নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯:০১ পিএম, ১৮ অক্টোবর, ২০১৮
কূটনীতিকদের সঙ্গে আজ এক বৈঠকে বসেছিল নবগঠিত নির্বাচনী রাজনৈতিক জোট জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। ঐক্যের আহ্বায়ক ও গণফোরাম নেতা ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে রাজধানীর লেকশোর হোটেলে অনুষ্ঠিত বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ২৫ টি দেশের কূটনীতিকরা। বৈঠকের শুরুতে সূচনা বক্তব্য রাখেন বিএনপির মহাসচিব ও ঐকফ্রন্ট নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। পরে বক্তব্য রাখেন ড. কামাল হোসেন।
বৈঠকে মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের প্রশ্ন ছিল, কারান্তরীণ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নির্বাচনে যাওয়ার অযোগ্য ঘোষিত হলে আপনারা কী করবেন?
মার্কিন দূতাবাসের কর্মকর্তাদের ওই প্রশ্নের উত্তরে ড. কামাল হোসেন বলেন, বেগম খালেদা জিয়ার নির্বাচনে যাওয়া বা না যাওয়া নির্বাচনকে প্রভাবিত করবে না। খালেদা জিয়া নির্বাচনে কোনো ফ্যাক্টর না বলেন মন্তব্য করেন ড. কামাল।
কূটনীতিকদের ওই বৈঠকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ছাড়াও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, ড. মঈন খানসহ সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এতদিন বিএনপি বলে আসছিল বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি ছাড়া তারা কোনো নির্বাচনে যাবে না। বেগম জিয়াকে ছাড়া তারা কোনো নির্বাচন করবে না। কিন্তু জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট গঠনের পর থেকে রাজনৈতিক মহলে কৌতুহল ছিল বিএনপি কী এবার তাদের অবস্থান থেকে সরে আসবে? বেগম জিয়া আগামী নির্বাচনে কোনো ফ্যাক্টর না- ঐক্যফ্রন্টের এমন ঘোষণার পর বিশ্লেষকদের প্রশ্ন তবে কী ড. কামালের সঙ্গে বিএনপির জোট গঠনের পর বেগম জিয়াও মাইনাস হলেন?
বাংলা ইনসাইডার/জেডএ
মন্তব্য করুন
ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতি সভাপতি
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়া শামীম ইস্কান্দার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য নতুন করে তৎপরতা শুরু করেছে তার পরিবারের সদস্যরা। বিশেষ করে বেগম জিয়ার ছোট ভাই শামীম ইস্কান্দার ইতোমধ্যে বেগম খালেদা জিয়াকে বিদেশ নেওয়ার জন্য সরকারের বিভিন্ন মহলের সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছেন। বেগম জিয়া আর ভবিষ্যতে রাজনীতি করবেন না, রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এ রকম একটি বক্তব্য সামনে নিয়ে আসছেন শামীম ইস্কান্দার।
আওয়ামী লীগের তৃণমূল ক্রমশ ভেঙ্গে পড়ছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের তৃণমূল সংগঠিত করা এবং বিভেদ-বিভক্তির দূর করার জন্য যে ডাক দেওয়া হয়েছিল তারপর একটু পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছিল বলে বটে। কিন্তু এখন আবার উপজেলা নির্বাচনের প্রাক্কালে সারাদেশে তৃণমূল বিভক্ত হয়ে পড়েছে। আওয়ামী লীগের তৃণমূলকে সামাল দেওয়াই এখন কঠিন হয়ে পড়ছে। একদিকে নির্বাচন কেন্দ্রীক বিরোধ অন্যদিকে দলের চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে যাওয়া আর কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের তদারকির অভাবে তৃণমূলের আওয়ামী লীগ এখন সবচেয়ে সঙ্কটের মুখে পড়েছেন বলেই মনে করছেন আওয়ামী লীগের নেতারাই।