নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১০ অক্টোবর, ২০১৮
বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী নেতা সাদেক হোসেন খোকা বলেছেন, ‘তারেক অনেক বড় খেলোয়াড়। তাঁকে যারা গুরুত্বহীন মনে করেছে তারাই হেরেছে। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় তারেক জিয়াকে ‘আন্ডারএস্টিমেট’ করারই ফল।’ আজ নিউইয়র্ক সময় ভোরে বিএনপির যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী কর্মীদের কাছে এভাবেই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন সাবেক এই মেয়র।
বর্তমানে ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য নিউইয়র্কে অবস্থান করছেন ঢাকা মহানগরী বিএনপির সাবেক এই সভাপতি। তবে দেশ থেকে দূরে থাকলেও সারাক্ষণ রাজনীতি নিয়ে আড্ডা দিয়েই সময় কাটান। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায়ের দিন তাঁর বাড়িতেই ছিল অন্তত ৫জন বিএনপি কর্মী। নিউইয়র্ক সময় মধ্যরাতের পরে রায় ঘোষণা হয়। রায় শুনে অট্টহাসিতে ফেটে পড়েন সাদেক হোসেন খোকা। বলেন ‘বাবর আর পিন্টু তো তারেকের নির্দেশ পালন করেছেন মাত্র। নির্দেশ পালনের জন্য যদি ওদের মৃত্যুদণ্ড হয়, তাহলে নির্দেশদাতার যাবজ্জীবন কীভাবে হয় বলো?’ কর্মীরাও তাঁর এই মন্তব্যের সঙ্গে একমত হন। এরপর তিনি তারেক জিয়ার বেশকিছু অপকর্মের বর্ণনা দিয়ে বলেন, ‘ও ট্যালেন্ট, কিন্তু ওর সব মেধা খরচ করে খারাপ কাজে।’ খোকা বলেন, ‘এর আগে মানি লন্ডারিং মামলায় নিম্ন আদালত তারেক জিয়াকে খালাস দিয়েছিল। লন্ডনে থাকলে কি হবে, ঢাকার প্রতি মিনিটের খবর তারেক রাখে।’
বিএনপির কর্মীদের কাছে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন খোকা। বলেন, ‘বেচারা পদত্যাগ করতে চেয়েছিল। তাকে দিয়ে এসব করাতে বাধ্য করানো হয়েছিল।’
এই রায়ে অবাক হয়েছেন বেগম জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ের মুখ্য সচিব ড. কামাল সিদ্দিকীও। বর্তমানে অস্ট্রেলিয়ার মোনাস বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনায় ব্যস্ত এই সাবেক আমলা বলেন, ‘পরিকল্পনা যদি হাওয়া ভবনেই হয়েছে, এটা প্রমাণিত হয়, আর তারেক যদি ঘটনার মূল পরিকল্পনাকারীই হন, তাহলে তো এই রায় একটু অবাক করেই বটে।’ তিনি বলেন, ‘আমি পুরো রায় না দেখে তো প্রতিক্রিয়া জানাতে পারবো না। তবে আমি ঘটনাকে যেভাবে দেখেছি, তাতে আমার বিচারে তারেক এবং হারিছ চৌধুরীই সর্বোচ্চ সাজা হওয়া উচিৎ ছিল।’ তার মতে, ‘২০০১ থেকে ২০০৬ সালে তারেক জিয়াই দল চালাতেন। বাবর এবং পিন্টুর সঙ্গে তো তারেক চাকর বাকরের মতো আচরণ করতো।’ ড. কামাল সিদ্দিকী বলেন, ‘সত্যি বলতে কি আমি দণ্ডের পার্থক্য দেখে অবাকই হয়েছি। তবে পুরো রায় না পড়ে এ ব্যাপারে মন্তব্য করা সম্ভবত ঠিক না।
অবশ্য সাদেক হোসেন খোকা এবং ড. কামাল সিদ্দিকী দুজনই এই ঘটনার বিচার হয়েছে, এটাকেই বড় করে দেখছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।