নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৬:০১ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের গৃহীত পদক্ষেপগুলো থেকে পরিষ্কার হচ্ছে, যতই তারা ৭ দফা বা ১১ দফার কথা বলুক, ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচনে যাওয়াই এ মুহূর্তে তাদের লক্ষ্য। আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট অবশ্যই অংশগ্রহণ করবে। নির্বাচনে অভিন্ন ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল। এছাড়া গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। ঐক্যফ্রন্টের একাধিক সূত্র এসব তথ্য জানিয়েছে।
ঐক্যফ্রন্ট নেতৃবৃন্দ বলছে, তারা সরকারের কোনো ফাঁদে পা দেবে না এবং অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। নির্বাচনে গেলে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দল অভিন্ন প্রতীকে নির্বাচন করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আর অভিন্ন প্রতীক হিসেবে বাছাই করা হয়েছে ধানের শীষ।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ধরেই নিয়েছে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক জিয়া নির্বাচন করতে পারবেন না। এমনটা ধরে নিয়েই তারা ড. কামাল হোসেনকে জোটের আহ্বায়ক করেছে। দলীয়ভাবে সিদ্ধান্ত হয়েছে, অভিন্ন প্রতীকে অংশ নেওয়া এই নির্বাচনে ড. কামাল হোসেন খালেদা জিয়ার আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। উল্লেখ্য, বগুড়া ও ফেনীসহ খালেদা জিয়া প্রত্যেক নির্বাচনে ৫টি আসন থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। খালেদা জিয়ার এই আসনগুলো নির্বাচনে জয়লাভের জন্য ঝুঁকি কম হওয়ায় ফেনী অথবা বগুড়ার দুটি আসন থেকে ড. কামাল হোসেন নির্বাচন করবেন। এছাড়া ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য নেতা যাঁদের নির্বাচনে জেতার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁদেরকে খালেদা জিয়ার অন্যান্য আসনগুলো থেকে দাঁড় করানোর চিন্তাভাবনা করছে বিএনপি।
অর্থ্যাৎ বিভিন্ন দাবিদাওয়া উত্থাপন করলেও প্রকৃতপক্ষে যুক্তফ্রন্ট বেশ জোরেসোরেই নির্বাচনের প্রস্তুতি গ্রহণ করছে। নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন স্থানে সভা-সমাবেশের মাধ্যমে জনসমর্থন আদায়ের চেষ্টাও চালিয়ে যাচ্ছে নবগঠিত এই জোটটি।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি/জেডএ
মন্তব্য করুন
জামায়াত বিএনপি উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
বিএনপি তারেক জিয়া উপজেলা নির্বাচন রাজনীতির খবর
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
উপজেলা নির্বাচন বিএনপি তারেক জিয়া বহিষ্কার
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জামায়াতে ইসলামও কী বিএনপিকে ধোঁকা দিল? বিএনপির সঙ্গে সুর মিলিয়ে স্বাধীনতাবিরোধী ফ্যাসিস্ট এই রাজনৈতিক দলটি ঘোষণা করেছে যে, তারা উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে না। নিবন্ধনহীন রাজনৈতিক দলটি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার ঘোষণা না দিলেও প্রথম পর্বে যে সমস্ত উপজেলা নির্বাচনের মনোনয়ন পত্র দাখিল শেষ হয়েছে সেখানে জামায়াতের ২৩ জন সদস্যের নামের তালিকা পাওয়া যাচ্ছে।
বিএনপিতে তোলপাড় চলছে। বাইরে থেকে কেউ বুঝতে পারছেন না বিএনপিতে কী ঘটছে। কিন্তু দলের ভিতর যারা রয়েছেন তারা বলছেন, দলের ভিতরে এক প্রকার দম বন্ধ এবং শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা বিরাজ করছে। একের পর এক ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে বিএনপিতে প্রশ্ন উঠেছে, সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রক্রিয়া চ্যালেঞ্জ হচ্ছে। দলের ভিতর বিভক্তি, অনৈক্য হতাশা এখন প্রকাশ্য।
আওয়ামী লীগে উত্তরাধিকারের রাজনীতি নতুন নয়। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতা এবং মন্ত্রীরা উত্তরাধিকার সূত্রেই রাজনীতিতে এসেছেন। বর্তমান মন্ত্রিসভায় একাধিক সদস্য রয়েছেন যারা রাজনীতিতে এসেছেন পারিবারিক ঐতিহ্য থেকে, পিতার হাত ধরে, অথবা তাদের নিকট আত্মীয়দের উৎসাহ উদ্দীপনায়। বর্তমান মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য আছেন, যাদের বাবারা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করতেন সেই সূত্রে তারা রাজনীতিবিদ।
আওয়ামী লীগ দলগতভাবে উপজেলা নির্বাচনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট এবং কঠোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন উপজেলায় মন্ত্রী, এমপি বা দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের ভাই ব্রাদার বা স্বজনদেরকে প্রার্থী করা যাবে না। যারা ইতিমধ্যে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।