নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০১:৩২ পিএম, ১৭ অক্টোবর, ২০১৮
ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য, রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। বিএনপির অন্যতম থিংক ট্যাংক। গতকাল মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর তাঁকে ফোন করেন। পেশাজীবীদের নতুন করে ঐক্যবদ্ধ করার উদ্যোগ নিয়েছে বিএনপি। এজন্য নাগরিক কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেওয়া হয় এই প্রবীণ শিক্ষাবিদকে। এর আগে ঢাকা সিটি নির্বাচনের আগে শত নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক ছিলেন ড. এমাজউদ্দিন আহমেদ। সেই চিন্তা থেকেই পেশাজীবীদের নিয়ে ‘একটা কিছু’ করার তাগিদ দিলেন মির্জা ফখরুল। বললেন, ‘নির্বাচনের আগে এটা খুবই দরকারি।’ ড. এমাজউদ্দিন এর জবাবে বিএনপি মহাসচিবকে জানালেন, ‘বিএনপি তো এখন দুই সতীনের ঘর করছে। পেশাজীবীরা কোন সংসারের সম্পত্তি?’ ড. এমাজউদ্দিন এই উত্তরে একটু বিব্রত হলেন মির্জা ফখরুল। জিজ্ঞেস করলেন, ‘স্যার শরীর কেমন?’ উত্তরে এমাজউদ্দিন বললেন, ‘শেষ বয়সে যা দেখছি, তাতে আর শরীরের খবর নিই কীভাবে? আপনাদের নেতা জিয়াউর রহমান। ড. কামালের নেতা শেখ মুজিব। রবের নেতা তাহের। এটা তো আর জোট নয়, মাছ মাংস সব মিলেমিশে একাকার খিচুড়ি।’ এরপর আর কথা বাড়ায়নি বিএনপির মহাসচিব। বললেন, ‘স্যার আমি এসে কথা বলবো।’
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।