নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৭:২৫ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৮
পারস্পরিক অবিশ্বাস, মতবিরোধ, একে-অন্যের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশের প্রেক্ষিতে, আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৩টায় উত্তরায় জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রবের বাসায় নেতারা বৈঠকে বসেন। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি, যুক্তফ্রন্টের তিন দল ও গণফোরামের নেতারা। তবে বৈঠকে ছিলেন না, জাতীয় ঐক্যের দুই শীর্ষ নেতা অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী এবং ড. কামাল হোসেনরা। তাদের নিজেদের মধ্যে যে অভ্যন্তরিন মতবিরোধ দাবি-পাল্টা দাবি, শর্ত- পাল্টা শর্ত এরই প্রেক্ষিতে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এসব মিটিয়ে ঐক্য প্রক্রিয়াকে কিভাবে ত্বরান্বিত করা যায়, সে ব্যাপারে আলোচনা করা হয়।
কিন্তু বৈঠকে কোন সুনির্দিষ্ট সমাধান হয়নি। বৈঠক শেষে যুক্তফ্রন্টের নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, আমরা খুব শীঘ্রই একটা ঐক্যমতে আসতে পারবো বলে আশা করছি। তবে বৈঠকের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানাচ্ছে, এই বৈঠকে মূলত বিএনপির সঙ্গে জামাতের সম্পর্ক, তারেকের নেতৃত্বর মতো ইস্যু নিয়ে যে অচল অবস্থা। সেসব নিয়ে আলোচনা হয়েছে। আলোচনায় খুব একটা অগ্রগতি হয়নি বলে বৈঠক শেষে নানা সূত্রে জানা গেছে।
আজকের বৈঠকে বিএনপি থেকে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও মওদুদ আহমদ।
এছাড়াও গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসিন মন্টু, সুলতান মনসুর, বিকল্পধারার যুগ্ম মহাসচিব মাহী বি চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা ওমর ফারুক, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, শহীদুল্লাহ কায়সার, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক আবদুল মালেক রতন।
আগামীকাল তাঁরা আবারও বৈঠকে বসবেন বলে জানা গেছে।
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।