নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১২:৩৯ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের মাত্র এক সপ্তাহের মধ্যেই পিছুটান দিলেন ড. কামাল হোসেন। এরই মধ্যে ফ্রন্টে অরুচি ধরে গেছে তাঁর। ফ্রন্ট গঠনের পর এর দুটি বৈঠকের একটিতে উপস্থিত হননি তিনি। গতকাল বুধবার বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে ফ্রন্টের বৈঠক বসেছিল। সেখানে অনুপস্থিত ছিলেন ড. কামাল হোসেন।
গতকালের বৈঠক থেকেই ড. কামালকে ফোন করেন ঐক্যের নেতা ও বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। বলেন, ফ্রন্টের প্রত্যেক দল থেকে সর্বোচ্চ একজন নিয়ে একটি নীতি নির্ধারণী সংস্থা গঠনের বিষয়ে তাঁদের সিদ্ধান্তের কথা জানান। এই নীতি নির্ধারণী সংস্থাই ফ্রন্টের কর্মকাণ্ডের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। এই নীতি নির্ধারণী সংস্থায় গণফোরাম থেকে ড. কামাল হোসেনকে রাখার প্রস্তাব দেন। তবে ফোনেই মির্জা ফখরুলকে নীতি নির্ধারণী সংস্থায় থাকতে পারবেন না বলে জানান ড. কামাল। বলেন, আমার শরীর ভালো না। তাই এমন কোনোকিছুতে আমি থাকতে পারবো না।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা বলছেন, গত কয়েকদিন ধরেই ড. কামাল সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে দূরে রয়েছেন। ড. কামাল ঘনিষ্ঠ সূত্রগুলো বলছে, জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠিত হওয়ার পরপরই এর বিভিন্ন নেতাদের কথাবার্তা নিয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত হয়েছেন তিনি। তাঁকে নিয়ে বিভিন্ন মহলে সমালোচনার বিষয়টিও ড. কামালের অজানা নয়। এসব বিষয় নিয়ে হতাশ হয়ে পড়েছেন তিনি। এই হতাশা থেকেই ঐক্যফ্রণ্টের কর্মকাণ্ডে নিষ্ক্রিয় ড. কামাল।
ড. কামাল হোসেনের পারিবারিক সূত্রগুলো বলেছেন, তিনি প্রচণ্ড অসুস্থ। চিকিৎসার জন্য শিগগিরই আবারও তিনি দেশের বাইরে যেতে পারেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।