নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:০০ পিএম, ১১ অক্টোবর, ২০১৮
হঠাৎ করেই গতকাল বুধবার দেশে এসেছেন শর্মিলা রহমান সিঁথি। কারাগার থেকে হাসপাতালে স্থানান্তরিত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা তাঁর শাশুড়ির চিকিৎসার দেখভালের জন্যই এসেছেন বলে গণমাধ্যমকে বলছেন। তবে বিএনপি ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে বেগম জিয়ার চিকিৎসাই শুধু নয় বরং তারেক জিয়ার বার্তা দলটির নেতাদের কাছে বুঝিয়ে দিতেই এই সময়ে দেশে এসেছেন শর্মিলা।
গতকাল বুধবার ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার রায় ঘোষিত হয়। রায়ে সাবেক স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবরসহ ১৯ জনের মৃত্যুদণ্ড হয়েছে। তবে বিএনপির বর্তমান ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়াসহ ১৯ জনের হয়েছে যাবজ্জীবন। এছাড়া ১১ জনের সাজা হয়েছে বিভিন্ন মেয়াদে। যাবজ্জীবন প্রাপ্ত বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দীর্ঘ দিন ধরেই লন্ডনে পলাতক। এমন সময় সেই লন্ডন থেকে সময়ে জিয়া পরিবারের গুরুত্বপূর্ণ সদস্য শর্মিলার দেশে আসাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করেন বিশ্লেষকরা।
শর্মিলা গণমাধ্যমে বেগম জিয়ার চিকিৎসার দেখভাল করতে আসার কথা বললেন নির্ভরযোগ্য সূত্র বলছে, তিনি মূলত তারেক জিয়ার বার্তা বিএনপির সিনিয়র নেতাদের বুঝিয়ে দিতে এসেছেন। একই সঙ্গে তারেক জিয়ার বার্তা যথাযথ ভাবে পালন হচ্ছে কিনা তাও দেখবেন শর্মিলা। শর্মিলার কাছে তারেক জিয়ার বার্তা ছিল রায়ের পর বিএনপি যেন কোনো তীব্র প্রতিক্রিয়া না দেখায়। ওই বার্তা মোতাবেকই গতকাল কোনো তীব্র প্রতিক্রিয়া দেখানো থেকে বিরত ছিল বিএনপি। তারেক জিয়ার বার্তা অনুযায়ীই আগামী কয়েকদিন বিএনপির কর্মকাণ্ড চলবে বলে নিশ্চিত করবে ঘনিষ্ঠ একাধিক সূত্র। আর তারেক জিয়ার বার্তা কি ছিল তার বিস্তারিত জানা যাবে বিএনপির কর্মকাণ্ডের মধ্যেই।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।