নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:১২ পিএম, ১৬ অক্টোবর, ২০১৮
নবগঠিত জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম পরিচিত মুখ বিএনপি পন্থী বুদ্ধিজীবী ডা. জাফরুল্লাহকে ঐক্য থেকে বাদ দেওয়ার জন্য বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামকে নির্দেশ দিয়েছেন ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। আজ মঙ্গলবার রাতে ফোন করে তিনি ঐক্যফ্রন্টের অন্যতম শরিক বিএনপির মাহসচিবকে এ কথা বলেন।
আজ সন্ধ্যায় মির্জা ফখরুলকে ফোন করে ড. কামাল বলেন, ডা. জাফরুল্লাহ উল্টোপাল্টা কথা বলছেন। এরই মধ্যে তাঁর নামে মামলা হয়েছে। তাঁকে অতি দ্রুত বাদ দিতে হবে।
এসময় মির্জা ফখরুল ড. কামালকে বলেন, স্যার, এরই মধ্যে তিনি ক্ষমা চেয়েছেন। তাঁকে বাদ দেওয়ার কী আর প্রয়োজন আছে।
ড. কামাল বলেন, ক্ষমা চাইলেও ডা. জাফরুল্লাহকে বাদ দিতেই হবে। প্রথম কথা, ডা. জাফরুল্লাহর কোনো দল নেই। দলের জোট ঐকফ্রন্ট, কিন্তু জাফরুল্লাহর তো কোনো দলই নেই। আর সবচেয়ে বড় বিষয় হলো তিনি সেনাবাহিনীকে আমাদের বিরুদ্ধে খেপিয়ে তুলছেন। তাঁকে সঙ্গে রাখা মানে বিপদ ডেকে আনা।
উল্লেখ্য, গত ২০ অগাস্ট রাতে ‘সম্পাদকীয়’ শিরোনামে সময় টিভির এক আলোচনা অনুষ্ঠানে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী দাবি করেন, সেনাপ্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ যখন ‘চট্টগ্রামের জিওসি’ ছিলেন, সেখান থেকে ‘সমরাস্ত্র ও গোলাবারুদ চুরি’ যাওয়ার ঘটনায় তার ‘কোর্ট মার্শাল’ হয়েছিল। এরপর বিষয়টি নিয়ে সারাদেশে সমালোচনার ঝড় ওঠে। সেনা সদরের পক্ষ থেকে একটি প্রতিবাদ লিপিও পাঠানো হয়। পরে সময় টিভি নিজেদের বক্তব্যসহ সেটি প্রচার করে। এরপর ‘সেনাপ্রধান সম্পর্কে শব্দ চয়নে ভুল ছিল’ উল্লেখ করেন সেনাপ্রধানের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। অবশ্য এর আগেই ড. জাফরুল্লাহর মন্তব্যকে ‘অসত্য, উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও রাষ্ট্রদ্রোহিতার শামিল’ আখ্যায়িত করে ক্যান্টনমেন্ট থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) দায়ের করেন সেনাবাহিনীর মেজর এম রকিবুল আলম। সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও বিদ্বেষপূর্ণ মন্তব্যের বিষয়টি তদন্তের দায়িত্ব পেয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
ব্রিটিশ হাইকমিশনার বিএনপি আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী শামা ওবায়েদ সারাহ কুক
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন মন্ত্রী-এমপি আওয়ামী লীগ
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পরিবারতন্ত্রের বিরুদ্ধে একটি কঠোর অবস্থান গ্রহণ করেছেন। আজ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আওয়ামী লীগ সভাপতির এই নির্দেশনাটি জারি করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ উপজেলা নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপি পরিবারের সদস্য স্বজনরা প্রার্থী হতে পারবেন না। এটি আওয়ামী লীগ সভাপতির একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে। তৃণমূল পর্যন্ত যে পরিবারতন্ত্র ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল এবং বিভিন্ন জায়গায় যে জমিদারি প্রথা তৈরির শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছিল সেটা প্রতিরোধের জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতির এই উদ্যোগ তৃণমূলের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে।