নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ১০:০০ পিএম, ২০ অক্টোবর, ২০১৮
ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন গত ১৬ অক্টোবর রাতে একাত্তর টেলিভিশনের একাত্তর জার্নাল নামের সংবাদভিত্তিক এক টকশোতে নারী সাংবাদিক মাসুদা ভাট্টির প্রতি অশোভন আচরণ ও কটূক্তি করেন। এজন্য এখনো তিনি প্রকাশ্যে ক্ষমা চাননি। এমনকি এখন পর্যন্ত বিষয়টি নিয়ে তিনি অনুতপ্ত এমন কোনো মনোভাবও প্রকাশ্যে দেখাননি। বরং সম্প্রতি কয়েকটি বিষয়ের মাধ্যমে তিনি নিজের এমন বিকৃত আচরণকেই সঠিক হিসেবে প্রমাণের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।
নারী সাংবাদিককে নিয়ে কটূক্তির ঘটনার পর সারা দেশে প্রতিবাদের ঝড় বয়ে যাচ্ছে। মইনুল হোসেন ব্যক্তিগতভাবে ফোন করে ঐ নারী সাংবাদিকের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। তবে, যেহেতু ঘটনাটি প্রকাশ্যে একটি লাইভ টকশোতে ঘটেছিল, সেজন্য বিভিন্ন মহল থেকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার জন্য সোচ্চার দাবি উঠেছে। এমন সোচ্চার দাবি করলেও দেখা যাচ্ছে যে, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে সমর্থন যোগাচ্ছে ছাত্রশিবির ও জামাত মতাবলম্বীদের সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় গ্রুপগুলো, এর মধ্যে ফেসবুক গ্রুপ বাঁশের কেল্লার নাম উল্লেখযোগ্য। জামাত-শিবিরের সোশ্যাল গ্রুপগুলোর ভাষ্য, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সঠিক কথা বলেছিলেন। জামাত শিবিরের এমন ভাষ্যের মধ্যে দিয়েই প্রমাণ হলো, ব্যারিস্টার মইনুলকে জামাতের প্রতিনিধি বলার যৌক্তিকতা।
একাত্তর টেলিভিশনের টকশোতে মাসুদা ভাট্টি ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রশ্ন করেছিলেন, আপনি কি জামায়াতের প্রতিনিধি হয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টে অংশগ্রহণ করেছেন? এর উত্তরেই মাসুদা ভাট্টিকে মইনুল হোসেন বলেন, ‘আপনি চরিত্রহীন বলে মনে করতে চাই।’ অবশ্য মাসুদা ভাট্টির প্রশ্ন ছিল প্রাসঙ্গিক, কারণ এর মাত্র দুদিন আগে ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন ইসলামী ছাত্রশিবিরের একটি অনুষ্ঠানে যোগদান করেছিলেন এবং সেখানে বক্তব্য প্রদান করেছিলেন। বলেছিলেন, তাঁর সঙ্গে শিবিরের ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ আছে। ব্যারিস্টার মইনুলের ওই বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম খুঁজলে এখনো পাওয়া যায়।
মাসুদা ভাট্টিকে লাইভ টকশোতে চরিত্রহীন বলার পর ক্ষমা না চেয়ে বরং নিউ নেশন নামের একটি পত্রিকার প্রকাশক হিসেবে এক বিবৃতি দিয়েছেন মইনুল হোসেন। সেই বিবৃতিতে তিনি এই ঘটনার পূর্বাপর যে বিশ্লেষণ করেছেন, তা এক প্রকারের আত্মপক্ষ সমর্থন। মইনুল হোসেন বিবৃতিতে বলেছেন, ফেসবুকসহ নানা রকম সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তিনি ঐ নারী সংবাদ কর্মী সম্পর্কে অনেক খারাপ তথ্য পেয়েছেন। এখন প্রশ্ন হলো, খারাপ তথ্য পেলেই কি একজন সংবাদ কর্মীকে, একজন নারীকে কুৎসিত অরুচিকর কথা প্রকাশ্যে বলা যায়। অবশ্য ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন সবসময় এধরনের অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ এবং নোংরা ভাষায় কথা বলার জন্য প্রসিদ্ধ।
নারী সাংবাদিকের প্রতি কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের জন্য ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে ক্ষমা চাইতে বলেছিলেন ড. কামাল। কিন্তু মইনুল হোসেন ড. কামালকে বলেছেন, তিনি ক্ষমা চাইবেন না। আর জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট এই বিষয়টা নিয়ে বিব্রতকর ও অস্বস্তিকর অবস্থাতে পরলেও অন্যকেউ ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ার বিষয়ে বলার সাহস পর্যন্ত পাচ্ছেন না। এদিকে মইনুল হোসেনের সমর্থক গোষ্ঠি জামায়াত-শিবির এই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে নেওয়ার তৎপরতা চালাচ্ছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ব্যারিস্টার মইনুল হোসেন হলো সেই লোক যিনি ১৯৭৪ সালে বাকশাল হওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর খুনি খন্দকার মোশতাক রাজনৈতিক দল খোলেন। মইনুল হোসেন সেই খুনিদের রাজনৈতিক দলের সদস্য হয়েছিলেন। বাংলাদেশের যতগুলো অশুভ রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়, প্রতিটি পরিবর্তনে ব্যারিস্টার মইনুলের ভূমিকা ছিল গুরুত্বপূর্ণ। সেই মইনুল হোসেনের কাছ থেকে নারীদের প্রতি কুরুচিপূর্ণ বক্তব্যের চেয়ে ভালো কিছু কী আশা করা যেতে পারে?
বাংলা ইনসাইডার/আরকে/জেডএ
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
ওবায়দুল কাদের বলেন, গণতন্ত্র, শান্তি, উন্নয়ন নির্বাচনবিরোধী অপশক্তির বিরুদ্ধে আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। আমাদের নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আহ্বান মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ও প্রগতিশীল শক্তির কাছে, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব বিরোধী অপশক্তি আমাদের ভিত্তিমূলে আঘাত করতে যাচ্ছে। তাদের আমাদের প্রতিহত করতে হবে, সেজন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে।
উপজেলা নির্বাচনকে সামনে রেখে ভোটের মাধ্যমে সাংবিধানিক অধিকার প্রয়োগের জন্য জনগণকে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা আহ্বান জানিয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, ভোট দিয়ে আপনার নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠা করুন। আওয়ামী লীগ বিশ্বাস করে জনগণ সব শক্তির উৎস।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশবিরোধী অপশক্তি জাতির পিতার পরিবারকে হত্যা করে জনগণকে সামরিক স্বৈরশাসনের জাঁতাকলে দীর্ঘকাল পিষ্ঠ করেছে। শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে হত্যার রাজনীতি বন্ধ করেছেন।
আওয়ামী লীগ ওবায়দুল কাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপের ভোটে আগামী ৮ মে। গতকাল সোমবার (২২ এপ্রিল) ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন। এদিন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
জানা গেছে, নোয়াখালীর হাতিয়া ও ফেনীর পরশুরাম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান, ভাইস চেয়ারম্যান ও নারী ভাইস চেয়ারম্যান পদের প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন। এ ছাড়া বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হচ্ছেন। সোমবার ( ২২ এপ্রিল ) মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের শেষ দিনে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সরে দাঁড়ানোয় তিন উপজেলার চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ বেশ কয়েকজন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন।
হাতিয়া উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাঁরা হলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর ছেলে আশিক আলী, স্ত্রী আয়েশা ফেরদাউস ও জাতীয় পার্টির নেতা মুশফিকুর রহমান। গতকাল আশিক আলী ছাড়া বাকি দুজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। হাতিয়া উপজেলা পরিষদের বাকি দুটি পদে একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন।
জানতে চাইলে মুশফিকুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁর রাজনীতির হাতেখড়ি সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলীর হাতে। তিনি ওই পরিবারের একজন সদস্যের মতো। মাঝখানে কিছু ভুল–বোঝাবুঝির কারণে দূরত্ব থাকলেও তা ঘুচে গেছে। আশিক আলীর সমর্থনে তিনি মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা জোড় করাতে তাঁর ছেলে প্রার্থী হয়েছেন। দলের অন্য কেউ আগ্রহ দেখাননি। ছেলের প্রতিদ্বন্দ্বীরা নিজ থেকেই প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
ফেনীর পরশুরাম উপজেলায় চেয়ারম্যান পদে তিনজন প্রার্থীর মধ্যে দুজন গতকাল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। এতে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন কেবল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফিরোজ আহমেদ মজুমদার। প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন উপজেলা পরিষদের তিনবারের চেয়ারম্যান ও পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কামাল উদ্দিন মজুমদার ও উপজেলার বক্সমাহমুদ ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হাসেম চৌধুরী।
ভাইস চেয়ারম্যান পদের চারজনের মধ্যে তিনজন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন। বর্তমানে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন পরশুরাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক নুর মোহাম্মদ শফিকুল হোসেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন ইকরামুল করিম মজুমদার, নজরুল ইসলাম ও আবদুল রসুল মজুমদার।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে একক প্রার্থী হিসেবে রয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেত্রী শামসুন নাহার পাপিয়া। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন নিলুফা ইয়াসমিন।
এদিকে বান্দরবানে উপজেলা নির্বাচনের প্রথম ধাপে রোয়াংছড়ি উপজেলায় আওয়ামী লীগের সমর্থিত প্রার্থী চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন। গতকাল চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করায় চহ্লামং মারমা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন বলে রিটার্নিং এস এম কর্মকর্তা শাহাদাত হোসেন জানিয়েছেন।
তবে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা বলেছেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুরোধ ও প্রচ্ছন্ন চাপে তাঁরা প্রার্থিতা প্রত্যাহারে সম্মত হয়েছেন। রোয়াংছড়ি উপজেলা থেকে আওয়ামী লীগের তিনজন ও জনসংহতি সমিতির সাবেক এক নেতা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। চারজনের মনোনয়নই রিটার্নিং কর্মকর্তা বৈধ ঘোষণা করেছিলেন। প্রার্থীরা নিজেদের মতো করে প্রস্তুতিও নিয়েছেন। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের পর প্রার্থীরা জানিয়েছেন, গতকাল প্রত্যাহারের শেষ দিনে হঠাৎ করে আওয়ামী লীগের নেতারা তৎপর হয়ে ওঠেন। প্রার্থিতা তুলে নেওয়ার জন্য অনুরোধ করে এবং প্রচ্ছন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন।
মন্তব্য করুন
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
জুনাইদ আহমেদ পলক নাটোর তথ্য ও প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, দেশবিরোধী একটি অপশক্তি নানা ভাবে ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। তারা নির্বাচন, শান্তি ও উন্নয়নের বিরোধীতায় লিপ্ত। সারাদেশে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। মঙ্গলবার (২৩ এপ্রিল) সকালে গুলিস্তানের ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটি আয়োজিত প্রচারপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জুনাইদ আহমেদ পলক টানা তিনবারের প্রতিমন্ত্রী। কিন্তু রাজনীতিতে তার পদ পদবী তেমন নেই। রাজনীতিতে এখনও তিনি তরুণ এবং পিছনের সারির নেতা হিসেবে পরিচিত। স্থানীয় পর্যায়ের নেতৃত্ব এবং প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে তিনি বিভিন্ন সময়ে সুনাম কুড়িয়েছেন। কখনও বিতর্কিত হয়েছেন। তবে রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ক্ষেত্রে তার পরীক্ষা হলো এবার এবং সেই পরীক্ষায় তিনি শুধু কৃতকার্যই হননি, এ প্লাস পেয়েছেন বলেও অনেকে মনে করছেন।