নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৩:১৫ পিএম, ২২ অক্টোবর, ২০১৮
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সৌদি আরব সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে আজ সোমবার বিকেল ৪টায়। প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠেয় এই সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রী সৌদি সফরের আনুষঙ্গিক বিষয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাব দেবেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশাপাশি আজ একই সময়ে অর্থ্যাৎ বিকেল ৪টায় সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনও। ড. কামালের সংবাদ সম্মেলন ডাকা হয়েছে জাতীয় প্রেসক্লাবের তৃতীয় তলার কনফারেন্স লাউঞ্জে। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের সময়টাতেই ড. কামাল হোসেনের সংবাদ সম্মেলন ডাকা নিয়ে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক পাড়ায় আলোচনা-সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
একটা সময় ছিল যখন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কোনো কর্মসূচি থাকলে কোনো উপলক্ষ ছাড়াই বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া একই দিনে, একই সময়ে কর্মসূচির ঘোষণা দিতেন। বিএনপির এমন আচরণ ছিল দেশের রাজনৈতিক পরিবেশকে উত্তপ্ত করা ও রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে ঘায়েল করার প্রচেষ্টার দৃষ্টিকটু বহিঃপ্রকাশ। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় বা দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড প্রাপ্তিসহ বিভিন্ন কারণে বিএনপি এখন কিছুটা কোণঠাসা হওয়ায় তাদের দিক থেকে এমন কর্মসূচির ঘোষণা এখন সাধারণত আসে না। তবে বিএনপির নতুন রাজনৈতিক মিত্র ড. কামাল হোসেন ঠিক বিএনপির মতোই কর্মকাণ্ড শুরু করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সংবাদ সম্মেলনের দিনে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন তিনি। ধারণা করা হচ্ছে, ড. কামালের সংবাদ সম্মেলন ডাকার পেছনে ঐক্যফ্রন্টের অন্যান্য দলের পরামর্শ রয়েছে।
একটি গণতান্ত্রিক দেশের রাজনীতিতে স্বাভাবিক শিষ্টাচার হচ্ছে, দেশের প্রধানমন্ত্রীর যখন কোনো কর্মসূচি থাকে তখন একই সময়ে অন্য কেউ কোনো কর্মসূচি রাখে না। শুধু বাংলাদেশই নয়, পৃথিবীর সকল দেশেই এই শিষ্টাচার মেনে চলা হয়। কিন্তু গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের স্বাভাবিক এই শিষ্টাচারটিই আজ ভঙ্গ করলেন ড. কামাল, যদিও সবাইকে নিয়ম করেই গণতন্ত্রের সবক দেন তিনি।
ড. কামাল হোসেনের এহেন পদক্ষেপ গণতন্ত্রের কোন শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে এবং এই ধরনের হীন রাজনৈতিক প্রতিযোগিতা দেশের গণতন্ত্রের কোন উপকারে আসবে এমন প্রশ্নই এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে। প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি একই সময়ে সংবাদ সম্মেলন ডেকে নতুন বিতর্কের জন্মই দিলেন ড. কামাল হোসেন।
বাংলা ইনসাইডার/এসএইচটি
মন্তব্য করুন
আসন্ন ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপে নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তকে
উপেক্ষা করে প্রার্থী হওয়ায় মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে উপজেলার বিএনপিপন্থি দুই প্রার্থীকে
শোকজ করা হয়েছে।
বিএনপি থেকে শোকজ করা দুই প্রার্থী হলেন, চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী
উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর
রহমান তুষার (কাপ পিরিচ প্রতীক) ও ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসা (চশমা প্রতীক)।
গতকাল বুধবার (২৪ এপ্রিল) বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি'র অফিসিয়াল
প্যাডে দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত কারণ দর্শানোর
নোটিশ থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির
সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে
আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে
প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণরূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থি এবং দলের
প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য
আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তা
হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্যকোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার
মধ্যে যথাযথ কারণ দর্শিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয় বরাবর
নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো।
কারণ দর্শানোর নোটিশ পাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাচনে
চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী, উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ও ৬ নং বয়ড়া ইউনিয়নের সাবেক
চেয়ারম্যান মো. জাহিদুর রহমান তুষার বলেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য দলীয়ভাবে কারণ
দর্শানোর নোটিশ হাতে পেয়েছি। যথাযথ সময়ে আমি নোটিশের জবাবও দেব। তবে ৮ মে উপজেলা পরিষদ
নির্বাচনে আমি জনগণের চাপে পড়ে প্রার্থী হয়েছি। দলীয় সিদ্ধান্ত যাই হোক না কেন, জনগণের
ভালোবাসা, দোয়া ও সমর্থন নিয়ে শেষ পর্যন্ত আমি নির্বাচনী মাঠে থাকব। আমি টানা ১৯ বছর
বয়ড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে জনগণের সেবা করেছি। যার ফলে পুরো উপজেলায় আমার
একটা অবস্থান রয়েছে। সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ আমাকে ভালোবাসে। তাদের ভালোবাসা ও দোয়া
নিয়েই আমি আগামীতে পথ চলতে চাই। আশা করি, এ নির্বাচনে আপামর জনগণ আমার পাশে থাকবে এবং
নির্বাচনে ভালো কিছু হবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে বিএনপিপন্থি ভাইস চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী উপজেলা বিএনপির সদস্য
ও কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. মোশারফ হোসেন মুসাকে একাধিকবার মুঠোফোনে
কল দিলেও রিসিভ হয়নি।
মন্তব্য করুন
বিএনপি গণ বহিষ্কার উপজেলা নির্বাচন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
মন্তব্য করুন
আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন রাজনীতি
মন্তব্য করুন
নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে দলের যারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে আগেই ঘোষণা করেছিল বিএনপি। এবার সেই ঘোষণার বাস্তবায়ন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্র জানিয়েছে, গত জাতীয় নির্বাচনের মতো এবারও উপজেলা নির্বাচনও যে একতরফা নির্বাচন, তা বিশ্ববাসীকে দেখাতে চায় দলটি। এমন ভাবনা থেকে ইতোমধ্যে যারা স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন তাদের প্রত্যাহার করতে হবে বলে দলের তৃণমূলকে বার্তা দিয়েছে বিএনপি। তবে আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রথম ধাপে দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে প্রার্থী হয়েছেন তাদেরকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মন্ত্রী-এমপিদের আত্মীয়-স্বজনদের আসন্ন উপজেলা নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর নির্দেশনা দেয়া হলেও সরে দাঁড়াননি অনেকে। এই নির্দেশনা দেয়ার পর প্রতিদিন দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়াদুল কাদের বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন। ব্যক্তিগত ভাবেও তিনি একাধিক এমপির সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানা গেছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তারা দলীয় নির্দেশনা অমান্য করেছেন। বিষয় বেশ অস্বস্তিকর পরিস্থিতি তৈরি করেছে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে। গতকাল এ নিয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে কথা বাহাস চলে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ও প্রেসিডিয়াম সদস্য শাজাহান খানের।