যাওয়ার কারণে ফেঁসে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খান। তবে আওয়ামী লীগের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অবস্থান গ্রহণ করেও নীতিমালার কারণে বেঁচে যাচ্ছেন আওয়ামী লীগের আরেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক। তবে আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন এবং যারা দলীয় সিদ্ধান্ত লঙ্ঘন করেছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।