নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৪:৩৫ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৮
আবারও বৈঠকে বসেছেন বিএনপি, যুক্তফ্রন্ট ও ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতারা। আজ শুক্রবার জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রবের উত্তরার বাসায় বৈঠকে বসেন তাঁরা।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে শুরু হওয়া বৈঠকে অংশ নিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব, সহ-সভাপতি তানিয়া রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, নাগরিক ঐক্যের প্রধান সমন্বয়ক শহীদুল্লাহ কায়সার, কেন্দ্রীয় নেতা ডা. জাহিদ।
এ ছাড়া বৈঠকে রয়েছেন গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্প ধারার যুগ্ম-মহাসচিব মাহি বি চৌধুরী, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদ প্রমুখ।
অবশেষে আবার বৈঠক হলো। অবশেষে বলার কারণ, বিএনপির সঙ্গে যুক্তফ্রন্ট-জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ার সম্ভাব্য জোটের রূপরেখা ও নামের খসড়া চূড়ান্ত হওয়ার পর নতুন জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে ‘বৃহত্তর জাতীয় ঐক্যপ্রক্রিয়ায়’। ক্ষণে-ক্ষণে পরিবর্তন হচ্ছে বৈঠকের স্থান। চলছে একে-অন্যের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশও।
বৃহস্পতিবার (১১ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাতটায় রাজধানীর বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় ঐক্যপ্রক্রিয়ার বৈঠক হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু এরই মধ্যে আগের দিন ১০ অক্টোবর যুক্তফ্রন্টের অন্যতম নেতা, বিকল্প ধারার মহাসচিব মেজর অব আবদুল মান্নান পরবর্তী বৈঠকে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানান। বৈঠকে অংশ নেওয়া থেকে পিছিয়ে যান সাবেক রাষ্ট্রপতি ও যুক্তফ্রন্টের চেয়ারম্যান একিউএম বদরুদ্দোজা চৌধুরীও। এর আগে ওইদিন দুপুরেই খবর রটে যায়, ড. কামাল হোসেনের বাসায় বৈঠক হচ্ছে না। বৈঠক হবে রাত নয়টায় উত্তরায় আ স ম আবদুর রবের বাসায়। সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে আবার খবর আসে, আ স ম রবের বাসায়ও বৈঠক হচ্ছে না।
উল্লেখ্য, গতকালের বৈঠক বিষয়ে ড. কামাল হোসেন বেকে বসেন। তার বাসায় বৈঠকের আমন্ত্রণ কে জানিয়েছিল এ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিল। ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ‘আমার বাসায় বৈঠক। আমিতো দাওয়াত দেইনি। কে দাওয়াত দিল!’ আজকের বৈঠকেও ড. কামাল হোসেন অংশ নেননি।
বৃহত্তম জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলার অংশ হিসেবে বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসলেও তাদের আলোচনা ফলপ্রসু হয়নি।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।