নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১২ অক্টোবর, ২০১৮
নির্বাচনের আগে নতুন মিত্রের খোঁজ করছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। ১৪ দলকে রেখে একটি বৃহত্তর ঐক্য গড়তে কাজ করছে দলটি। মুলত: বিএনপি নির্বাচনে এলে, ২০০৮ এর আদলে বৃহত্তর ঐক্যের মাধ্যমে নির্বাচনে যেতে চায় আওয়ামী লীগ। এই বৃহত্তর জোটে জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত আওয়ামী লীগের সঙ্গে থাকবে বলেই মনে করছেন শীর্ষ নেতারা। কিন্তু শুধু জাতীয় পার্টির উপর নির্ভর করতে রাজী নয় আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের একজন শীর্ষস্থানীয় নেতা বলেছেন, এরশাদ কখন কি করেন তা বোঝা মুশকিল। এজন্য আমরা বৃহত্তর প্লাটফর্ম করতে চাই।
সংশ্লিষ্টসূত্রগুলো জানিয়েছে, আওয়ামী লীগের প্রথম টার্গেট ছিলো বাম মোর্চা। বামদের সাথে মান অভিমান মিটিয়ে ফেলার উদ্যোগও নিয়েছিল শাসক দল। কিন্তু বামদের মান ভাঙ্গেনি। বরং বামরা একলা চলো নীতি নিয়ে এগুতে চায়। তারপরও আশা ছাড়েনি আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, বামরা আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের পরিক্ষীত মিত্র। আমরা আশা করি, দেশ ও জাতির বৃহত্তর স্বার্থে বামরা এক হবে।’ একাধিক সূত্র বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই বামদের সাথে বসতে আগ্রহী। বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গে আওয়ামী লীগ একটি সম্পর্ক স্থাপনে সক্ষম হয়েছে। কাদের সিদ্দিকী যুক্তফ্রন্ট এবং ঐক্য প্রক্রিয়া থেকেও দূরে রয়েছেন। কাদের সিদ্দিকীর দল নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন বৃহত্তর ঐক্যে যেতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতৃত্বাধীন ২০ দলের অনেকের সঙ্গেও যোগাযোগ করছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, ‘২০ দলের অনেকের কাছ থেকেই আমরা ইতিবাচক সাড়া পাচ্ছি।’ একাধিক সূত্রে পাওয়া খবরে জানা গেছে, কর্ণেল (অব:) অলি আহমেদের নেতৃত্বাধীন এলডিপি’র নির্বাচনে যাওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল। শেষ পর্যন্ত তিনি বৃহত্তর ঐক্যে যেতে পারেন। আওয়ামী লীগের সঙ্গে নির্বাচনী ঐক্যে আসতে পারে সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিমের নেতৃত্বে কল্যাণ পার্টিও। তিনিও বিএনপির আচরণে ক্ষুব্ধ। বিজেপি নেতা আন্দালিব রহমান পার্থের সঙ্গেও আওয়ামী লীগের ভালো যোগাযোগ রয়েছে। তবে পার্থ বৃহত্তর আওয়ামী জোটে না গেলেও নির্বাচনে যে যাবে তা নিশ্চিত বলেই জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শেষ পর্যন্ত যদি বিএনপি নির্বাচনে আসে তাহলে আওয়ামী লীগ মহাজোট নিয়ে আসবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলছে, ‘এই জোটে এমন কিছূ দল থাকবে যা দেখলে চমকে যাবেন।’ আর যদি শেষ পর্যন্ত বিএনপি না আসে সেক্ষেত্রে ঐ দলগুলোকে নির্বাচনের মাঠে দেখা যাবে। তবে এই সব জোটের বাইরে হেফাজতে ইসলাম, খেলাফত মজলিস, জাকের পার্টির মতো দলগুলোকে ইতোমধ্যে নির্বাচনের মাঠে নামিয়ে দিয়েছে আওয়ামী লীগ। এজন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আগামী নির্বাচনে বিএনপি আসবে কিনা, সেটা জানি না। তবে এটা জানি যে, আগামী নির্বাচন হবে অংশগ্রহণমূলক এবং প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ।’
বাংলা ইনসাইডার/এমআরএইচ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।