নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০০ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮
লন্ডনের রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের জন্য তারেক জিয়া যে সাতটি তথ্য দিয়েছেন তার পাঁচটিই ভুল। ভুল তথ্য দেওয়া অভিযোগে বাংলাদেশ সরকার তাঁর ‘রাজনৈতিক আশ্রয়’ বাতিল করে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর আবেদন করেছে। এই আবেদন শুনানির জন্য লন্ডনে বাংলাদেশ দূতাবাস আগামী দু-একদিনের মধ্যে একজন আইনজীবীও নিয়োগ দেবে বলে জানা গেছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একাধিক কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ বাংলা ইনসাইডারকে বলেছেন, ‘তারেক জিয়াকে দেশে ফিরিয়ে আনার সর্বাত্মক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তারেকের রাজনৈতিক আশ্রয় লাভ সম্পর্কিত কাগজপত্র হাতে পেয়েছে। এতে দেখা যাচ্ছে তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় লাভের শর্ত হিসেবে সাতটি তথ্য দিয়েছেন। এগুলো হলো:
১. তারেক জিয়া একটি রাজনৈতিক দলের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক নেতা। তাঁর এবং তাঁর দলের বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।
২. তারেক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। দেশে অবস্থান করলে তাঁর মৃত্যুর আশঙ্কা রয়েছে।
৩. ন্যায় বিচারের সব পথ তাঁর জন্য রুদ্ধ হয়ে গেছে। দেশের কোনো আদালতেই তাঁর ন্যায় বিচার পাওয়ার সম্ভাবনা নেই।
৪. তারেক জিয়া কখনোই কোনো সন্ত্রাসী তৎপরতার সঙ্গে জড়িত নন এবং সন্ত্রাসী কোনো সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
৫. কোনোরকম হত্যাকাণ্ডের বা রাজনৈতিক সহিংসতার সঙ্গে তারেকের কোনো সম্পৃক্ততা নেই।
৬. জঙ্গিবাদ বা কোনো জঙ্গি সংগঠনের সঙ্গে তাঁর কোন সংশ্রব নেই। তিনি জঙ্গিবাদে বিশ্বাসী নন।
৭.তারেক জিয়া অগণতান্ত্রিক কোনো পন্থায় ক্ষমতা পরিবর্তনের বিশ্বাসী নন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, তারেক ব্রিটিশ দূতাবাসে যে সাতটি শর্ত দিয়েছেন, তা পর্যালোচনা করে দেখেছেন এর ৫টি অসত্য। এখন ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ের পর এর পক্ষে বাংলাদেশ সরকারের কাছে দালিলিক প্রমাণ রয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ২ থেকে ৬ নম্বর তথ্যগুলো অসত্য। যুক্তরাজ্য সরকারের কাছে লেখা চিঠিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, ‘তারেকের বিরুদ্ধে কোনো রাজনৈতিক প্রতিহিংসা দেখানো হয়নি। তাঁর দল বাংলাদেশে অবাধে রাজনীতি করছে।’ ন্যায় বিচারের সব পথ রুদ্ধ এই তথ্যটিও অসত্য বলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে, ‘যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া অনুসরণ করে এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেই রাষ্ট্র তাঁর বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের বিচার করছে। ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা মামলার রায়ই প্রমাণ করে তারেকের দেওয়া ৪,৫ ও ৬ নম্বর তথ্য অসত্য। ঐ রায়ে তারেক সন্ত্রাসী হিসেবে সন্দেহাতীত ভাবে প্রমাণিত হয়েছেন। তাঁর পরিকল্পনা ও নির্দেশে ২১ আগস্টের হত্যাকাণ্ড সংগঠিত হয়েছে। আর ঐ হত্যাকাণ্ড সংগঠনে তারেককে সহযোগিতা করেছে অন্তত দু’টি জঙ্গি সংগঠন। বাংলাদেশ সরকার মনে করছেন, মিথ্যা তথ্য প্রদান প্রমাণিত হলেই তারেকের রাজনৈতিক আশ্রয় বাতিল হবে।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
বিএনপি জনপ্রিয় নেতা কর্নেল অলি আহমদ মেজর অবসরপ্রাপ্ত হাফিজ উদ্দিন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল দলীয় কোন্দল
মন্তব্য করুন
এমভি আবদুল্লাহ কবির গ্রুপ সোমালিয়া উপকূল
মন্তব্য করুন
ভারত বিরোধী বিএনপি রুহুল কবির রিজভী
মন্তব্য করুন
বিএনপি নেতারা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে যেসব কথা বলে তা শুনলে জিয়াউর
রহমানও কবরে শুয়ে লজ্জা পেয়ে যেতেন বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাজধানীর প্রেসক্লাবে মন্ত্রী এ মন্তব্য করেন।
এ সময় তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান জীবদ্দশায় কখনো শুনেননি তিনি স্বাধীনতার ঘোষক।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, স্কুল ঘণ্টা যেমন দপ্তরি বাজায়, তেমনি জিয়াউর
রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা পাঠ করেছিলেন বঙ্গবন্ধুর পক্ষে। আজকে বিএনপি নেতা আব্দুল মঈন
খান অনেক কথা বলেন। মঈন খানের বাবা আব্দুল মোমেন খান ৭৪ সালে খাদ্য সচিব ছিলেন। তিনি
ষড়যন্ত্র করে মার্কিন খাদ্যবাহী জাহাজ ফেরত পাঠিয়েছিলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, জিয়াউর রহমান আব্দুল মোমেন খানকে মন্ত্রী
বানিয়েছিল। মঈন খান নিজেও সংসদে দাঁড়িয়ে বলেছিল, দরকার পড়লে দেশ বিক্রি করে দেব।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান
মাহমুদ বলেন, দেশ সমৃদ্ধির দিকে যখনই এগিয়ে যাচ্ছিল তখনই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়।
বিএনপি জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বানানোর জন্য যেভাবে দাবি করে জিয়াও সেভাবে
কখনো দাবি করেনি। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের ছত্রছায়া পাকিস্তানিদের পক্ষে কাজ করেছে।
জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগের অধীনেই মুক্তিযুদ্ধের সময় বেতন ভুক্ত কর্মচারী ছিলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নেতাদের কথা হাস্যরসের সৃষ্টি করে। বিএনপির নেতা মঈন খানের বক্তব্যের সমালোচনা করে বলেন, যার বাবার জন্য এদেশে দুর্ভিক্ষ হয়েছে তার মুখে এসব কথা মানায় না। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর থেকে ইতিহাস বিকৃতি করে বিএনপি নেতারা বিশদকার বিষোদগার করছে কিন্তু এখন সঠিক ইতিহাস জনগনের সামনে আসার পর তাদের মাথা খারাপ হয়ে গেছে। বিএনপির ইতিহাস বিকৃতির পাশাপাশি দেশের জনগণকেও বিভ্রান্তি করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
বিএনপি ড. হাছান মাহমুদ আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হয়েছে। নতুন মন্ত্রিসভা গঠন হয়েছে। কিন্তু আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল কমেনি। কোন্দল ক্রমশ বেড়েই চলেছে। সামনে উপজেলা নির্বাচন, উপজেলা নির্বাচন নিয়ে সারা দেশে এখন আওয়ামী লীগ নানা ভাগ উপভাগে বিভক্ত। শুধুমাত্র সংঘাত হানাহানির উপলক্ষ খুঁজছে পরস্পরবিরোধী আওয়ামী লীগের শিবিরগুলো। এরকম বাস্তবতার দলের সঙ্কট নিরসনে এবং অভ্যন্তরীণ কোন্দল দূর করার জন্য আওয়ামী লীগ আগাম কাউন্সিল অধিবেশনে যেতে পারে বলে বিভিন্ন সূত্র ইঙ্গিত দিচ্ছে।