নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৫:২০ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮
আমন্ত্রিত অতিথি হয়ে গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যের নেতা ড. কামাল হোসেনের বাড়িতে গিয়েছিলেন যুক্তফ্রন্ট চেয়ারম্যান ও বিকল্প ধারা বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক বদরুদ্দোজা চৌধুরী। কিন্তু অতিথি আপ্যায়ন তো দূরের কথা, দেখাই দেননি ড. কামাল। আর এতেই ক্ষেপেছেন বি. চৌধুরী। সন্ধ্যায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন বারিধারার নিজ বাসায়। এদিকে ড. কামাল সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন প্রেসক্লাবে। ঐক্য ভাঙ্গার কথা কয়েকদিন ধরেই শোনা যাচ্ছিল। এবার সেই ভাঙ্গনের ঘোষণা আছে আনুষ্ঠানিকভাবে?
জানা গেছে, আজ শনিবার বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে তারা বেইলি রোডে ড. কামাল হোসেনের বাসায় এলেও তিনি ওই সময় বাসায় ছিলেন না। ড. কামাল হোসেনের বেইলি রোডের বাসা থেকে ফিরে যাওয়ার সময় বি.চৌধুরীর ছেলে মাহী বি. চৌধুরী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা ড. কামাল হোসেনের আমন্ত্রণে তার বাড়িতে এসেছিলাম। কিন্তু বাসার দরজা খোলেননি কেউ। বি. চৌধুরীর মতো একজন বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদকে ডেকে এনে তার সঙ্গে দেখা না করা রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। এখন বোঝা যাচ্ছে যে ঐক্য কাদের কারণে হচ্ছে না, কেন হচ্ছে না?’
বিশ্বস্ত সূত্রগুলো বলছে, দুপুর থেকেই মতিঝিলে নিজের চেম্বারে ছিলেন ড. কামাল হোসেন। বাসায় বি.চৌধুরীকে ডেকে কেন দেখা করেননি সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি। অবশ্য জানা গেছে, এদিকে ঐক্য প্রক্রিয়ার বিভিন্ন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দুপুর থেকেই ড. কামাল হোসেন তাঁর মতিঝিলের চেম্বারে দফায় দফায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, জেএসডি সভাপতি আসম আবদুর রব, গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীসহ আরও অনেকের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।