নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৩ অক্টোবর, ২০১৮
বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর ঐক্যের মূল পরিকল্পনাকারী ছিলেন তিনিই। তিনিই ড.কামাল হোসেনকে ঐক্যের উদ্যোগ নেওয়ার অনুরোধ করেন। বিএনপিকে ত্যাগ স্বীকারের পরামর্শও তাঁরই। ড. মুহম্মদ ইউনূস। শান্তিতে নোবেল জয়ী অর্থনীতিবিদ। গ্রামীণ ব্যাংক ছেড়ে এখন ব্যস্ত সামাজিক ব্যবসা নিয়ে। বর্তমান সরকারের ব্যাপারে তাঁর ক্ষোভ, আক্রোশ নতুন কিছু নয়। তাঁর উদ্যোগেই মার্কিন দূতাবাস তৎপর হয়েছিল ‘অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে’র প্রশ্নে। কিন্তু গত এক মাস ধরেই ড. ইউনূস দেশে নেই। ড. ইউনূসের সর্বশেষ অবস্থান আর্জেন্টিনায়। যেখানে অলিম্পিক কমিটির সঙ্গে তিনি এক সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছেন। আর্জেন্টিনায় যুব অলিম্পিক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। যুব ক্রীড়াবিদদের উদ্যোক্তা বানাতে কাজ করবেন ড. ইউনূস। এটা তাঁর সামাজিক ব্যবসা কর্মসূচির একটি অংশ।
ড. ইউনূস আর্জেন্টিনায় উড়ে গেছেন জার্মানি থেকে। ৮ অক্টোবর জার্মান পূন:একত্রীকরণ দিবস উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানে বক্তৃতা দেন। এর দুই দিন আগে ইতালিতে তিনি দেখা করেন এফএও এর প্রধান নির্বাহীর সঙ্গে। ড. ইউনূসের আগামী এক মাসের কর্মসূচির অধিকাংশই বিদেশে। অথচ কথা ছিল, ঐক্য প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার এক পর্যায়ে তিনি এতে যোগ দেবেন এবং নেতৃত্বও দেবেন। ড. ইউনূসকে নির্দলীয় নির্বাচনকালীন সরকার প্রধান হিসেবেই ভেবে রাখাও হয়েছিল। এ নিয়ে ড. কামাল হোসেনের সঙ্গে তাঁর কথা হয়েছিল বলেও জানা যায়। কিন্তু এরপরই বিদেশমুখী হলেন ড. ইউনূস। ড. ইউনূসের ঘনিষ্ঠরা বলছে, ‘এই মুহূর্তে আন্দোলন, নির্বাচন বা অন্য কোনো উপায়ে আওয়ামী লীগকে হটানো সম্ভব না’- এ রকম অভিমত পোষণ করছেন ড. ইউনূস। এজন্য সরকারের সঙ্গে নতুন বিরোধে না জড়িয়ে বিদেশমুখী হয়েছেন তিনি।
বিদেশে যাবার আগে, গ্রামীণ ব্যাংক এবং তার সহ-প্রতিষ্ঠানের একান্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে দীর্ঘ আলাপ করেন ড. ইউনূস। তাঁদের বলেন, ‘এখন কিছু হবে না। শেখ হাসিনা আরেকবার থাকবে। এটা ডিসাইডেড। নির্বাচনের পরপর সব গোছাতে হবে।’ একাধিক সূত্র জানিয়েছে, ড. ইউনূস এই বার্তা ড. কামাল হোসেনকেও দিয়েছেন। এজন্যই ড. কামাল হোসেন শুরুতে বৃহত্তর ঐক্যের ব্যাপারে যতটা আগ্রহী ছিলেন, এখন ততটা আগ্রহী নন। ড. কামাল হোসেনকে বৃহত্তর ঐক্য নিয়ে নির্বাচনে যাওয়ারও পরামর্শ দিয়েছেন বলে জানা গেছে। ড. ইউনূস আপাতত রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে থাকারই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সারাবিশ্বে ‘সামাজিক ব্যবসা‘বিস্তার ঘটাতে ব্যস্ত তিনি। সারাবিশ্বে বিভিন্ন বিষয়ে কথাবার্তা বললেও বাংলাদেশ প্রসঙ্গে তিনি নীরব।
সম্প্রতি ইতালিতে বিশ্ব খাদ্য সংস্থার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে বাংলাদেশের খাদ্য উৎপাদনের ভূয়সী প্রশংসা করেন খাদ্য সংস্থার প্রধান। এসময় ড. ইউনূস নীরব ছিলেন। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ওয়ান-ইলেভেন সরকারের অন্যতম পরিকল্পনাকারী ছিলেন ড. ইউনূস। ওয়ান-ইলেভেনের পর আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলে ড. ইউনূসের সঙ্গে ক্ষমতাসীনদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে চলে যায় যখন, বয়স অতিক্রান্ত হওয়ার কারণে ড. ইউনূসকে গ্রামীণ ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। ড. ইউনূস পদ্মা সেতুতে অর্থায়ন বন্ধের জন্য বিশ্বব্যাংকে নালিশ করেন বলেও আওয়ামী লীগ সরকার অভিযোগ করে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায়
অভিযোগ গঠন শুনানির তারিখ পিছিয়ে আগামী ২৫ জুন ধার্য করেছেন আদালত।
বুধবার (২৪ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আলী হোসাইনের
আদালতে খালেদা জিয়ার অব্যাহতির বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য ছিল। কিন্তু খালেদা জিয়ার প্রধান
আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার দেশের বাইরে থাকায় অভিযোগ শুনানি পেছাতে সময়ের আবেদন
করা হয়। আদালত সময় আবেদন মঞ্জুর করে অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য নতুন করে এ তারিখ ধার্য
করেন। খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুল হান্নান ভূঁইয়া সাংবাদিকদের এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
জানা যায়, মামলাটিতে ১৫ জন আসামির মধ্যে ১৪ জনের অব্যাহতির বিষয়ে
শুনানি শেষ হয়েছে। গত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়ার অব্যাহতি চেয়ে শুনানি শুরু হয়।
২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপপরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার ১৩
জনের বিরুদ্ধে বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ১৩ মে মামলাটি
তদন্ত করে জোট সরকারের প্রভাবশালী ৯ জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে
দুদকের উপপরিচালক মো. জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
২৪ আসামির মধ্যে সাবেক মন্ত্রী এম সাইফুর রহমান, আব্দুল মান্নান
ভুইয়া, সাবেক মন্ত্রী ও জামায়াতে ইসলামীর আমির মাওলানা মতিউর রহমান নিজামী, খালেদা
জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকো, এম কে আনোয়ার, সাবেক মন্ত্রী এম শামছুল ইসলাম, বন্দরের
প্রধান অর্থ ও হিসাবরক্ষক কর্মকর্তা আহমেদ আবুল কাশেমের মৃত্যুর পর মামলায় বর্তমানে
আসামির সংখ্যা ১৫ জন।
অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য এবং সাবেক
বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক চেয়ারম্যান
কমোডর জুলফিকার আলী, সাবেক মন্ত্রী কর্নেল আকবর হোসেনের (প্রয়াত) স্ত্রী জাহানারা আকবর,
দুই ছেলে ইসমাইল হোসেন সায়মন এবং এ কে এম মুসা কাজল, এহসান ইউসুফ, সাবেক নৌ সচিব জুলফিকার
হায়দার চৌধুরী, চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাবেক সদস্য এ কে রশিদ উদ্দিন আহমেদ এবং
গ্লোবাল এগ্রোট্রেড প্রাইভেট লিমিটেডের (গ্যাটকো) পরিচালক শাহজাহান এম হাসিব, সাবেক
মন্ত্রী ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন এবং সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ
হোসেন।
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।