নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০৬ পিএম, ১৫ অক্টোবর, ২০১৮
তিনশ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীর সংখ্যা প্রায় পাঁচ হাজার। এদের মধ্যে অন্তত দুই হাজার সম্ভাব্য প্রার্থী আছেন, যাঁরা যেকোনো মূল্যে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চান। পাঁচ শতাধিক মনোনয়ন প্রত্যাশী আছেন, যাঁরা মনোনয়ন না পেলেও প্রতিদ্বন্দ্বিতার আগ্রহ দেখিয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতির নিজস্ব উদ্যোগে পরিচালিত মাঠ জরিপে এই তথ্য উঠে এসেছে। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় মাথাব্যথা হলো মনোনয়ন নিয়ে দলীয় কোন্দল। আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছে আওয়ামী লীগ নিজেই। জরিপ থেকে উঠে আসা তথ্যে দেখা যাচ্ছে, চাঁদপুরের একটি আসনে সাবেক একজন মন্ত্রী এবং বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে মাঠ গরম করছেন কেন্দ্রীয় কমিটিরই একজন নেতা। ঢাকায় আরেকজন যুগ্ম সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার মহানগরের এক নেতা। এরকম প্রায় সবখানে।
জরিপে পাওয়া তথ্যে দেখা গেছে, মাত্র ২৩ টি আসনে দ্বিতীয় প্রার্থী নেই। আর ৬৭ টি আসনে একাধিক প্রার্থী থাকলেও মনোনয়ন নিয়ে তেমন বিরোধ নেই। কিন্তু বাকি আসনগুলোতে একাধিক প্রার্থী নির্বাচনী মাঠ সরগরম করে রাখছেন। এটা আওয়ামী লীগের দুশ্চিন্তার বড় কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছেন। একারণেই, আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায় থেকে এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থান গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আগামীকাল মঙ্গলবার পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব সফরে যাবেন। সেখান থেকে ফিরে এসেই তিনি মনোনয়নের অবশিষ্ট কাজটুকু শেষ করবেন। আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো জানিয়েছে, এমন ৫০০ জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে, যারা মনোনয়ন না পেলেও নির্বাচন করবেই। এমনকি স্বতন্ত্র কিম্বা অন্যদলে যোগদান করেই নির্বাচন করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এই ৫০০ জনকে প্রথমে বসতে বলা হবে। ইতিমধ্যে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের যাঁদের মনোনয়ন পাবার একদমই সম্ভাবনা নেই, তাদের নির্বাচনী মাঠ থেকে সরে যেতে বলেছেন। কিন্তু তাঁর কথায় কাজ হয়েছে সামান্যই। একারণেই, আওয়ামী লীগ সভাপতি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, ওমরাহ থেকে ফিরে এই অবুঝ মনোনয়ন প্রত্যাশীদের শেষ সতর্ক বার্তা দিবেন। এই বার্তার পরও যদি তাঁরা নির্বাচনী প্রচারণা থেকে সরে না যায়, তাহলে, তাঁদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এরপর অন্যান্য যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী কিন্তু মনোনয়ন পাবেন না, তাঁদের বুঝিয়ে শুনিয়ে বসিয়ে দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হবে। তবে, আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারক সূত্রে জানা গেছে, দলের সভাপতি মনে করছেন, শুধু তাঁদের বসিয়ে দেওয়াই যথেষ্ট নয়; বরং তাঁরা যেন আওয়ামী লীগের টিকেট পাওয়া প্রার্থীর পক্ষে কাজ করেন, সেজন্য উদ্যোগ নিতে হবে। আওয়ামী লীগের নেতারা বলেছেন, শেখ হাসিনা মনোনয়ন বঞ্চিতদের সঙ্গে কথা বললেই সব ঠিক হয়ে যাবে। তবে, মাঠ জরিপ বলছে, দলীয় কোন্দল ঠেকাতে না পারলে আওয়ামী লীগের ফল বিপর্যয় ঘটা অসম্ভব নয়।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক
পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের
মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয়
নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই
এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
আজ বুধবার (২৪ এপ্রিল) দুপুরে ধানমন্ডিতে
আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, পার্টির যারা মন্ত্রী-এমপি
এমন পর্যায়ে আছেন তাদের জন্য নির্দেশনা রয়েছে, তাদের সন্তান ও স্বজনরা যেন উপজেলা নির্বাচনে
না আসে। প্রথম পর্যায়ের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সময় চলে গেছে। কেউ কেউ বলেছেন আমরা
বিষয়টি আরও আগে অবহিত হলে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের সুবিধা হতো। তারপরেও কেউ কেউ প্রত্যাহার
করেছেন, কেউ কেউ করেননি। আনুষ্ঠানিকভাবে নির্বাচন কমিশনের যে সময়সীমা তারপরেও ইচ্ছা
করলে করতে পারবেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন,
‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও দলীয় সিদ্ধান্ত যারা অমান্য করেছে তাদের বিষয়ে ব্যবস্থা
নেওয়া হয়েছে। উপজেলা নির্বাচনেও কিন্তু দলের সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয় আছে। দল যার যার
কর্মকাণ্ড বিচার করবে। চূড়ান্ত পর্যায় পর্যন্ত যারা প্রত্যাহার করবে না সময়মতো দল ব্যবস্থা
নেবে’।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি একতরফা কোনো
সমাবেশ করতে গেলে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের বিষয়টি এসে যায়। আওয়ামী লীগও একই সময়ে সমাবেশের
ডাক দেয়। তবে এটা পাল্টাপাল্টি নয়।
ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক
কার্যালয়ে হওয়া উক্ত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি
এম মোজাম্মেল হক, আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, সুজিত
রায় নন্দী, সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক
আমিনুল ইসলাম আমিন প্রমুখ।
মন্ত্রী-এমপি প্রার্থিতা প্রত্যাহার ওবায়দুল কাদের
মন্তব্য করুন
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।
দলীয় সিদ্ধান্ত মানেননি তৃণমূল আওয়ামী লীগের অনেক নেতাকর্মী। প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কঠোর নির্দেশনার পরও নির্বাচনি মাঠ থেকে সরেননি স্থানীয় এমপি-মন্ত্রীর পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা। সোমবার প্রথম ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনেও তারা মনোনয়ন প্রত্যাহার করেননি। উল্টো নানা যুক্তি দেখিয়ে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন তারা। বিষয়টি নিয়ে আওয়ামী লীগের ভিতরও এক ধরনের অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে। বিশেষ করে দলের দুজন প্রেসিডিয়াম সদস্যের ভূমিকা নিয়েও কেন্দ্রের মধ্যে অস্বস্তি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কঠোর নির্দেশ দেয়ার পরও কেন মনোনয়ন প্রত্যাহার করা হলো না এই নিয়ে দলের মধ্যে চলছে নানা রকম আলাপ-আলোচনা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিদের স্বজনদের মধ্যে যারা প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেনি তাদের বিষয়ে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দলীয় নির্দেশনা অমান্য করলে ডিসিপ্লিনারি অ্যাকশনের ব্যাপারে চিন্তা করা হবে। সময়মতো অবশ্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।