নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৮:০০ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
গুলশানে এক ব্যবসায়ীর অফিসে আ. স. ম. আব্দুর রব প্রতি মাসের প্রথম সপ্তাহে যান। ব্যবসায়ী এক সময় ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’র স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। এরপর দীর্ঘদিন জার্মানিতে কাটিয়ে নব্বই এর দশকে দেশে এসে ব্যবসা শুরু করেছেন। শুধু আ. স. ম. রব নন অনেক জাসদ নেতাই তাঁর কাছ থেকে এসে নিয়মিত মাসোহারা নেন। পুরো দস্তুর ব্যবসায়ী ঐ প্রাক্তন জাসদ কর্মী, তাঁর নেতাদের টাকা দিয়ে আনন্দ পান, রাজনৈতিক আড্ডাতেও মাতেন। অক্টোবরে ঘটল অন্য রকম ঘটনা। আ. স. ম. আবদুর রব, ঐ ব্যবসায়ীর অফিসে গেলেন না। বেচারা ব্যবসায়ী ভাবলেন, জাতীয় ঐক্য ইত্যাদি নিয়েই হয়তো তিনি ব্যস্ত। কিন্তু গত মঙ্গলবার টেলিফোন করে, আ. স. ম. আবদুর মোটা অঙ্কের টাকা চাইলেন। ব্যবসায়ী তো অবাক। বললেন, ‘ভাই হঠাৎ রেট এতো বেড়ে গেল? জবাবে রব বললেন, ‘ক্ষমতায় আইতাছি মিয়া, এখন কি আর আগের মতো দিলে হইবো।’ ঐ ব্যবসায়ী বিরক্ত হয়ে বললেন, ‘আগে ক্ষমতায় আসেন, তারপর না হয় দেবো। এখন আর কিছুই দেবো না।’ ঐ ব্যবসায়ী পরে আলাপচারিতায় বলছিলেন, ‘কেবল একটা জোট করেই এই অবস্থা, ক্ষমতায় এলে এরা কি করবে?’
শুধু রব একা নন, জাতীয় ঐক্য ফ্রন্টের সব নেতাদেরই এখন চাঁদার রেট বেড়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, ধানমন্ডিতে একটি প্যাথলজিক্যাল ল্যাবরেটরি থেকে গণফোরাম নেতা মোস্তফা মোহসীন মন্টু মাসে কুড়ি হাজার টাকা নিতেন। মন্টু চলেন মূলত: এরকম মাসিক মাসোয়ারা নিয়েই। কিন্তু ফ্রন্ট গঠনের পর মন্টু জানিয়েছেন, তাঁকে এক লাখ টাকা দিতে হবে। ঐ ব্যবসায়ী বললেন, ‘দুর্দিনে ওনাকে সাহায্য করেছি। আগে এই টাকার জন্য এসে বসে থাকতেন অথচ কি এক জোট করেই দাপট দেখাচ্ছেন। এরা দেশের কি করবে?
সুলতান মোহাম্মদ মনসুরেরও প্রধান পেশা চাঁদাবাজি। তাঁকে নিয়মিত সহায়তা করতেন এরকম একজন ব্যবসায়ী জানালেন, ‘একরকম ভিক্ষে করেই চলছেন মনসুর ভাই। এই জোট গঠনের পর নানা উসিলায় টাকা চাইছেন।’ ওই ব্যবসায়ী বলেন, ‘এসব জোট হলেই আমাদের উপর চাপ বাড়ে। আজ অমুক প্রোগ্রাম, কাল তমুক প্রোগ্রাম ইত্যাদি নানা অজুহাতে টাকা চাওয়া হচ্ছে।
মাহমুদুর রহমান মান্নার নিজস্ব গার্মেন্টস ব্যবসা আছে। তিনিও রাজনৈতিক কর্মসূচির নামে নিয়মিত চাঁদাবাজি করেন। ইদানীং তারও রেট প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। এইসব খুচরা নেতাদের চাপে অতিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা। এরকম একজন ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমরা যে ঘুরে ফিরে আওয়ামী লীগ বা বিএনপি চাই, তাঁর প্রধান কারণ হলো এদের চাঁদাবাজি। আওয়ামী লীগ বিএনপির নেতারা এসব করেন না। বড়জোর অঙ্গ সংগঠনের নেতারা বিভিন্ন কর্মসূচির জন্য সহযোগিতা চায়। কিন্তু এসব নেতাদের জন্য রাজনীতি একটা ব্যবসা। এরা দেশের জন্য কী করবে।‘
খোঁজ নিয়ে জানা যায় বিভিন্ন কর্মসূচি উপলক্ষে রব-মান্না-সুলতান তিনজনই আলাদা আলাদা ভাবে চাঁদা তুলছেন। ২৩ অক্টোবর সিলেটে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের জনসভা হওয়ার কথা। এই জনসভা উপলক্ষে তিনজনই মাঠে নেমেছেন। এদের চাঁদাবাজি দেখে বিএনপির নেতারাও লজ্জায় কুঁকড়ে গেছেন।
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোর তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।